নাজমুল হক নাঈম
ঘড়িতে তখন ঠিক রাত ৮টা বেজে ১৪। উপস্থাপক মাইক্রোফোনে ঘোষণা করলেন, ‘এখন মঞ্চে আসবেন অনুপম রায়’। আর তখনই পুরো হলরুমে যেন উচ্ছ্বাসের বন্যা বয়ে গেল। মঞ্চে উঠে কোনো কথা না বলেই অনুপম গাইতে শুরু করলেন, ‘আমি আমি জানি জানি, চোরাবালি কতখানি...’। হলরুমের বাইরে তখন দর্শকের ভীষণ চাপ, ভেতরেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
মোহময় এক পরিবেশে এরপর একে একে অনুপম গাইলেন ‘বাড়িয়ে তোমার হাত, আমি তোমার আঙুল ধরতে চাই...’, ‘গভীরে, ‘আমার চোখে ঠোঁটে গালে তুমি লেগে আছ’; আর তাঁর সুরের সঙ্গে মিলে যায় হাজারো কণ্ঠ।
হঠাৎ একটি গানে হলজুড়ে স্তব্ধ নীরবতা। তখন অনুপমের কণ্ঠে ‘সোহাগে আদরে’, সঙ্গে বড় পর্দায় স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে নিয়ে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এটি ছিল ‘বেলা শুরু’ সিনেমার দৃশ্য।
নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ওই সিনেমা দেখে যেতে পারেননি সৌমিত্র ও স্বাতীলেখা। মুক্তির আগেই দুজনে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। ‘সোহাগে আদরে’ গানটি লেখা ও সুর অনুপম রায়ের। গানটি গেয়েছেনও তিনি।
‘বেলা শুরু’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২২ সালে। তার আগেই ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর সৌমিত্র মারা যান। আর এর সাত মাসের মাথায় স্বাতীলেখার মৃত্যু হয়।
এই গানের পর অনুপম একে একে গাইলেন ‘আমি কি তোমায় বিরক্ত করছি’, ‘বন্ধু চল’। শেষ গান হিসেবে অনুপম গাইলেন তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় গান অটোগ্রাফ সিনেমার ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’। এভাবেই যেন সুরে ঢাকা মাতলেন অনুপম রায়।
ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট’ শীর্ষক কনসার্টে অনুপম বারবার প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা। তিনি বারবার ঢাকায় আসতে চান। তাঁর কথায়, ‘এ দেশের শ্রোতারা আমার গান পছন্দ করেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি বহুবার কনসার্টে শ্রোতাদের জয়ধ্বনি পেয়েছি। এর জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’
দুপুরে এক পশলা বৃষ্টির পর বিকালেও ছিল মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। কিন্তু হাজার দর্শককে থামাতে পারেনি বিরূপ আবহাওয়া। বিকালে কনসার্ট শুরু হয় ঢাকার হাতিরপুল সেশনসের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। তারা গেয়ে শোনায় ‘উপ', ‘মনোহর', 'আনন্দ দাও', 'তুলনামূলক রোদছায়া', ‘শহরের দুইটি গান’। এরপরই মঞ্চে আসে মেঘদল। ‘এ হাওয়া আমায় নেবে কতদূর’ গেয়ে শেষ হয় তাদের পরিবেশনা।
রাত ৭টা ২০ মিনিটে মঞ্চে আসে কলকাতার ব্যান্ড ‘তালপাতার সেপাই’। সমস্বরে চিৎকারে তাদের মঞ্চে স্বাগত জানায় হাজারো দর্শক-শ্রোতা। দলটির সদস্যরা মঞ্চে গেয়ে শোনায়, ‘ও দয়াল বিচার করো’ গানটি। এই গানের কথা যেন মুখস্থ গানপ্রেমীদেরও। শিল্পীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে উপস্থিত দর্শকও গেয়ে চলে ‘আমায় গুণ করেছে, খুন করেছে ও বাঁশি’। তালপাতার সেপাই আরও শোনায় ‘অগোছালো মন’, ‘সোনার কাঠি’, ‘মশাদের চুমু’, ‘আমি শুধু খুঁজেছি আমায়’ গানগুলো।
কনসার্টের সর্বশেষ চমক ছিল অর্ণবের গান। তিনি গেয়ে শোনান ‘হারিয়ে গিয়েছি’। পরে ‘তোমার জন্য’ গানটি অর্ণবের সঙ্গে গেয়ে ওঠেন সবাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’ গানটি অর্ণবের কণ্ঠে যেন অন্য মাত্রা পায়। কনসার্টেও এদিন গানটি শোনান অর্ণব। সঙ্গে বাঁশির সংগীতায়োজন যেন মিলনায়তনে অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে। পরে একে একে অর্ণব শোনান ‘সোনা দিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর’, ‘সে যে বসে আছে একা একা’ গানগুলো।
ঘড়িতে তখন ঠিক রাত ৮টা বেজে ১৪। উপস্থাপক মাইক্রোফোনে ঘোষণা করলেন, ‘এখন মঞ্চে আসবেন অনুপম রায়’। আর তখনই পুরো হলরুমে যেন উচ্ছ্বাসের বন্যা বয়ে গেল। মঞ্চে উঠে কোনো কথা না বলেই অনুপম গাইতে শুরু করলেন, ‘আমি আমি জানি জানি, চোরাবালি কতখানি...’। হলরুমের বাইরে তখন দর্শকের ভীষণ চাপ, ভেতরেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
মোহময় এক পরিবেশে এরপর একে একে অনুপম গাইলেন ‘বাড়িয়ে তোমার হাত, আমি তোমার আঙুল ধরতে চাই...’, ‘গভীরে, ‘আমার চোখে ঠোঁটে গালে তুমি লেগে আছ’; আর তাঁর সুরের সঙ্গে মিলে যায় হাজারো কণ্ঠ।
হঠাৎ একটি গানে হলজুড়ে স্তব্ধ নীরবতা। তখন অনুপমের কণ্ঠে ‘সোহাগে আদরে’, সঙ্গে বড় পর্দায় স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে নিয়ে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এটি ছিল ‘বেলা শুরু’ সিনেমার দৃশ্য।
নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ওই সিনেমা দেখে যেতে পারেননি সৌমিত্র ও স্বাতীলেখা। মুক্তির আগেই দুজনে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। ‘সোহাগে আদরে’ গানটি লেখা ও সুর অনুপম রায়ের। গানটি গেয়েছেনও তিনি।
‘বেলা শুরু’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২২ সালে। তার আগেই ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর সৌমিত্র মারা যান। আর এর সাত মাসের মাথায় স্বাতীলেখার মৃত্যু হয়।
এই গানের পর অনুপম একে একে গাইলেন ‘আমি কি তোমায় বিরক্ত করছি’, ‘বন্ধু চল’। শেষ গান হিসেবে অনুপম গাইলেন তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় গান অটোগ্রাফ সিনেমার ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’। এভাবেই যেন সুরে ঢাকা মাতলেন অনুপম রায়।
ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট’ শীর্ষক কনসার্টে অনুপম বারবার প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা। তিনি বারবার ঢাকায় আসতে চান। তাঁর কথায়, ‘এ দেশের শ্রোতারা আমার গান পছন্দ করেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি বহুবার কনসার্টে শ্রোতাদের জয়ধ্বনি পেয়েছি। এর জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’
দুপুরে এক পশলা বৃষ্টির পর বিকালেও ছিল মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। কিন্তু হাজার দর্শককে থামাতে পারেনি বিরূপ আবহাওয়া। বিকালে কনসার্ট শুরু হয় ঢাকার হাতিরপুল সেশনসের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। তারা গেয়ে শোনায় ‘উপ', ‘মনোহর', 'আনন্দ দাও', 'তুলনামূলক রোদছায়া', ‘শহরের দুইটি গান’। এরপরই মঞ্চে আসে মেঘদল। ‘এ হাওয়া আমায় নেবে কতদূর’ গেয়ে শেষ হয় তাদের পরিবেশনা।
রাত ৭টা ২০ মিনিটে মঞ্চে আসে কলকাতার ব্যান্ড ‘তালপাতার সেপাই’। সমস্বরে চিৎকারে তাদের মঞ্চে স্বাগত জানায় হাজারো দর্শক-শ্রোতা। দলটির সদস্যরা মঞ্চে গেয়ে শোনায়, ‘ও দয়াল বিচার করো’ গানটি। এই গানের কথা যেন মুখস্থ গানপ্রেমীদেরও। শিল্পীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে উপস্থিত দর্শকও গেয়ে চলে ‘আমায় গুণ করেছে, খুন করেছে ও বাঁশি’। তালপাতার সেপাই আরও শোনায় ‘অগোছালো মন’, ‘সোনার কাঠি’, ‘মশাদের চুমু’, ‘আমি শুধু খুঁজেছি আমায়’ গানগুলো।
কনসার্টের সর্বশেষ চমক ছিল অর্ণবের গান। তিনি গেয়ে শোনান ‘হারিয়ে গিয়েছি’। পরে ‘তোমার জন্য’ গানটি অর্ণবের সঙ্গে গেয়ে ওঠেন সবাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’ গানটি অর্ণবের কণ্ঠে যেন অন্য মাত্রা পায়। কনসার্টেও এদিন গানটি শোনান অর্ণব। সঙ্গে বাঁশির সংগীতায়োজন যেন মিলনায়তনে অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে। পরে একে একে অর্ণব শোনান ‘সোনা দিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর’, ‘সে যে বসে আছে একা একা’ গানগুলো।
শনিবারের সকালটি যেন বিষাদে ভরা এক সংগীত—শব্দহীন অথচ গভীর প্রার্থনায় মগ্ন। চলে গেলেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। তিনি কেবল শুধু একজন সংগীতশিল্পী বা গবেষক নন, ছিলেন আমাদের সাংস্কৃতিক সত্তার এক সৌম্য প্রতিনিধি, এক অনন্য মানুষ। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি, পুরানা পল্টনের সরু গলির ভেতরে সাপ্তাহিক...
১০ ঘণ্টা আগেআজ আন্তর্জাতিক মা দিবস। পর্দায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম দিলারা জামান ও ডলি জহুর। শিল্পীরা বাস্তবেও তাঁদের মা বলে ডাকেন। তাঁরাও জড়িয়ে গেছেন পর্দার সন্তানের মায়ায়। দুজনেই দেশে একা থাকেন, আর তাঁদের সন্তানেরা থাকেন প্রবাসে। সন্তানদের সঙ্গে বিদেশে না গিয়ে...
১০ ঘণ্টা আগে২০১৬ সালে ‘আইসক্রিম’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক নাজিফা তুষির। প্রথম সিনেমায় অতটা সাফল্য পাননি। তাই দীর্ঘদিন ছিলেন বড় পর্দা থেকে দূরে। ৬ বছর বিরতির পর ২০২২ সালে মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ দিয়ে চমকে দেন তুষি। এরপর আবার অন্তরালে। হাওয়ার সাফল্যের দুই বছর পর গত অক্টোবরে জানা যায়, সুমনের আরও একটি সিনেমায়...
১০ ঘণ্টা আগেওটিটি প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত কনটেন্ট দেখেন অজয় দেবগন। কমেডি সিরিজই তাঁর বেশি পছন্দের। বোম্বে টাইমসকে অভিনেতা জানিয়েছেন, এখন কোন সিরিজ দেখছেন তিনি। সবাইকে সিরিজটি দেখার পরামর্শও দিয়েছেন অজয়।
১০ ঘণ্টা আগে