Ajker Patrika

ভারতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে টুইটারের উদ্বেগ

ভারতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে টুইটারের উদ্বেগ

ঢাকা: করোনাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে মরিয়া হয়ে পড়েছে ভারত সরকার। সমালোচনা রুখতে গত ফেব্রুয়ারিতে ডিজিটাল মাধ্যমে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সম্প্রতি অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের ভারতীয় অফিসে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে দিল্লি পুলিশ। এমতাবস্থায় ভারতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টুইটার।

গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টুইটারের একজন মুখপাত্র এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ছাড়াও ভারতে কর্মরত টুইটার কর্মীদের নিয়েও টুইটার কর্তৃপক্ষ শঙ্কায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

চলতি বছরের শুরুতে কৃষক আন্দোলন ও মহামারি করোনাভাইরাসে বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। নজরদারি বাড়াতে ফেব্রুয়ারিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনা হয় নতুন বিধিনিষেধ।

মোদি সরকারের অনেক নেতা বলছেন, সরকারের বিরুদ্ধে যায় এমন কনটেন্ট তুলে ধরতে ব্যবহার করা হচ্ছে টুইটার। এ সময় তারা বিভিন্ন স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন। টুইটার সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানছে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি। এ নিয়ে সোমবার টুইটারের ভারতীয় অফিসে যায় দিল্লি পুলিশ।

বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রর একটি টুইটকে কীসের ভিত্তিতে টুইটার বিকৃত খবর বলে চিহ্নিত করেছে, তার তদন্ত করতেই তারা ওই অভিযান চালিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ আগে তিনি টুইটারে একটি ডকুমেন্ট পেশ করে দাবি করেন, বিরোধী দল কংগ্রেসের গবেষণা শাখা মহামারি পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে।

এদিকে, রাশিয়ায় টুইটারকে ১৯ মিলিয়ন রুবল (২ লাখ ৫৯ হাজার ডলার) জরিমানা করেছে দেশটির একটি আদালত। নির্দেশ দেওয়ার পরও অবৈধ কনটেন্ট মুছে না ফেলায় গত বৃহস্পতিবার মস্কোর তাগানস্কি জেলা আদালত এই জরিমানা করে। টুইটারকে ছয়টি পৃথক প্রশাসনিক অপরাধের দায়ে এই জরিমানা করা হয়েছে।

গত মার্চ থেকে টুইটার ধীর গতির করে দেয় রাশিয়া। চলতি মাসের শুরুর দিকে ৯০ শতাংশেরও বেশি অবৈধ কনটেন্ট মুছে দেওয়ার পর টুইটারের গতি স্বাভাবিক করেছিল রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসকোমনাদজোর। যদিও তারা সব সময় বলে আসছে, শিশু যৌন নিপীড়ন, আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করার মতো কনটেন্ট প্রচারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে টুইটার। তবে জরিমানার বিষয়ে টুইটারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

একই অপরাধের জন্য বৃহস্পতিবার টিকটক এবং গুগলকেও সামান্য জরিমানা করেছে একই আদালত। গুগল এবং টুইটারও এ ব্যাপারে মন্তব্য করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত