অনলাইন ডেস্ক
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। একদল আন্তর্জাতিক গবেষক জানিয়েছেন, ২০২২ সাল থেকে চরম আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বাঁধাকপি, অস্ট্রেলিয়ার লেটুস, জাপানের চাল, ব্রাজিলের কফি এবং ঘানার কোকো অন্যতম।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে—২০২৪ সালের এপ্রিলে ঘানা ও আইভরি কোস্টে তীব্র তাপপ্রবাহের পর বিশ্বব্যাপী কোকোর দাম ২৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই বছর ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বন্যার কারণে লেটুসের দাম ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, তাপপ্রবাহের পরপরই খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায়
মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে খরাকেও দায়ী করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ব্রাজিলে খরার পরের বছর বিশ্ববাজারে কফির দাম ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া, ২০২২ সালে ইথিওপিয়ায় খরা দেখা দিলে ২০২৩ সালে দেশটির খাদ্যপণ্যের দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
ইউরোপের ছয়টি গবেষণা সংস্থা এবং ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক যৌথভাবে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় আগামী ২৭-২৯ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলনের আগে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক, বার্সেলোনা সুপারকম্পিউটিং সেন্টারের ম্যাক্সিমিলিয়ান কোৎজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে না পারছি, ততক্ষণ পর্যন্ত চরম আবহাওয়া আরও খারাপের দিকে যাবে। এর মধ্যেই এটি ফসল নষ্ট করছে এবং বিশ্বজুড়ে খাবারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
কোৎজ আরও বলেন, ‘মানুষজন বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছে। তাদের দৈনন্দিন জীবনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের তালিকায় খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।’ তিনি উল্লেখ করেন, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লে প্রায়শই নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই প্রতিবেদন এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন জীবনযাত্রার ব্যয়—বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে ভোটারদের জন্য প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আর্জেন্টিনার মতো দেশেও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিবেদনের কো-অথর বা সহ-লেখক এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইসিআইইউ) অ্যাম্বার সয়ার বলেন, ‘কেবল যুক্তরাজ্যেই ২০২২ ও ২০২৩ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একটি পরিবারের গড় খাবারের খরচ ৩৬০ পাউন্ড (৪৮২ ডলার) পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন এবং ইংল্যান্ডের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন শস্য উৎপাদন হয়েছে, যার প্রধান কারণ ছিল চরম বৃষ্টিপাত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।’
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসি) অধীনে সরকারগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ ২০১৯ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হলে এই প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। একদল আন্তর্জাতিক গবেষক জানিয়েছেন, ২০২২ সাল থেকে চরম আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বাঁধাকপি, অস্ট্রেলিয়ার লেটুস, জাপানের চাল, ব্রাজিলের কফি এবং ঘানার কোকো অন্যতম।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে—২০২৪ সালের এপ্রিলে ঘানা ও আইভরি কোস্টে তীব্র তাপপ্রবাহের পর বিশ্বব্যাপী কোকোর দাম ২৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই বছর ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বন্যার কারণে লেটুসের দাম ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, তাপপ্রবাহের পরপরই খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায়
মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে খরাকেও দায়ী করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ব্রাজিলে খরার পরের বছর বিশ্ববাজারে কফির দাম ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া, ২০২২ সালে ইথিওপিয়ায় খরা দেখা দিলে ২০২৩ সালে দেশটির খাদ্যপণ্যের দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
ইউরোপের ছয়টি গবেষণা সংস্থা এবং ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক যৌথভাবে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় আগামী ২৭-২৯ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলনের আগে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক, বার্সেলোনা সুপারকম্পিউটিং সেন্টারের ম্যাক্সিমিলিয়ান কোৎজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে না পারছি, ততক্ষণ পর্যন্ত চরম আবহাওয়া আরও খারাপের দিকে যাবে। এর মধ্যেই এটি ফসল নষ্ট করছে এবং বিশ্বজুড়ে খাবারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
কোৎজ আরও বলেন, ‘মানুষজন বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছে। তাদের দৈনন্দিন জীবনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের তালিকায় খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।’ তিনি উল্লেখ করেন, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লে প্রায়শই নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই প্রতিবেদন এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন জীবনযাত্রার ব্যয়—বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে ভোটারদের জন্য প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আর্জেন্টিনার মতো দেশেও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিবেদনের কো-অথর বা সহ-লেখক এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইসিআইইউ) অ্যাম্বার সয়ার বলেন, ‘কেবল যুক্তরাজ্যেই ২০২২ ও ২০২৩ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একটি পরিবারের গড় খাবারের খরচ ৩৬০ পাউন্ড (৪৮২ ডলার) পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন এবং ইংল্যান্ডের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন শস্য উৎপাদন হয়েছে, যার প্রধান কারণ ছিল চরম বৃষ্টিপাত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।’
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসি) অধীনে সরকারগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ ২০১৯ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হলে এই প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আজও হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেএকদিনের ব্যবধানে ব্যাপক অবনতি হয়েছে ঢাকার বায়ুমানে। বর্ষার শুরু থেকেই ঢাকায় বেশ কম ছিল বায়ুদূষণ। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার বাতাসে সবচেয়ে কম দূষণ ছিল গতকাল রোববার। বায়ুমান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুসারে, ঢাকা আজ সোমবার ১৫২ বায়ুমান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দারিদ্র্য অনেকগুণ বাড়তে পারে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে গৃহস্থালি ব্যয়ের বড় অংশ খাবারের পেছনে যায়।
১ দিন আগেবিগত কয়েক দিন ধরেই বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে ঢাকা তুলনামূলক ভালো সময় পার করছে। টানা কয়েক দিন ঢাকার বাতাস ছিল সহনীয় পর্যায়ে। সেই ধারাবাহিকতা আজ রোববারও বজায় রয়েছে। বরং আজ ঢাকার বাতাস বিগত তিন-চার দিনের তুলনায় কম দূষিত।
১ দিন আগে