Ajker Patrika

দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আসামি হাতিরঝিল থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২২, ২১: ১৫
দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আসামি হাতিরঝিল থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আবেদনে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ, পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন ফারুক, পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম আজম ও দুই এসআইসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল নং ৭-এ মামলার আবেদন করা হয়। বিচারক জুলফিকার হায়াত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্য আসামিরা হলেন— তানিম রেজা বাপ্পি, পান্নু হাওলাদার, ইউসুফ রিপন, কাজী তোফাজ্জল হোসেন, জাভেল হোসেন পাপন, মোহাম্মদ জামাল, রাকিবুল হাসান, এসআই শরিফুল, এসআই চয়ন ও মোসাম্মৎ আলেয়া।

ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্তদের সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী একজন স্বামী ‘পরিত্যক্তা’ নারী। তিনি খিলগাঁওয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। প্রায় এক বছর আগে তাঁর সঙ্গে রাজধানীর ডেমরা রসুলপুরের তানিম রেজা বাপ্পির পরিচয় হয়। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আসামি তানিম তাঁর সহযোগীদের নিয়ে মামলার বাদীর ভাড়া বাসায় আসেন। সেখানে তানিম বাদীকে বিয়ে করেন। বিয়েটা ছিল সাজানো। দুই মাস ঘর-সংসার করেন। এরপর বাদীর সন্দেহ হয়। তিনি কাবিননামা চান। তাঁরা বিয়ের কাজী তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে যান। বাদী জানান, তাঁদের বিয়ের কোনো কাগজপত্র নেই। বিয়ের নাটক সাজিয়ে তানিম রেজা বাপ্পি বাদীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদীকে তানিম রেজা হাতিরঝিলের পাশের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে জাভেল হোসেন পাপন ও মোহাম্মদ জামালও বাদীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। বাদী ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বাদী সুস্থ হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি হাতিরঝিল থানায় এজাহার দায়ের করেন। থানার ওসিসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা কয়েকজন আসামিকে আটক করেন। কিন্তু আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁরা এই মামলা না নিয়ে বাদীকে ১ লাখ টাকা নিয়ে আপস করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। বাদী মামলায় অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা ধর্ষণের কোনো প্রতিকার না করে ধর্ষণকারীদের সহায়তা করেছেন।

বাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতিরঝিল থানার ওসি ও অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলা নেননি। তাঁরা আসামিদের সহায়তা করেছেন। এ কারণে এ মামলায় পুলিশদের আসামি করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত