নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তিন হাঁড়ি কাঁচা পয়সা ও চার হাঁড়ি স্বর্ণমুদ্রার লোভে পড়ে ১৩ লাখ টাকা খুইয়েছেন এক ব্যবসায়ী। মো. ইয়াছিন (২৬) নামে ওই ব্যবসায়ী কিশোরগঞ্জের পাটধা গাবতলী এলাকায় ব্যবসা করেন।
ইয়াছিন গত ৪ এপ্রিল ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় আসেন। মগবাজারের সুইট স্লিপ আবাসিক হোটেলে ওঠেন। সেখানে থাকাকালীন গত ৫ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে তাঁর মোবাইল নম্বরে ফোনকল আসে। ইয়াছিন রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে বলে— তুমি সাত হাঁড়ি সম্পদ পাবে, এর মধ্যে তিন হাঁড়ি কাঁচা পয়সা, চার হাঁড়ি স্বর্ণমুদ্রা। এর জন্য ‘এই গোপন সংবাদের কথা কাউকে বলা যাবে না’সহ পাঁচটি শর্ত দেয় অপর পাশের ব্যক্তি।
ইয়াছিন সব শর্তে রাজি হন। পরের দিন ৬ এপ্রিল একই নম্বর থেকে ফোনকল আসে। ইয়াছিনকে শর্ত অনুযায়ী মাজারে সাতটি জায়নামাজের জন্য ৪৭ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠান। এরপর ইফতারের কথা বলে ১ লাখ ৬৫ হাজার, স্বর্ণের পুতুলের কথা বলে টাঙ্গাইল এলেঙ্গা ব্রিজের নিচে ৫ লাখ টাকা রেখে আসতে বলে। ইয়াছিন কথামতো সেই টাকা দেন। এরপর স্বর্ণের তিনটি হাঁড়ি ভেঙে গেছে বলে সাপকে দুধ খাওয়ানোর জন্য ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, হাঁড়ির ভেতর স্বর্ণ জমাট বেঁধে গেছে বলে তিন ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং আরও প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার এবং সর্বশেষ ১ লাখ টাকা দেন ব্যবসায়ী ইয়াছিন। এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে মোট ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন তিনি।
সবশেষ এক লাখ টাকা দেওয়ার পর ইয়াছিন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ইয়াছিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। ফোনে এমনভাবে কথা বলত, মনে হয়েছে সে জিনের বাদশাহ। এ রকম চক্করে আমি কখনো পড়িনি। ব্যবসার সব টাকা আমি তাদের দিয়ে দিয়েছি।’
প্রতারণার বিষয়টি বোঝার পর গত ৮ জুন রাজধানীর রমনা থানায় ইয়াছিন একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করে। মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে গত ৯ জুন গাইবান্ধা থেকে মো. উজ্জ্বল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। উজ্জ্বলের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কমলা নারায়ণপুর গ্রামে।
এ ব্যাপারে ডিবি সাইবারের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উজ্জ্বল দেড় বছর ধরে এমন প্রতারণা করছে। সে তার ভাই রুবেলের কাছ থেকে এই প্রতারণা শিখেছে। জিনের বাদশাহ পরিচয়ে ফোন দেয়। সহজ সরল অনেকেই তার ফাঁদে পা দেয়। সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।’
তিন হাঁড়ি কাঁচা পয়সা ও চার হাঁড়ি স্বর্ণমুদ্রার লোভে পড়ে ১৩ লাখ টাকা খুইয়েছেন এক ব্যবসায়ী। মো. ইয়াছিন (২৬) নামে ওই ব্যবসায়ী কিশোরগঞ্জের পাটধা গাবতলী এলাকায় ব্যবসা করেন।
ইয়াছিন গত ৪ এপ্রিল ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় আসেন। মগবাজারের সুইট স্লিপ আবাসিক হোটেলে ওঠেন। সেখানে থাকাকালীন গত ৫ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে তাঁর মোবাইল নম্বরে ফোনকল আসে। ইয়াছিন রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে বলে— তুমি সাত হাঁড়ি সম্পদ পাবে, এর মধ্যে তিন হাঁড়ি কাঁচা পয়সা, চার হাঁড়ি স্বর্ণমুদ্রা। এর জন্য ‘এই গোপন সংবাদের কথা কাউকে বলা যাবে না’সহ পাঁচটি শর্ত দেয় অপর পাশের ব্যক্তি।
ইয়াছিন সব শর্তে রাজি হন। পরের দিন ৬ এপ্রিল একই নম্বর থেকে ফোনকল আসে। ইয়াছিনকে শর্ত অনুযায়ী মাজারে সাতটি জায়নামাজের জন্য ৪৭ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠান। এরপর ইফতারের কথা বলে ১ লাখ ৬৫ হাজার, স্বর্ণের পুতুলের কথা বলে টাঙ্গাইল এলেঙ্গা ব্রিজের নিচে ৫ লাখ টাকা রেখে আসতে বলে। ইয়াছিন কথামতো সেই টাকা দেন। এরপর স্বর্ণের তিনটি হাঁড়ি ভেঙে গেছে বলে সাপকে দুধ খাওয়ানোর জন্য ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, হাঁড়ির ভেতর স্বর্ণ জমাট বেঁধে গেছে বলে তিন ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং আরও প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার এবং সর্বশেষ ১ লাখ টাকা দেন ব্যবসায়ী ইয়াছিন। এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে মোট ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন তিনি।
সবশেষ এক লাখ টাকা দেওয়ার পর ইয়াছিন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ইয়াছিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। ফোনে এমনভাবে কথা বলত, মনে হয়েছে সে জিনের বাদশাহ। এ রকম চক্করে আমি কখনো পড়িনি। ব্যবসার সব টাকা আমি তাদের দিয়ে দিয়েছি।’
প্রতারণার বিষয়টি বোঝার পর গত ৮ জুন রাজধানীর রমনা থানায় ইয়াছিন একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করে। মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে গত ৯ জুন গাইবান্ধা থেকে মো. উজ্জ্বল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। উজ্জ্বলের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কমলা নারায়ণপুর গ্রামে।
এ ব্যাপারে ডিবি সাইবারের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উজ্জ্বল দেড় বছর ধরে এমন প্রতারণা করছে। সে তার ভাই রুবেলের কাছ থেকে এই প্রতারণা শিখেছে। জিনের বাদশাহ পরিচয়ে ফোন দেয়। সহজ সরল অনেকেই তার ফাঁদে পা দেয়। সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪