Ajker Patrika

ঝড়ের আঘাতে উড়ে গেল ৫ শতাধিক টিনের চালা

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মে ২০২২, ১৯: ৩৩
Thumbnail image

দুই সপ্তাহ আগের ঝড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় নীলফামারীর কয়েক হাজার মানুষ। সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে না-উঠতেই আবারও ঝড়ে লন্ডভন্ড জেলাবাসী। গত বুধবার রাতে ঝড়ের আঘাতে পাঁচ শতাধিক ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। সহস্রাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে। শত শত হেক্টর জমির ইরি-বোরো ফসল এবং আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় গোটা জেলায় প্রায় ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তবে ঝড়ে এখন পর্যন্ত কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ এই ঝড়ে জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে উপড়ে ও ভেঙে পড়ে আছে বড় বড় গাছ। এসব গাছ অপসারণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অনেকেই নিজ উদ্যোগে গাছ অপসারণ করছেন। এদিকে আগে কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমলেও গত রাতের ঝড়ে ফসলের আরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষকেরা।

সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কৃষক আজিজার রহমান জানান, গতকাল ধান কেটে ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। তবে আগের রাতের ঝড়ে মাটিতে নুয়ে পড়েছে প্রায় তিন বিঘা জমির ধান। শোয়ার ঘরের টিনের চালা প্রায় ৩০ ফুট উড়ে নিয়ে ধানখেতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। একই এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতের ঝড়ে আমার চারটি ঘরের চালা উড়ে গেছে। ছেলেমেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টে খোলা আকাশে রাত কাটিয়েছি।’

ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ ফকির বলেন, ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে কাঁচা ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গ্রামীণ সড়কের ধারে শত শত গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ওয়ার্ড সদস্যরা কাজ করছেন।

সৈয়দপুর ফাইলেরিয়া হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জিকো আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, এখানে রাত ১২টার দিকে শুরু হয় ঝড়। ঝড়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরসংলগ্ন দুটি গাছ উপড়ে পড়ে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় গাছের নিচে ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি কার চাপা পড়ে।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপসহকারী পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুত ফসলের জমিতে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি জমে ছিল। আর গত রাতের ঝড়ে আরও ক্ষতি হওয়ার খবর পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ করছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত