Ajker Patrika

সিনেমার যে গল্প মিলে গেছে সেলিমের জীবনের সঙ্গে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

বর্ণবাদের সমস্যা এখনো কিছু কিছু দেশে প্রকট। বিদেশের মাটিতে অনেকেই এ ধরনের সমস্যায় পড়েন। এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল নির্মাতা শিহাব শাহীনের মেয়ে সফেনের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া থেকে এক রাতে সফেন ফোন করে জানান, এক অস্ট্রেলিয়ান তাঁকে রাস্তায় অনেকক্ষণ ধরে ফলো করছে। ঢাকায় থাকা শিহাব শাহীন দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কী করবেন এত দূর থেকে মেয়ের জন্য? বাবা-মেয়ের নির্ঘুম সেই রাতের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বানিয়েছেন ওয়েব ফিল্ম ‘বাবা সামওয়ানস ফলোয়িং মি’। এতে বাবা-মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম ও তাসনিয়া ফারিণ।

গত বৃহস্পতিবার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। একই দিন রাজধানীর একটি সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় প্রিমিয়ার শো। অনুষ্ঠানে শহীদুজ্জামান সেলিম জানান, তাঁর নিজের মেয়ের সঙ্গেও ঘটেছিল এমন একটি ঘটনা। তাই সিনেমার শুটিংয়ে বারবার আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছিলেন তিনি।

শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘এ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে ও অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে বারবার আমার কণ্ঠ রোধ হয়ে আসছিল। কারণ, এই ধরনের সমস্যায় আমার মেয়েকেও পড়তে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে গিয়ে আমার মেয়ে দুইবার ডাকাতির শিকার হয়েছিল। তাকে ছুরি মেরে আহত করা হয়েছিল। কোর্টে মামলাও হয়েছিল। তিন সেমিস্টার বাকি রেখে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল আমার মেয়ে। এ রকম ঘটনা বিদেশে যারা পড়তে যায় তাদের ক্ষেত্রে অহরহ ঘটে। আমার মেয়ে যে সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরতে পেরেছে, তাতেই আমি খুশি।’

অভিনেতা সেলিম আরও বলেন, ‘এ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে বারবার সেই ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছিল। যদি এ সিনেমায় অভিনয় না করতাম, তাহলে এ ঘটনা কখনোই প্রকাশ করা হতো না। আমি যে চরিত্রটি রূপায়ন করেছি, সেখানে আমার নিজের আবেগটুকু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাস্তবে সেই আবেগ, কষ্ট আর অসহায়ত্ব আরও বড়।’

এ সিনেমায় শেষ মুহূর্তে যুক্ত হয়েছিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম। প্রথমে এ চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল আফজাল হোসেনের। পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সরে দাঁড়ান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত