ঢাবি প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার জানান।
সীতেশ চন্দ্র বাছার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের কার্যালয়ে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের সংঘর্ষে গতকাল মঙ্গলবার দেশজুড়ে অন্তত ৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় গতকাল মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আজ বুধবা সকাল থেকে হলগুলো থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের কক্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন রহমান, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ও হল সভাপতি মেহেদী হাসান শান্তর কক্ষ ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শান্তর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁর কক্ষে থাকা জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কক্ষেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
বিজয় একাত্তর হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, হল সভাপতি সজীবুর রহমান সজীব ও সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের কক্ষে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, বিজয় একাত্তর হল সংসদের কক্ষেও ভাঙচুর চালিয়েছেন তাঁরা।
কবি জসীমউদ্দীন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর কক্ষের জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে আগুন দিয়েছেন।
মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাঝহারুল কবির শয়নের কক্ষসহ (৩৪৪) ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীর কক্ষেও ভাঙচুর করা হয়।
এসময় হল শাখা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে পেলে তাঁদের উপর্যুপরি কিল-ঘুষি, মারধর দিয়ে হল থেকে বের করে দিচ্ছেন তাঁরা।
১২টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত অর্ধশত বিক্ষোকারীর একটি দল শহীদুল্লাহ হলের গেট থেকে বেরিয়ে টিএসসিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। এ সময় প্রচণ্ড শব্দে আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটে যান তাঁরা। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ভিসি চত্বর, মল চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন।
এরও আগে বুধবার ভোর থেকেই ‘আমার ভাই নিহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার জানান।
সীতেশ চন্দ্র বাছার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের কার্যালয়ে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের সংঘর্ষে গতকাল মঙ্গলবার দেশজুড়ে অন্তত ৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় গতকাল মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আজ বুধবা সকাল থেকে হলগুলো থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের কক্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন রহমান, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ও হল সভাপতি মেহেদী হাসান শান্তর কক্ষ ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শান্তর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁর কক্ষে থাকা জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কক্ষেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
বিজয় একাত্তর হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, হল সভাপতি সজীবুর রহমান সজীব ও সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের কক্ষে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, বিজয় একাত্তর হল সংসদের কক্ষেও ভাঙচুর চালিয়েছেন তাঁরা।
কবি জসীমউদ্দীন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর কক্ষের জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে আগুন দিয়েছেন।
মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাঝহারুল কবির শয়নের কক্ষসহ (৩৪৪) ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীর কক্ষেও ভাঙচুর করা হয়।
এসময় হল শাখা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে পেলে তাঁদের উপর্যুপরি কিল-ঘুষি, মারধর দিয়ে হল থেকে বের করে দিচ্ছেন তাঁরা।
১২টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত অর্ধশত বিক্ষোকারীর একটি দল শহীদুল্লাহ হলের গেট থেকে বেরিয়ে টিএসসিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। এ সময় প্রচণ্ড শব্দে আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটে যান তাঁরা। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ভিসি চত্বর, মল চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন।
এরও আগে বুধবার ভোর থেকেই ‘আমার ভাই নিহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্ত হলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই রাজনীতিসচেতন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
১৩ ঘণ্টা আগে১৫ জুলাই, ২০২৪, সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে গিয়ে দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলা চালিয়েছে। মনে হলো, এত দিন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে অংশ নিয়েছি যেসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, আর এখন সেসব শিক্ষার্থীরাই নির্যাতিত; তাদের পাশে দাঁড়ানোই হবে সত্যিকারের
১৫ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে
১৭ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
১ দিন আগে