নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই বছর আগে সৈয়দ কাজেম কিরমানি শাহ বাংলাদেশে এসে ছোটখাটো একটা ধাক্কাই খেয়েছিলেন। যে দেশে ফুটবলার হতে এসেছেন, সে দেশ ডুবে আছে ক্রিকেটে। ক্রিকেটারের ছেলে হয়ে ফুটবলার হওয়ার জন্য বাংলাদেশে এসে কাজেম কি ভুল করে ফেললেন!
ভুল যে করেননি, দুই মৌসুম পরেই তা প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।
এ সময়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলে নজরে পড়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। ডাক পেয়েছেন ফিলিস্তিনের বিপক্ষে সৌদি আরবে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের ক্যাম্পে।
কাজেমের বাবা সৈয়দ হালিম শাহ নব্বইয়ের দশকের ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। ক্রিকেটারের ছেলে হয়ে কেন ফুটবলার হতে গেলেন? কাজেমের উত্তর, ‘আমরা ২০০৫ সালে কানাডায় চলে যাই। তখন আমার সাত বছর বয়স। আমিও ছোটবেলায় ক্রিকেটার হতে চাইতাম, কিন্তু কানাডায় গিয়ে দেখি কেউ ক্রিকেট খেলে না। অনেক ফুটবল খেলা হয়। অষ্টম জন্মদিনে বাবা একটা ফুটবল কিনে দিলেন। উৎসাহ দিলেন।’
স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ফুটবল খেলা ২৫ বছর বয়সী কাজেমেরও স্বপ্ন ছিল কানাডার হয়ে খেলার। কিন্তু তা পূরণ হয়নি। এরপর বাংলাদেশি এজেন্টের মাধ্যমে ২০২১ সালে সাইফ স্পোর্টিংয়ে ট্রায়ালে এসে টিকলেন। তবে পাসপোর্ট জটিলতায় খেলতে পারেননি। পরের বছর পুলিশ এফসির হয়ে খেলতে এলেন। প্রথম মৌসুমে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাননি। সুযোগ পেয়েছেন এবার। বিপিএল ফুটবলের প্রথম পর্বের ৯ ম্যাচের সব কটিতেই খেলেছেন। ২টি গোলও করেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার কাজেম।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হলেও কাজেমের খেলায় বৈচিত্র্য আছে। খেলতে পারেন লেফট উইঙ্গার হিসেবেও কিংবা নিচে নেমে রক্ষণেও। তবে তাঁর আসল শক্তির জায়গা তাঁর আক্রমণে সৃজনশীলতা। এটাই তাঁকে জায়গা করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রাথমিক দলে।
তবে শুরুর পথটা কাজেমের জন্য সহজ ছিল না। কানাডার মতো উন্নত দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে মানিয়ে নিতে হয়েছে। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলোতেও থাকে সুইমিংপুল, জিম, হট বাথের ব্যবস্থা। ফুটবলারদের ফিটনেস ধরে রাখতে এসব আবশ্যিক চাহিদা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দলে যেসব সুবিধা তিনি পেয়েছেন, বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের দলে তার অর্ধেক সুযোগ-সুবিধাও নেই। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দূর থেকেই ছেলেকে সমর্থন দিয়ে গেছেন বাবা হালিম শাহ।
জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় বাবার কী বার্তা ছিল? এমন প্রশ্নে হেসে ফেলেন কাজেম। বললেন, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম, বাবা কিছু বলতে চান। কিন্তু দেখলাম, তিনি আবেগ লুকানোর চেষ্টা করছেন। হঠাৎ করে বললেন, শুভকামনা বাবা, জাতীয় দলে ডাক পেয়েছ। আমিও শুরুতে আবেগী হতে চাইনি তাঁর কাছে। তারপর যে কী হলো, বুঝতেই পারছেন!’
কানাডার আলবার্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করেছেন কাজেম। চাইলে ফুটবলার না হয়ে বেছে নিতে পারেন অন্য পেশাও। তবে কাজেম ফুটবলটা খেলেন আবেগ আর শখের বশে। বাবার দেখানো স্বপ্ন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চেপে বাংলাদেশকে করতে চান গর্বিত, ‘ক্রিকেটারের ছেলে হয়ে ফুটবলার হওয়ায় আমার আক্ষেপ নেই। শুধু জার্সিটা গায়ে চাপাতে চাই। বিদেশে অনেক বাংলাদেশির সন্তান ফুটবল খেলে, আমাকে দেখে যেন তারাও বাংলাদেশে এসে খেলতে পারে তেমন এক উদাহরণ হতে চাই।’
দুই বছর আগে সৈয়দ কাজেম কিরমানি শাহ বাংলাদেশে এসে ছোটখাটো একটা ধাক্কাই খেয়েছিলেন। যে দেশে ফুটবলার হতে এসেছেন, সে দেশ ডুবে আছে ক্রিকেটে। ক্রিকেটারের ছেলে হয়ে ফুটবলার হওয়ার জন্য বাংলাদেশে এসে কাজেম কি ভুল করে ফেললেন!
ভুল যে করেননি, দুই মৌসুম পরেই তা প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।
এ সময়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলে নজরে পড়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। ডাক পেয়েছেন ফিলিস্তিনের বিপক্ষে সৌদি আরবে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের ক্যাম্পে।
কাজেমের বাবা সৈয়দ হালিম শাহ নব্বইয়ের দশকের ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। ক্রিকেটারের ছেলে হয়ে কেন ফুটবলার হতে গেলেন? কাজেমের উত্তর, ‘আমরা ২০০৫ সালে কানাডায় চলে যাই। তখন আমার সাত বছর বয়স। আমিও ছোটবেলায় ক্রিকেটার হতে চাইতাম, কিন্তু কানাডায় গিয়ে দেখি কেউ ক্রিকেট খেলে না। অনেক ফুটবল খেলা হয়। অষ্টম জন্মদিনে বাবা একটা ফুটবল কিনে দিলেন। উৎসাহ দিলেন।’
স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ফুটবল খেলা ২৫ বছর বয়সী কাজেমেরও স্বপ্ন ছিল কানাডার হয়ে খেলার। কিন্তু তা পূরণ হয়নি। এরপর বাংলাদেশি এজেন্টের মাধ্যমে ২০২১ সালে সাইফ স্পোর্টিংয়ে ট্রায়ালে এসে টিকলেন। তবে পাসপোর্ট জটিলতায় খেলতে পারেননি। পরের বছর পুলিশ এফসির হয়ে খেলতে এলেন। প্রথম মৌসুমে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাননি। সুযোগ পেয়েছেন এবার। বিপিএল ফুটবলের প্রথম পর্বের ৯ ম্যাচের সব কটিতেই খেলেছেন। ২টি গোলও করেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার কাজেম।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হলেও কাজেমের খেলায় বৈচিত্র্য আছে। খেলতে পারেন লেফট উইঙ্গার হিসেবেও কিংবা নিচে নেমে রক্ষণেও। তবে তাঁর আসল শক্তির জায়গা তাঁর আক্রমণে সৃজনশীলতা। এটাই তাঁকে জায়গা করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রাথমিক দলে।
তবে শুরুর পথটা কাজেমের জন্য সহজ ছিল না। কানাডার মতো উন্নত দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে মানিয়ে নিতে হয়েছে। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলোতেও থাকে সুইমিংপুল, জিম, হট বাথের ব্যবস্থা। ফুটবলারদের ফিটনেস ধরে রাখতে এসব আবশ্যিক চাহিদা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দলে যেসব সুবিধা তিনি পেয়েছেন, বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের দলে তার অর্ধেক সুযোগ-সুবিধাও নেই। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দূর থেকেই ছেলেকে সমর্থন দিয়ে গেছেন বাবা হালিম শাহ।
জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় বাবার কী বার্তা ছিল? এমন প্রশ্নে হেসে ফেলেন কাজেম। বললেন, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম, বাবা কিছু বলতে চান। কিন্তু দেখলাম, তিনি আবেগ লুকানোর চেষ্টা করছেন। হঠাৎ করে বললেন, শুভকামনা বাবা, জাতীয় দলে ডাক পেয়েছ। আমিও শুরুতে আবেগী হতে চাইনি তাঁর কাছে। তারপর যে কী হলো, বুঝতেই পারছেন!’
কানাডার আলবার্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করেছেন কাজেম। চাইলে ফুটবলার না হয়ে বেছে নিতে পারেন অন্য পেশাও। তবে কাজেম ফুটবলটা খেলেন আবেগ আর শখের বশে। বাবার দেখানো স্বপ্ন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চেপে বাংলাদেশকে করতে চান গর্বিত, ‘ক্রিকেটারের ছেলে হয়ে ফুটবলার হওয়ায় আমার আক্ষেপ নেই। শুধু জার্সিটা গায়ে চাপাতে চাই। বিদেশে অনেক বাংলাদেশির সন্তান ফুটবল খেলে, আমাকে দেখে যেন তারাও বাংলাদেশে এসে খেলতে পারে তেমন এক উদাহরণ হতে চাই।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১১ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১১ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১১ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫