Ajker Patrika

বুয়েটের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি, সময়সীমা বেঁধে না দিয়ে তদন্ত কমিটি

প্রতিনিধি, ঢাবি
বুয়েটের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি, সময়সীমা বেঁধে না দিয়ে তদন্ত কমিটি

কয়েকজন সহপাঠীর বিরুদ্ধে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তবে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। 

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর এবং দেশে কঠোর লকডাউন চলছে, তাই আমরা কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে না দিয়ে যথাশিগগির প্রতিবেদনে দাখিল করতে তদন্ত কমিটিকে আহ্বান করেছি। 

তদন্ত কমিটিতে কারা রয়েছেন জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ছয়টি বিভাগের ছয়জন শিক্ষকের সমন্বয়ে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। নারী ও পুরুষ শিক্ষকের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, হেনস্তার শিকার নারী শিক্ষার্থীর পক্ষ হয়ে ওই ব্যাচের শ্রেণি প্রতিনিধি বিষয়টি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। 

তবে তদন্ত কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও অন্য সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। গণমাধ্যমে কারও নাম এলে তাঁদের ওপর চাপ আসতে পারে–এমন আশঙ্কা থেকেই তদন্ত কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান। 

উল্লেখ্য, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ১৯ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে উঠেছে একই ব্যাচের জারিফ হোসাইন ও তাঁর তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। বাকিরা হলেন–সালমান সায়ীদ, জারিফ ইকরাম ও জায়ীদ মনোয়ার চৌধুরী। 

হয়রানির শিকার ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি প্রথমে নারীদের একটি গ্রুপে ও পরে অন্য সহপাঠীকে জানান। পরে তাঁর এক সহপাঠী হাফিজুল হক ফেসবুকে পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়, শুরু হয় তীব্র আলোচনা সমালোচনা। এ নিয়ে ফেসবুকে প্রচুর ট্রলও হচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত