এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাপ ধারণকারী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষে রয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, চীনের সাংহাই এ তালিকার শীর্ষে। সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্তকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি জানা গেছে। তথ্য প্রকাশ করেছে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর প্রতিষ্ঠিত একটি পরিবেশবাদী মার্কিন সংগঠন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাতটি রাজ্য বা প্রদেশ প্রতি বছর এক বিলিয়ন মেট্রিক টনের বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। এর মধ্যে ছয়টি চীনে এবং বাকি একটি যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার আজারবাইজানের বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এ উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে দেশগুলো নতুন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ এবং দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তার জন্য ধনী দেশগুলো কতটা অর্থ প্রদান করবে তা নির্ধারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্যাটেলাইট ও স্থল পর্যবেক্ষণ থেকে সংগৃহীত তথ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় পূর্ণাঙ্গ করে তোলা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিশ্বের ৯ হাজারের বেশি নগরীর কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইডসহ অন্যান্য বায়ু দূষণের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়েছে।
পৃথিবীতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও মিথেনের নিঃসরণ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬১ দশমিক ২ বিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। মিথেনের নিঃসরণ শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কম সময়ের জন্য হলেও অত্যন্ত প্রভাবশালী।
প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের সাংহাই বছরে ২৫৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। যা কলম্বিয়া বা নরওয়ের পুরো দেশের নিঃসরণের চেয়েও বেশি। টোকিওর নিঃসরণ ২৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। নিউইয়র্ক সিটির নিঃসরণ ১৬০ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং হিউস্টনের ১৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ১৪২ মিলিয়ন মেট্রিক টন নিয়ে শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে আছে।
আল গোর বলেন, ‘টেক্সাসের পারমিয়ান বেসিনকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষণকারী স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম, রাশিয়া বা চীনের কিছু স্থান খুব দূষিত। কিন্তু পারমিয়ান বেসিন তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।’
প্রতিবেদন অনুসারে, চীন, ভারত, ইরান, ইন্দোনেশিয়া এবং রাশিয়ার কার্বন নিঃসরণ ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলা, জাপান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
দূষণকে মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি বলে মন্তব্য করেছেন আল গোর। তিনি জলবায়ু আলোচনা, অর্থাৎ কপ সম্মেলনের আয়োজকদেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আজারবাইজানের মতো তেলসমৃদ্ধ দেশ এবং বিশ্বের প্রথম তেলের খনির স্থান হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রগুলো কপ আয়োজন করছে। গত বছর এটি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।’
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প এবং তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো কপ প্রক্রিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী বছর ব্রাজিলে এর ভিন্ন চিত্র দেখা যাবে। তবে বিশ্বের জন্য এটি মোটেও ভালো নয় যে, সবচেয়ে দূষণকারী শিল্পকেই পুরো প্রক্রিয়ার এতটা নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে।’
এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাপ ধারণকারী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষে রয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, চীনের সাংহাই এ তালিকার শীর্ষে। সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্তকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি জানা গেছে। তথ্য প্রকাশ করেছে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর প্রতিষ্ঠিত একটি পরিবেশবাদী মার্কিন সংগঠন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাতটি রাজ্য বা প্রদেশ প্রতি বছর এক বিলিয়ন মেট্রিক টনের বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। এর মধ্যে ছয়টি চীনে এবং বাকি একটি যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার আজারবাইজানের বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এ উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে দেশগুলো নতুন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ এবং দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তার জন্য ধনী দেশগুলো কতটা অর্থ প্রদান করবে তা নির্ধারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্যাটেলাইট ও স্থল পর্যবেক্ষণ থেকে সংগৃহীত তথ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় পূর্ণাঙ্গ করে তোলা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিশ্বের ৯ হাজারের বেশি নগরীর কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইডসহ অন্যান্য বায়ু দূষণের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়েছে।
পৃথিবীতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও মিথেনের নিঃসরণ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬১ দশমিক ২ বিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। মিথেনের নিঃসরণ শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কম সময়ের জন্য হলেও অত্যন্ত প্রভাবশালী।
প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের সাংহাই বছরে ২৫৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। যা কলম্বিয়া বা নরওয়ের পুরো দেশের নিঃসরণের চেয়েও বেশি। টোকিওর নিঃসরণ ২৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। নিউইয়র্ক সিটির নিঃসরণ ১৬০ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং হিউস্টনের ১৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ১৪২ মিলিয়ন মেট্রিক টন নিয়ে শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে আছে।
আল গোর বলেন, ‘টেক্সাসের পারমিয়ান বেসিনকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষণকারী স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম, রাশিয়া বা চীনের কিছু স্থান খুব দূষিত। কিন্তু পারমিয়ান বেসিন তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।’
প্রতিবেদন অনুসারে, চীন, ভারত, ইরান, ইন্দোনেশিয়া এবং রাশিয়ার কার্বন নিঃসরণ ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলা, জাপান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
দূষণকে মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি বলে মন্তব্য করেছেন আল গোর। তিনি জলবায়ু আলোচনা, অর্থাৎ কপ সম্মেলনের আয়োজকদেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আজারবাইজানের মতো তেলসমৃদ্ধ দেশ এবং বিশ্বের প্রথম তেলের খনির স্থান হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রগুলো কপ আয়োজন করছে। গত বছর এটি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।’
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প এবং তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো কপ প্রক্রিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী বছর ব্রাজিলে এর ভিন্ন চিত্র দেখা যাবে। তবে বিশ্বের জন্য এটি মোটেও ভালো নয় যে, সবচেয়ে দূষণকারী শিল্পকেই পুরো প্রক্রিয়ার এতটা নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে।’
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
০১ জানুয়ারি ১৯৭০দেশে গত পাঁচ বছরে কীটনাশকের ব্যবহার ৮১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে কেয়ার বাংলাদেশ (কেবি) আয়োজিত ‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’—কর্মশালায়
১৪ ঘণ্টা আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ মঙ্গলবার, সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ৭৩। দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ রাজধানীর অবস্থান ২৮তম।
২১ ঘণ্টা আগেসকাল থেকেই ঢাকার আকাশ বেশ মেঘলা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে আজ ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে