আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
দাখিল পাসের পর ইউটিউবের মাধ্যমে মাল্টা চাষের সঙ্গে পরিচিত হন শরিফুল ইসলাম।। ২০১৭ সালের শেষের দিকে শুরু করেন মাল্টা চাষ। তিন বছরের মাথায় সফলতা আসে শরিফুলের। বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি।
যশোরের মনিরামপুরের পলাশী গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে শরিফুল। রাজগঞ্জ-পুলেরহাট সড়ক লাগোয়া পূর্বপাশে পলাশী কলেজের উত্তরে তাঁর রয়েছে বড় মাল্টা বাগান। মাত্র ১০ হাজার টাকায় মাল্টা চাষ শুরু করে এখন তাঁর দুই বিঘা জমিতে ২৬০টি মাল্টা গাছ রয়েছে। যার মধ্যে ৩০ শতাংশ জমিতে রয়েছে ৭০টি ফলন্ত মাল্টা গাছ। যা থেকে এ বছর ২ লাখ টাকার ওপরে মাল্টা বিক্রি হবে। বাকি ৯০টা গাছে ভবিষ্যতে মাল্টার ফলন আসবে এমনটি আশা করছেন শিক্ষিত এ যুবক।
শরিফুলের খেতের মাল্টা খেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষি মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। কমাস আগে তিনি যশোরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তখন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা শরিফুলের খেতের মাল্টা দিয়ে মন্ত্রীকে আপ্যায়ন করেন। মাল্টা খেয়ে মন্ত্রী খুশি হওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শরিফুলের বাগানে সৌর বিদ্যুতে চালিত ড্রিপ সেচ প্রদর্শনী দিয়েছেন। যা দিয়ে বিনা খরচায় খেতে সেচ দিতে পারেন তিনি।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে দাখিল পাশ করার পর পারিবারিকভাবে কৃষি কাজের সঙ্গে জড়াই। যতবার সবজি চাষ করেছি কোনো না কোনো ভাবে লসের মুখে পড়েছি। লাভবান হতে পারিনি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে মাল্টা চাষের সন্ধান পাই। বাড়িতে মাল্টা চাষের কথা বললে কেউ রাজি হননি। মাল্টা টক, ভালো ফলন হবে না। এসব বলে আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের দিকে খেতে লাউয়ের চাষ করেছিলাম। লাউয়ের ক্ষতি না হয় সেটা মাথায় রেখে পরিবারের অমতে ১০ হাজার টাকায় ৮০টা মাল্টার চারা কিনে লাগাই। দুই বছর পর গাছে ফলন আসে। পরিপক্ব মাল্টা খুব মিষ্টি হয়। এরপর বাড়ির সবাই মাল্টা খেয়ে খুশি হন। তখন থেকে সবজি চাষ ছেড়ে মাল্টার সঙ্গে লেগে পড়ি।
শরিফুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারির দিকে মাল্টা গাছে ফুল আসে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি মাল্টা তোলা যায়। গত বছর দেড় লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। প্রতিকেজি মাল্টা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ পর্যন্ত মাল্টা বাজারে নিতে হয়নি। খেত থেকে তুলে রাস্তার ধারে বসলে বিক্রি হয়ে যায়। দিনে ২ থেকে আড়াই মণ ফল বিক্রি হয়েছে। এবার মাল্টার ফলন অনেক বেশি। দামও বেশি পাব বলে আশা করি। সব মিলে দুই লাখের ওপর বিক্রি হবে।
সফল এ উদ্যোক্তা বলেন, লেখাপড়া শেষ করে কি করব। চাকরি হবে কি না। এ সব নিয়ে এখন আর চিন্তা করি না। মাল্টা ও কমলা চাষের পাশাপাশি নার্সারি করেছি। নার্সারিতে ২৫-৩০ প্রকারের ফলের চারা রয়েছে। ১৫ কাঠা জমিতে পটলের চাষ আছে। এসব থেকে থেকে মাসে গড়ে ২০ হাজার টাকা আয় আছে। এ বছর ঝিকরগাছা মাদ্রাসা থেকে কামিল শেষ হচ্ছে। লেখাপড়া শেষ হওয়ার আগে আমি নিজে স্বাবলম্বী হতে পেরে আনন্দিত।
রোহিতা ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তুহিন বিশ্বাস বলেন, মাল্টা চাষ করে শরিফুল সাড়া ফেলেছেন। অল্পদিনে তিনি চাষে সফলতা পেয়েছেন। এক সময় যে ছেলে চাকরির কথা ভাবতেন। তিনি এখন অনেকের জন্য অনুকরণীয়। শরিফুলের মাল্টা খেত দেখে অনেক যুবক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আমরা কৃষি বিভাগ তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
দাখিল পাসের পর ইউটিউবের মাধ্যমে মাল্টা চাষের সঙ্গে পরিচিত হন শরিফুল ইসলাম।। ২০১৭ সালের শেষের দিকে শুরু করেন মাল্টা চাষ। তিন বছরের মাথায় সফলতা আসে শরিফুলের। বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি।
যশোরের মনিরামপুরের পলাশী গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে শরিফুল। রাজগঞ্জ-পুলেরহাট সড়ক লাগোয়া পূর্বপাশে পলাশী কলেজের উত্তরে তাঁর রয়েছে বড় মাল্টা বাগান। মাত্র ১০ হাজার টাকায় মাল্টা চাষ শুরু করে এখন তাঁর দুই বিঘা জমিতে ২৬০টি মাল্টা গাছ রয়েছে। যার মধ্যে ৩০ শতাংশ জমিতে রয়েছে ৭০টি ফলন্ত মাল্টা গাছ। যা থেকে এ বছর ২ লাখ টাকার ওপরে মাল্টা বিক্রি হবে। বাকি ৯০টা গাছে ভবিষ্যতে মাল্টার ফলন আসবে এমনটি আশা করছেন শিক্ষিত এ যুবক।
শরিফুলের খেতের মাল্টা খেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষি মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। কমাস আগে তিনি যশোরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তখন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা শরিফুলের খেতের মাল্টা দিয়ে মন্ত্রীকে আপ্যায়ন করেন। মাল্টা খেয়ে মন্ত্রী খুশি হওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শরিফুলের বাগানে সৌর বিদ্যুতে চালিত ড্রিপ সেচ প্রদর্শনী দিয়েছেন। যা দিয়ে বিনা খরচায় খেতে সেচ দিতে পারেন তিনি।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে দাখিল পাশ করার পর পারিবারিকভাবে কৃষি কাজের সঙ্গে জড়াই। যতবার সবজি চাষ করেছি কোনো না কোনো ভাবে লসের মুখে পড়েছি। লাভবান হতে পারিনি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে মাল্টা চাষের সন্ধান পাই। বাড়িতে মাল্টা চাষের কথা বললে কেউ রাজি হননি। মাল্টা টক, ভালো ফলন হবে না। এসব বলে আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের দিকে খেতে লাউয়ের চাষ করেছিলাম। লাউয়ের ক্ষতি না হয় সেটা মাথায় রেখে পরিবারের অমতে ১০ হাজার টাকায় ৮০টা মাল্টার চারা কিনে লাগাই। দুই বছর পর গাছে ফলন আসে। পরিপক্ব মাল্টা খুব মিষ্টি হয়। এরপর বাড়ির সবাই মাল্টা খেয়ে খুশি হন। তখন থেকে সবজি চাষ ছেড়ে মাল্টার সঙ্গে লেগে পড়ি।
শরিফুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারির দিকে মাল্টা গাছে ফুল আসে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি মাল্টা তোলা যায়। গত বছর দেড় লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। প্রতিকেজি মাল্টা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ পর্যন্ত মাল্টা বাজারে নিতে হয়নি। খেত থেকে তুলে রাস্তার ধারে বসলে বিক্রি হয়ে যায়। দিনে ২ থেকে আড়াই মণ ফল বিক্রি হয়েছে। এবার মাল্টার ফলন অনেক বেশি। দামও বেশি পাব বলে আশা করি। সব মিলে দুই লাখের ওপর বিক্রি হবে।
সফল এ উদ্যোক্তা বলেন, লেখাপড়া শেষ করে কি করব। চাকরি হবে কি না। এ সব নিয়ে এখন আর চিন্তা করি না। মাল্টা ও কমলা চাষের পাশাপাশি নার্সারি করেছি। নার্সারিতে ২৫-৩০ প্রকারের ফলের চারা রয়েছে। ১৫ কাঠা জমিতে পটলের চাষ আছে। এসব থেকে থেকে মাসে গড়ে ২০ হাজার টাকা আয় আছে। এ বছর ঝিকরগাছা মাদ্রাসা থেকে কামিল শেষ হচ্ছে। লেখাপড়া শেষ হওয়ার আগে আমি নিজে স্বাবলম্বী হতে পেরে আনন্দিত।
রোহিতা ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তুহিন বিশ্বাস বলেন, মাল্টা চাষ করে শরিফুল সাড়া ফেলেছেন। অল্পদিনে তিনি চাষে সফলতা পেয়েছেন। এক সময় যে ছেলে চাকরির কথা ভাবতেন। তিনি এখন অনেকের জন্য অনুকরণীয়। শরিফুলের মাল্টা খেত দেখে অনেক যুবক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আমরা কৃষি বিভাগ তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪