হারুনুর রশিদ, রায়পুরা
নরসিংদীর রায়পুরায় বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়। এতে ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইটভাটার মালিকেরা কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে দেদার ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত কৃষিজমির মাটি কাটা বন্ধ না হলে উপজেলায় ফসলি জমি কমবে এবং কৃষিজমির উর্বরতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২৫টি ইটভাটা রয়েছে। কাগজপত্র না থাকায় আটটি ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেছে, ছয়টির কোনো ছাড়পত্র নেই। বাকি ১১টি সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিচালিত হচ্ছে।
উপজেলার মুছাপুর ও মহেষপুর ইউনিয়নের বেগমাবাদ ও গৌরিপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে তিনটি ইটভাটা। এসব ইটভাটার পাশেই রয়েছে কৃষিজমি। এলাকায় গেলে দেখা যায়, সবুজ ফসলের মাঠের মাঝখানে ইটের ভাটা। মাঠের মধ্যেই ভাটার চিমনি থেকে আকাশে কালো ধোঁয়া উড়ছে। সেই ধোঁয়ায় বিষিয়ে উঠছে গোটা পরিবেশ। তা ছাড়া ফসলি জমির মাঝখান দিয়ে রাস্তা বানিয়ে ট্রাক্টর চলাচল করছে। কিছু কিছু কৃষকের অসচেতনতার কারণে অনেক ফসলি জমি এখন হুমকির মুখে। ভাটামালিকদের বিভিন্ন প্ররোচনায় আকৃষ্ট হয়ে জমিগুলোর উপরিভাগের মাটি বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে একতা ইটভাটার ম্যানেজার বাবুল মিয়া কথা বলতে রাজি হননি। ফসলি জমির মাটি কীভাবে কাটছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে এএমবি ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীর বলেন, ‘জমির মালিকদের জিজ্ঞাসা করেন। খলাতে (ইটভাটা) আসছেন কেন? আমরা সাংবাদিক-টাংবাদিক গুনি না। প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করেই আমরা খলা চালাই। আমার ক্ষমতার কাছে আপনার ক্ষমতার প্রশ্নই ওঠে না।’
হবি মিয়া নামের আরেক কৃষক বলেন, কৃষকদের বাধা উপেক্ষা করে ইটভাটার মালিকেরা জমির ওপর দিয়ে মাটি নিচ্ছেন। এতে করে ধুলাবালুতে আশপাশের ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে।
ইটভাটার পাশের স্থানীয় বাসিন্দা ধনু মিয়া বলেন, ‘একসময় আমাদের বাড়ির সব গাছগাছালিতে ভরপুর ফল ধরত। এখন ইটভাটার বিরূপ প্রভাবে আগের মতো ফল হয় না। ইটভাটামালিকেরা সংশ্লিষ্ট লোকজনকে ম্যানেজ করেই এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের ভয়ে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইট বানাতে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিজমিতে মূলত জমির ওপরের অংশটা বেশি ব্যবহৃত হয়। এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন বলেন, ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষিজমির ক্ষতি করে কোনো ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কোনো ইটভাটা করার সুযোগ নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তর নরসিংদীর উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রায়পুরায় ২৫টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ও ব্যক্তিগত সমস্যায় আটটি বন্ধ হয়ে গেছে, ছয়টির কোনো ছাড়পত্র নেই। বাকি ১১টি সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিচালিত হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে অচিরেই তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদীর রায়পুরায় বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়। এতে ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইটভাটার মালিকেরা কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে দেদার ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত কৃষিজমির মাটি কাটা বন্ধ না হলে উপজেলায় ফসলি জমি কমবে এবং কৃষিজমির উর্বরতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২৫টি ইটভাটা রয়েছে। কাগজপত্র না থাকায় আটটি ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেছে, ছয়টির কোনো ছাড়পত্র নেই। বাকি ১১টি সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিচালিত হচ্ছে।
উপজেলার মুছাপুর ও মহেষপুর ইউনিয়নের বেগমাবাদ ও গৌরিপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে তিনটি ইটভাটা। এসব ইটভাটার পাশেই রয়েছে কৃষিজমি। এলাকায় গেলে দেখা যায়, সবুজ ফসলের মাঠের মাঝখানে ইটের ভাটা। মাঠের মধ্যেই ভাটার চিমনি থেকে আকাশে কালো ধোঁয়া উড়ছে। সেই ধোঁয়ায় বিষিয়ে উঠছে গোটা পরিবেশ। তা ছাড়া ফসলি জমির মাঝখান দিয়ে রাস্তা বানিয়ে ট্রাক্টর চলাচল করছে। কিছু কিছু কৃষকের অসচেতনতার কারণে অনেক ফসলি জমি এখন হুমকির মুখে। ভাটামালিকদের বিভিন্ন প্ররোচনায় আকৃষ্ট হয়ে জমিগুলোর উপরিভাগের মাটি বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে একতা ইটভাটার ম্যানেজার বাবুল মিয়া কথা বলতে রাজি হননি। ফসলি জমির মাটি কীভাবে কাটছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে এএমবি ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীর বলেন, ‘জমির মালিকদের জিজ্ঞাসা করেন। খলাতে (ইটভাটা) আসছেন কেন? আমরা সাংবাদিক-টাংবাদিক গুনি না। প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করেই আমরা খলা চালাই। আমার ক্ষমতার কাছে আপনার ক্ষমতার প্রশ্নই ওঠে না।’
হবি মিয়া নামের আরেক কৃষক বলেন, কৃষকদের বাধা উপেক্ষা করে ইটভাটার মালিকেরা জমির ওপর দিয়ে মাটি নিচ্ছেন। এতে করে ধুলাবালুতে আশপাশের ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে।
ইটভাটার পাশের স্থানীয় বাসিন্দা ধনু মিয়া বলেন, ‘একসময় আমাদের বাড়ির সব গাছগাছালিতে ভরপুর ফল ধরত। এখন ইটভাটার বিরূপ প্রভাবে আগের মতো ফল হয় না। ইটভাটামালিকেরা সংশ্লিষ্ট লোকজনকে ম্যানেজ করেই এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের ভয়ে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইট বানাতে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিজমিতে মূলত জমির ওপরের অংশটা বেশি ব্যবহৃত হয়। এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন বলেন, ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষিজমির ক্ষতি করে কোনো ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কোনো ইটভাটা করার সুযোগ নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তর নরসিংদীর উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রায়পুরায় ২৫টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ও ব্যক্তিগত সমস্যায় আটটি বন্ধ হয়ে গেছে, ছয়টির কোনো ছাড়পত্র নেই। বাকি ১১টি সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিচালিত হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে অচিরেই তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১৭ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪