Ajker Patrika

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র হয়ে ওঠে বিক্ষোভ

রুবায়েত হোসেন, খুবি
জুলাই আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্ত হলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই রাজনীতিসচেতন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।

গত ৭ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের সূচনা হয়। এ ছাড়া জুলাইয়ের শুরুতে ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকের সঙ্গে সঙ্গে খুলনায়ও বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

৯ জুলাই শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্বালন করে প্রতিবাদ জানান। ১১ জুলাই ভারী বৃষ্টির মধ্যেও খুলনার জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এরপর ১৪ জুলাই গণপদযাত্রা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

১৫ জুলাই ঢাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মধ্যরাতে খুলনার হলগুলোর শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে মিছিল করেন। ১৭ জুলাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে অনেক শিক্ষার্থী মেস ও ভাড়া বাসায় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যান।

১৮ জুলাই ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন খুবির গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মীর মাহাফুজুর রহমান মুগ্ধ। তাঁর মৃত্যুর পর আন্দোলন আরও বেগবান হয়।

১ আগস্ট শিক্ষকেরা মাথায় লাল কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করেন, যা আন্দোলনে নতুন মাত্রা আনে। ৩ আগস্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে অনেকে আহত হন।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের মধ্য দিয়ে আন্দোলন বিজয়ে পরিণত হয়।

সমন্বয়ক মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘শহীদ মুগ্ধ ও আবু সাঈদের রক্তের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন আমাদের দায়িত্ব এই স্বাধীনতা রক্ষা করা।’

সমন্বয়ক আয়মান আহাদ বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণবঙ্গের প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিল। আমাদের দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত