Ajker Patrika

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মচারীকে মারধর: উপাচার্যের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত

জাককানইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭: ২৭
Thumbnail image

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীরা। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা।
 
ওই ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে ত্রিশালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মচারীরা। এর আগে গতকাল সোমবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় মারধরের ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারী কর্মচারীরা দোষীদের স্থায়ী বহিষ্কারসহ এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে এ জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মচারীরা দীর্ঘ দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের নেতারা একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।

পরে কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচির স্থানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল দল। এ সময় আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন তাঁরা।

পরে কর্মচারীদের উদ্দেশে উপাচার্য সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘আপনারা আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছেন। আশা করি, এই ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে সহযোগিতা করবেন। আপনাদের লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় চালক আনোয়ারকে মারধর করেন শিক্ষার্থী সামিউল হক হিমেল। এর আগে গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অফিস সহায়ক আল আমিনকে কিছু শিক্ষার্থী তাঁর বাসায় গিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাফসান নামের এক শিক্ষার্থী বাসচালক মাহফুজকে বাস থামাতে বললে কিছু দূরে গিয়ে থামানো হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাহফুজকে মারধর করেন রাফসান। পরে বাস ক্যাম্পাসে পৌঁছালে সহকারী প্রক্টরের সামনে রাফসানের বন্ধুরা মিলে মাহফুজকে গালাগাল এবং পরে ফোনে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মাহফুজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত