Ajker Patrika

শহরের সড়কে জলাবদ্ধতা

আপডেট : ১২ মে ২০২২, ১১: ৩২
শহরের সড়কে জলাবদ্ধতা

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রবেশের ৭০০ মিটার সড়ক দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে যায়। এ সড়কে বৃষ্টি ছাড়াও সারা বছর লেগে থাকে জলাবদ্ধতা। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ধরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে যেতে হয় হাজারো মানুষকে।

প্রয়োজনীয় কাজ করতে নাগরিকদের নিয়মিত আসতে হয় নগর ভবনে। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে ভোগান্তি মাথায় নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এই সড়কে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে রয়েছে হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ অফিস। এ সড়কে চলাচল করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের জনদুর্ভোগ কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর কেন্দ্রীয় ডাকঘর ঘেঁষা রাস্তাটির পাশেই রয়েছে গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়, গাজীপুর ডায়াবেটিস সেন্টারসহ রয়েছে বেশ কয়েকটি কার্যালয়। এই রাস্তার পাশেই রয়েছে সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহর বাসভবন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় নানান দুর্ঘটনা। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।

এ সড়কে যাতায়াতকারী ছাত্র সোহেল রানা বলে, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শত শত ছাত্রছাত্রী চলাচল করে। অনেক বছর ধরে সড়কের পানি ঠেলে চলাচল করতে হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী এখানে পা পিছলে পড়ে যায়। যানবাহন চলার সময় ময়লা পানি ছিটকে জামাকাপড় নষ্ট হয়।

গাজীপুর মহানগরীর বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ সিটি করপোরেশন গাজীপুর। অথচ নাগরিক সেবার দিক দিয়ে খুবই নিম্নমানের এটি। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বছরের পর বছর সংস্কার ছাড়া পড়ে আছে। কারও মাথা ব্যথা নেই।’

জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিপন আনসারী বলেন, ‘গাজীপুর পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন হয়েছে আট বছর। ইতিমধ্যে দুইবার নির্বাচিত মেয়র এবং দুইবার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করলেও কেউই গাজীপুর সিটির প্রবেশপথের এই রাস্তাটি সংস্কারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেননি।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

গাজীপুর মহানগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান আজমুল ভূঁইয়া বলেন, ‘এই রাস্তাটির জন্য তিন বছর আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। পরে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় চলে গেলেও ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না। বেশ কয়েকবার তাগাদা দিয়েও কাজ করানো সম্ভব হয়নি।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী আকবর আলী বলেন, ‘কয়েক বছর আগে এই রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদার কোনো কারণ ছাড়াই কাজ না করে সময়ক্ষেপণ করছেন।’

আপনাদের এ ক্ষেত্রে কিছু করার আছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আগের দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র আহ্বান করতে হবে। এরপর সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে।’ নতুন দরপত্র কবে নাগাদ আহ্বান করা হবে, এমন প্রশ্নে তিনি কোনো সঠিক সময় জানাতে পারেননি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার করা হবে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে কাজটি এত দিন আটকে ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত