বই থেকে শিক্ষা
সাব্বির হোসেন
প্রতিদিনই আমরা নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিই। এই যেমন কি পরব, কোথায় যাব, কাকে বিশ্বাস করব কিংবা কোন পেশা বেছে নেব। কিন্তু এসব সিদ্ধান্তে যুক্তির চেয়ে আবেগ বা সামাজিক চাপ কতটা প্রভাব ফেলে? ঠিক এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেয় রোলফ ডবেলির বই ‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি’। বইটিতে সহজ ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে আমাদের চিন্তার অদৃশ্য ফাঁদগুলো।
কগনিটিভ বায়াসের বিপজ্জনক জাল
আমাদের চিন্তায় প্রতিনিয়ত কাজ করে কিছু অদৃশ্য ফাঁদ—যাকে বলে ‘কগনিটিভ বায়াস’। এসব মানসিক বিভ্রান্তির কারণে আমরা ভুল সিদ্ধান্ত নিই, অথচ নিজেকে যুক্তিসংগত ভাবি। রোলফ ডবেলি তার বইয়ে দেখিয়েছেন, এসব বায়াস শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পেশাগত সিদ্ধান্তেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বইয়ের বিন্যাস ও মূল কাঠামো
বইটির ৯৯টি অধ্যায়ই একটি নির্দিষ্ট মানসিক বিভ্রান্তি ব্যাখ্যা করে। উদাহরণ:
বাস্তব উদাহরণে চিন্তার বিকৃতি
এই বইয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি এর বাস্তব উদাহরণ। ধরুন, আপনি একঘেয়ে একটি সিনেমা দেখতে গিয়ে ভাবছেন, ‘টাকা তো দিয়েছি, শেষ না করে বের হওয়া ঠিক হবে না।’ এটিই সাংক কস্ট ফ্যালাসি। আবার, কোনো রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী হলে আপনি কেবল সেই তথ্যই খুঁজবেন যা আপনার মতকে সমর্থন করে। এটি কনফার্মেশন বায়াস। এমন শতাধিক বিভ্রান্তিমূলক চিন্তা লেখক সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন, যেন আমরা নিজের ভুলগুলো চিনে নিতে পারি।
চিন্তার ভুলে ব্যক্তিজীবনে প্রভাব
এই ভুল চিন্তাগুলো শুধু বড় সিদ্ধান্তেই নয়, আমাদের প্রতিদিনের জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে। কারও সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ, অপ্রয়োজনীয় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বা ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত থেকে বের হতে না পারার পেছনেও কাজ করে মানসিক বিভ্রান্তি। রোলফ ডবেলির বইটি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ, অনুভব ও চিন্তাকে বিশ্লেষণ করতে শেখায়।
ব্যবসা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেও বিভ্রান্তি
‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি’ শুধু ব্যক্তিগত উন্নয়নের বই নয়, করপোরেট সিদ্ধান্ত, লিডারশিপ ও টিম ম্যানেজমেন্টেও কার্যকর। লেখক দেখিয়েছেন, গ্রুপ থিংক বা আউটকাম বায়াসের মতো বিভ্রান্তি বড় কোম্পানিগুলোকেও ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে।
সামাজিক মাধ্যম ও তথ্য বিভ্রান্তি
ডিজিটাল যুগে মানুষ শুধু খবরই নয়, নিজের আবেগ ও মতামতও প্রকাশ করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই সময়ে সারভাইভারশিপ বায়াস, কনফার্মেশন বায়াস, হালো ইফেক্ট আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শিরোনাম দেখে মত গঠন, যাচাই না করেই শেয়ার, আর নিজস্ব ভাবনার বুদ্বুদে আটকে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করে। রোলফ ডবেলির বইটি এই চক্র ভাঙার পথ দেখায়।
শিক্ষাব্যবস্থা ও চিন্তার স্বাধীনতা
এই বই শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই চিন্তার কাঠামো পুনর্গঠনের এক অসাধারণ রিসোর্স। এটি শিক্ষার্থীদের শেখায়—‘আমি যা ভাবছি, সেটা কেন ভাবছি?’ শিক্ষকদের শেখায় ‘কীভাবে চিন্তা করতে শেখাতে হয়’।
জীবনদর্শন ও আত্মোন্নয়ন
‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি’ শুধু যুক্তি শেখায় না, এটি আত্মপর্যালোচনার মাধ্যমে জীবনধারাকেও উন্নত করতে সাহায্য করে। কবে শেষবার নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন? কবে নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘আমি ঠিক পথে আছি তো?’ এই বই এমন প্রশ্ন করাতে শেখায়, উত্তর খুঁজে নিতে সাহায্য করে।
বইটির বৈশ্বিক প্রভাব ও জনপ্রিয়তা
বইটি প্রকাশের পরপরই বিশ্বজুড়ে পাঠকের ভালোবাসা পেয়েছে। অনূদিত হয়েছে ৪০টির বেশি ভাষায়, মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী থেকে চিকিৎসক—সবাই বইটির শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে কাজে লাগাতে পেরেছেন।
প্রতিদিনই আমরা নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিই। এই যেমন কি পরব, কোথায় যাব, কাকে বিশ্বাস করব কিংবা কোন পেশা বেছে নেব। কিন্তু এসব সিদ্ধান্তে যুক্তির চেয়ে আবেগ বা সামাজিক চাপ কতটা প্রভাব ফেলে? ঠিক এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেয় রোলফ ডবেলির বই ‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি’। বইটিতে সহজ ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে আমাদের চিন্তার অদৃশ্য ফাঁদগুলো।
কগনিটিভ বায়াসের বিপজ্জনক জাল
আমাদের চিন্তায় প্রতিনিয়ত কাজ করে কিছু অদৃশ্য ফাঁদ—যাকে বলে ‘কগনিটিভ বায়াস’। এসব মানসিক বিভ্রান্তির কারণে আমরা ভুল সিদ্ধান্ত নিই, অথচ নিজেকে যুক্তিসংগত ভাবি। রোলফ ডবেলি তার বইয়ে দেখিয়েছেন, এসব বায়াস শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পেশাগত সিদ্ধান্তেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বইয়ের বিন্যাস ও মূল কাঠামো
বইটির ৯৯টি অধ্যায়ই একটি নির্দিষ্ট মানসিক বিভ্রান্তি ব্যাখ্যা করে। উদাহরণ:
বাস্তব উদাহরণে চিন্তার বিকৃতি
এই বইয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি এর বাস্তব উদাহরণ। ধরুন, আপনি একঘেয়ে একটি সিনেমা দেখতে গিয়ে ভাবছেন, ‘টাকা তো দিয়েছি, শেষ না করে বের হওয়া ঠিক হবে না।’ এটিই সাংক কস্ট ফ্যালাসি। আবার, কোনো রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী হলে আপনি কেবল সেই তথ্যই খুঁজবেন যা আপনার মতকে সমর্থন করে। এটি কনফার্মেশন বায়াস। এমন শতাধিক বিভ্রান্তিমূলক চিন্তা লেখক সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন, যেন আমরা নিজের ভুলগুলো চিনে নিতে পারি।
চিন্তার ভুলে ব্যক্তিজীবনে প্রভাব
এই ভুল চিন্তাগুলো শুধু বড় সিদ্ধান্তেই নয়, আমাদের প্রতিদিনের জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে। কারও সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ, অপ্রয়োজনীয় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বা ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত থেকে বের হতে না পারার পেছনেও কাজ করে মানসিক বিভ্রান্তি। রোলফ ডবেলির বইটি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ, অনুভব ও চিন্তাকে বিশ্লেষণ করতে শেখায়।
ব্যবসা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেও বিভ্রান্তি
‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি’ শুধু ব্যক্তিগত উন্নয়নের বই নয়, করপোরেট সিদ্ধান্ত, লিডারশিপ ও টিম ম্যানেজমেন্টেও কার্যকর। লেখক দেখিয়েছেন, গ্রুপ থিংক বা আউটকাম বায়াসের মতো বিভ্রান্তি বড় কোম্পানিগুলোকেও ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে।
সামাজিক মাধ্যম ও তথ্য বিভ্রান্তি
ডিজিটাল যুগে মানুষ শুধু খবরই নয়, নিজের আবেগ ও মতামতও প্রকাশ করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই সময়ে সারভাইভারশিপ বায়াস, কনফার্মেশন বায়াস, হালো ইফেক্ট আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শিরোনাম দেখে মত গঠন, যাচাই না করেই শেয়ার, আর নিজস্ব ভাবনার বুদ্বুদে আটকে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করে। রোলফ ডবেলির বইটি এই চক্র ভাঙার পথ দেখায়।
শিক্ষাব্যবস্থা ও চিন্তার স্বাধীনতা
এই বই শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই চিন্তার কাঠামো পুনর্গঠনের এক অসাধারণ রিসোর্স। এটি শিক্ষার্থীদের শেখায়—‘আমি যা ভাবছি, সেটা কেন ভাবছি?’ শিক্ষকদের শেখায় ‘কীভাবে চিন্তা করতে শেখাতে হয়’।
জীবনদর্শন ও আত্মোন্নয়ন
‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি’ শুধু যুক্তি শেখায় না, এটি আত্মপর্যালোচনার মাধ্যমে জীবনধারাকেও উন্নত করতে সাহায্য করে। কবে শেষবার নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন? কবে নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘আমি ঠিক পথে আছি তো?’ এই বই এমন প্রশ্ন করাতে শেখায়, উত্তর খুঁজে নিতে সাহায্য করে।
বইটির বৈশ্বিক প্রভাব ও জনপ্রিয়তা
বইটি প্রকাশের পরপরই বিশ্বজুড়ে পাঠকের ভালোবাসা পেয়েছে। অনূদিত হয়েছে ৪০টির বেশি ভাষায়, মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী থেকে চিকিৎসক—সবাই বইটির শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে কাজে লাগাতে পেরেছেন।
ছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্ত হলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই রাজনীতিসচেতন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
১৯ ঘণ্টা আগে১৫ জুলাই, ২০২৪, সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে গিয়ে দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলা চালিয়েছে। মনে হলো, এত দিন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে অংশ নিয়েছি যেসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, আর এখন সেসব শিক্ষার্থীরাই নির্যাতিত; তাদের পাশে দাঁড়ানোই হবে সত্যিকারের
২১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে
১ দিন আগে২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
১ দিন আগে