আনিসুল ইসলাম নাঈম
সাদিয়া আফরিন মজুমদার উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানির ডাড স্কলারশিপ পেয়েছেন। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা শ্রীমঙ্গলে। তিনি ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সাদিয়া বর্তমানে জার্মানির কোলন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে পড়াশোনা করছেন।
ডাড স্কলারশিপ
ডাড স্কলারশিপ হলো জার্মান ফেডারেল ও রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশন ইন জার্মানি পরিচালিত একটি স্কলারশিপ। প্রকৃতপক্ষে একাডেমিক অনুদানের জন্য ডাড পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম সংস্থা। প্রতিবছর মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রায় সব বিষয় ও ডিগ্রি স্তরের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই বৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হয়।
অভিজ্ঞতাটা নাটকীয় ছিল
বৃত্তি পাওয়ার শুরুর অভিজ্ঞতাটা কিছুটা নাটকীয় ছিল। আমাকে প্রথম যে ইন্টারভিউর জন্য ফোন করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে আমি আগে কিছুই জানতাম না। অফিসের কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই জার্মানির একটা নম্বর থেকে কল পেয়ে চমকে গিয়েছিলাম। ফোন রিসিভ করে জানতে পারলাম, এখনই আমার ২০ মিনিটের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। কারণ, আমি প্রাথমিকভাবে বৃত্তির জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনীত হয়েছি। সাক্ষাৎকারে ডাডের একজন কো-অর্ডিনেটর এবং আমার মাস্টার্স প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর উপস্থিত ছিলেন। এই সাক্ষাৎকারের পর স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড লেটার হাতে পাওয়া পর্যন্ত যাত্রাটা ছিল প্রায় তিন মাসের। পুরো সময়টাই অনেকটা উত্তেজনা, ভয় আর ঘোরের মধ্যে কেটেছে।
বৃত্তি পাওয়ার পেছনে
ছোটবেলা থেকে বাবা আমাকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। দেশে দেশে ঘুরে নিজের দেখার ও জানার পরিধি আরও প্রসারিত করার কথা বলতেন। বাবার সব সময়ই ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়েরা আত্মনির্ভরশীল হবে। এ কারণে আমিও সব সময় নিজের পড়াশোনা আর ক্যারিয়ারকে সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছি। পুরো পরিবারই এ ব্যাপারে সব সময় সহযোগিতা করেছে। আমি ব্যাচেলর ডিগ্রি পাওয়ার পরই চাকরিতে জয়েন করি। এর আগে ছাত্রাবস্থা থেকে বিভিন্ন গবেষণার কাজে সম্পৃক্ত হই। গবেষণা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করি। একাধিক ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে আমার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। ডাডের মতো বৃত্তি নিয়ে পড়তে পারব, এই আত্মবিশ্বাস আমার তখনো ছিল না। এ বিষয়ে সব সময় অনুপ্রেরণা আর সাহস জুগিয়েছে আমার স্বামী স্থপতি মাহিনুল হক। আমরা দুজনই বর্তমানে ডাড স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানিতে পড়াশোনা করছি।
যেসব বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে ডাড স্কলারশিপে মেডিসিন, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্ট, মিউজিক, স্পোর্টস, গণিত, ন্যাচারাল সায়েন্স, আইন, অর্থনীতি, সোশ্যাল সায়েন্স, কালচারাল স্টাডিজ, ল্যাঙ্গুয়েজ, ভেটেরিনারি মেডিসিন, কৃষি, ফরেস্ট্রি, পুষ্টিবিজ্ঞান; এসব ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা
ডাডের মাস্টার্স স্কলারশিপে আবেদনের জন্য মূলত চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং কমপক্ষে দুই বছরের প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীর ব্যাচেলর ডিগ্রি সার্টিফিকেট ছয় বছরের বেশি পুরোনো হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সিলেকশনের ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ভিন্ন হতে পারে। একাডেমিক রেজাল্ট, রিসার্চ পাবলিকেশন, মোটিভেশনাল লেটার এই স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্কলারশিপে সুযোগ-সুবিধা
ডাড স্কলারশিপ পেলে প্রোগ্রাম অনুসারে মাসিক ৯৩৪ থেকে ১ হাজার ২০০ ইউরো শিক্ষা ভাতা, এককালীন গবেষণা ভাতা, ভ্রমণ ব্যয় এবং স্বাস্থ্যবিমা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় পরিবারের সদস্যদের জন্য মাসিক ভাতা ও রেন্ট সাবসিডিও পাওয়া যায়। ডাড মূলত পড়াশোনার পর অর্জিত জ্ঞানকে নিজের দেশে কাজে লাগাতে দেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। উপযুক্ত যোগ্যতা ও ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করে পড়াশোনার পর জার্মানিতেও চাকরি পাওয়া সম্ভব।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
স্কলারশিপে আবেদনের জন্য যা যা প্রয়োজন, সেগুলোর মধ্যে আছে ডাড অ্যাপ্লিকেশন ফরম, সব একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট, মোটিভেশনাল লেটার, ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি, ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট, রিকমেন্ডেশন লেটার ও আইইএলটিএস বা টোফেল সার্টিফিকেট।
আবেদন যেভাবে
সাধারণত ডাডের বিভিন্ন স্কলারশিপ ও প্রোগ্রামের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া ভিন্ন হয়ে থাকে। আবেদন করার জন্য ডাডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ‘স্কলারশিপ ডেটাবেইস’ থেকে স্কলারশিপ টাইপ ও প্রোগ্রাম অনুযায়ী প্রোগ্রাম ব্রোশিয়ার সংগ্রহ করা যায়। যেখানে প্রোগ্রাম অনুযায়ী আবেদন প্রক্রিয়া, ডেডলাইন ও প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দেওয়া থাকে।
নতুনদের স্কলারশিপ পেতে
ডাড স্কলারশিপের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগ্যতার মাপকাঠি। তাই ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের পর খুব বেশি সময় নষ্ট না করে যথাযথ প্রফেশনাল ফিল্ডে কাজ শুরু করলে দ্রুত এই স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। এ ছাড়া অনেকে প্রফেশন এবং রিসার্চকে দুটি ভিন্ন দিক হিসেবে মনে করেন। কিন্তু ডাড স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে দুটিই বেশ কাজে লাগে। তাই পড়াশোনা অথবা চাকরির পাশাপাশি নিজস্ব আগ্রহের জায়গা থেকে গবেষণার কাজে অংশগ্রহণ করলে সফলতা আসবে।
সাদিয়া আফরিন মজুমদার, শিক্ষার্থী, ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, কোলন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, জার্মানি
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
সাদিয়া আফরিন মজুমদার উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানির ডাড স্কলারশিপ পেয়েছেন। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা শ্রীমঙ্গলে। তিনি ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সাদিয়া বর্তমানে জার্মানির কোলন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে পড়াশোনা করছেন।
ডাড স্কলারশিপ
ডাড স্কলারশিপ হলো জার্মান ফেডারেল ও রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশন ইন জার্মানি পরিচালিত একটি স্কলারশিপ। প্রকৃতপক্ষে একাডেমিক অনুদানের জন্য ডাড পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম সংস্থা। প্রতিবছর মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রায় সব বিষয় ও ডিগ্রি স্তরের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই বৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হয়।
অভিজ্ঞতাটা নাটকীয় ছিল
বৃত্তি পাওয়ার শুরুর অভিজ্ঞতাটা কিছুটা নাটকীয় ছিল। আমাকে প্রথম যে ইন্টারভিউর জন্য ফোন করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে আমি আগে কিছুই জানতাম না। অফিসের কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই জার্মানির একটা নম্বর থেকে কল পেয়ে চমকে গিয়েছিলাম। ফোন রিসিভ করে জানতে পারলাম, এখনই আমার ২০ মিনিটের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। কারণ, আমি প্রাথমিকভাবে বৃত্তির জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনীত হয়েছি। সাক্ষাৎকারে ডাডের একজন কো-অর্ডিনেটর এবং আমার মাস্টার্স প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর উপস্থিত ছিলেন। এই সাক্ষাৎকারের পর স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড লেটার হাতে পাওয়া পর্যন্ত যাত্রাটা ছিল প্রায় তিন মাসের। পুরো সময়টাই অনেকটা উত্তেজনা, ভয় আর ঘোরের মধ্যে কেটেছে।
বৃত্তি পাওয়ার পেছনে
ছোটবেলা থেকে বাবা আমাকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। দেশে দেশে ঘুরে নিজের দেখার ও জানার পরিধি আরও প্রসারিত করার কথা বলতেন। বাবার সব সময়ই ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়েরা আত্মনির্ভরশীল হবে। এ কারণে আমিও সব সময় নিজের পড়াশোনা আর ক্যারিয়ারকে সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছি। পুরো পরিবারই এ ব্যাপারে সব সময় সহযোগিতা করেছে। আমি ব্যাচেলর ডিগ্রি পাওয়ার পরই চাকরিতে জয়েন করি। এর আগে ছাত্রাবস্থা থেকে বিভিন্ন গবেষণার কাজে সম্পৃক্ত হই। গবেষণা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করি। একাধিক ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে আমার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। ডাডের মতো বৃত্তি নিয়ে পড়তে পারব, এই আত্মবিশ্বাস আমার তখনো ছিল না। এ বিষয়ে সব সময় অনুপ্রেরণা আর সাহস জুগিয়েছে আমার স্বামী স্থপতি মাহিনুল হক। আমরা দুজনই বর্তমানে ডাড স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানিতে পড়াশোনা করছি।
যেসব বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে ডাড স্কলারশিপে মেডিসিন, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্ট, মিউজিক, স্পোর্টস, গণিত, ন্যাচারাল সায়েন্স, আইন, অর্থনীতি, সোশ্যাল সায়েন্স, কালচারাল স্টাডিজ, ল্যাঙ্গুয়েজ, ভেটেরিনারি মেডিসিন, কৃষি, ফরেস্ট্রি, পুষ্টিবিজ্ঞান; এসব ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা
ডাডের মাস্টার্স স্কলারশিপে আবেদনের জন্য মূলত চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং কমপক্ষে দুই বছরের প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীর ব্যাচেলর ডিগ্রি সার্টিফিকেট ছয় বছরের বেশি পুরোনো হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সিলেকশনের ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ভিন্ন হতে পারে। একাডেমিক রেজাল্ট, রিসার্চ পাবলিকেশন, মোটিভেশনাল লেটার এই স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্কলারশিপে সুযোগ-সুবিধা
ডাড স্কলারশিপ পেলে প্রোগ্রাম অনুসারে মাসিক ৯৩৪ থেকে ১ হাজার ২০০ ইউরো শিক্ষা ভাতা, এককালীন গবেষণা ভাতা, ভ্রমণ ব্যয় এবং স্বাস্থ্যবিমা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় পরিবারের সদস্যদের জন্য মাসিক ভাতা ও রেন্ট সাবসিডিও পাওয়া যায়। ডাড মূলত পড়াশোনার পর অর্জিত জ্ঞানকে নিজের দেশে কাজে লাগাতে দেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। উপযুক্ত যোগ্যতা ও ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করে পড়াশোনার পর জার্মানিতেও চাকরি পাওয়া সম্ভব।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
স্কলারশিপে আবেদনের জন্য যা যা প্রয়োজন, সেগুলোর মধ্যে আছে ডাড অ্যাপ্লিকেশন ফরম, সব একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট, মোটিভেশনাল লেটার, ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি, ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট, রিকমেন্ডেশন লেটার ও আইইএলটিএস বা টোফেল সার্টিফিকেট।
আবেদন যেভাবে
সাধারণত ডাডের বিভিন্ন স্কলারশিপ ও প্রোগ্রামের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া ভিন্ন হয়ে থাকে। আবেদন করার জন্য ডাডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ‘স্কলারশিপ ডেটাবেইস’ থেকে স্কলারশিপ টাইপ ও প্রোগ্রাম অনুযায়ী প্রোগ্রাম ব্রোশিয়ার সংগ্রহ করা যায়। যেখানে প্রোগ্রাম অনুযায়ী আবেদন প্রক্রিয়া, ডেডলাইন ও প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দেওয়া থাকে।
নতুনদের স্কলারশিপ পেতে
ডাড স্কলারশিপের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগ্যতার মাপকাঠি। তাই ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের পর খুব বেশি সময় নষ্ট না করে যথাযথ প্রফেশনাল ফিল্ডে কাজ শুরু করলে দ্রুত এই স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। এ ছাড়া অনেকে প্রফেশন এবং রিসার্চকে দুটি ভিন্ন দিক হিসেবে মনে করেন। কিন্তু ডাড স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে দুটিই বেশ কাজে লাগে। তাই পড়াশোনা অথবা চাকরির পাশাপাশি নিজস্ব আগ্রহের জায়গা থেকে গবেষণার কাজে অংশগ্রহণ করলে সফলতা আসবে।
সাদিয়া আফরিন মজুমদার, শিক্ষার্থী, ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, কোলন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, জার্মানি
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
ছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্ত হলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই রাজনীতিসচেতন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
১৪ ঘণ্টা আগে১৫ জুলাই, ২০২৪, সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে গিয়ে দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলা চালিয়েছে। মনে হলো, এত দিন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে অংশ নিয়েছি যেসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, আর এখন সেসব শিক্ষার্থীরাই নির্যাতিত; তাদের পাশে দাঁড়ানোই হবে সত্যিকারের
১৫ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে
১৭ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
১ দিন আগে