Ajker Patrika

সবজির হাটের কারণে মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজট

বেলাব (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ০৯
সবজির হাটের কারণে  মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজট

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে সপ্তাহে তিন দিন সবজির হাট বসে। আশপাশের কয়েক উপজেলার সবজি বিক্রেতারা এখানে আসেন সবজি বিক্রি করতে। এ কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়কের চলাচল করা যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। প্রায়ই ঘটে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। এ দিকে প্রশাসন বলছে দ্রুত নতুন জায়গায় হাট সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, আর কোনো আশা নয়, একটাই দাবি। সবার ভোগান্তি নিরসনে অচিরেই যেন হাটের জন্য নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করা হয় এবং হাট স্থানান্তর করা হয়।

সরেজমিনে গত বুধবার ওই হাটে গেলে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। দূর-দুরান্ত থেকে এসেছেন অনেক পাইকার। ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাতায়াতের সুবিধা থাকায় সব সময়ই জমজমাট থাকে এই হাট। প্রতি শুক্র,সোমবার ও বুধবার এই হাট বসে। সবজির ভরা মৌসুমে জমজমাট হয় এই হাট। তখন মহাসড়কসহ আশপাশের রাস্তাগুলো ক্রেতা-বিক্রেতাদের দখলে থাকে।

এদিকে এই মহাসড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। তাই হাটের দিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তীব্র যানজট তৈরি হয়। যাত্রীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।

উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের সুজন মিয়া বলেন, সবজি বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁদের রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। ফলে একদিকে গাড়ির চাপ অন্যদিকে পুলিশের ধমকানিতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

রহিমেরকান্দি গ্রামের সবজি বিক্রেতা মো. জগৎ মিয়া বলেন, ‘আমাদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। তাই রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এখানেই সবজি নিয়ে বসতে হচ্ছে। এ জন্য প্রতিনিয়ত ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির চাপ সহ্য করতে হয়।’

বারৈচা গ্রামের কবির হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘মহাসড়কে সবজির হাট বসে এটা মেনে নেওয়া যায় না। দীর্ঘ দিন ধরেই এ হাট বসছে। এই হাটের কারণে এখানে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই দাবি- অচিরেই যেন অন্য কোথাও জায়গা নির্ধারণ করে হাটটি স্থানান্তর করা হয়।’

মহাসড়কে চলাচল করা কয়েজন ট্রাক চালকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলছেন, সপ্তাহে তিন দিন তাঁদের যানজটের সম্মুখীন হতে হয়। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই দ্রুত হাটটি সরানো উচিত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যাত্রী বলেন, এই হাট সরানো হবে বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অথচ প্রায় প্রতিদিনই এখানে যানজট লাগে। এ সব যেন দেখার কেউ নেই। এই বাজারের ক্রেতা বিক্রেতা সবারই দাবি দ্রুত হাট টি একটি স্থানান্তরিত হোক।

বারৈচা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ‘বাজার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি বাজারের ভেতরে ক্রেতা বিক্রেতাকে আনার জন্য। কিন্তু সম্ভব হয়নি। সবার নিরাপত্তা ও ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে হাট স্থানান্তর করা দরকার।’

জানতে চাইলে স্থানীয় চর উজিলাব ইউপি চেয়ারম্যান এবং বর্তমান বাজার কমিটির সভাপতি আক্তার হোসেন সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘বাজারটি সরানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে বাজারের পূর্ব পাশের কলেজ রোডে জায়গাও দেখা হয়েছে। জায়গা ঠিক হয়ে গেলে দ্রুতই বাজার সরানো হবে। বাজার সরানোর জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত