Ajker Patrika

চুরি করে সৌদিতে ইমামতির চাকরি হারান তিনি, দেশে ফিরে গড়েন মোবাইল চুরির চক্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মে ২০২২, ২০: ৪৭
Thumbnail image

দীর্ঘ ৩৩ বছর সৌদি আরবের বিভিন্ন নামী মসজিদে ইমামতি করেছেন আজিজ মোহাম্মদ (৪৫)। পাশাপাশি সেখানে গাড়ি চালাতেন। এরপর গাড়ি চুরির অপরাধে যুক্ত হন। তিন বছর সাজাও হয় তাঁর। সাজা ভোগ করে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এসে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। কিছুদিন পরে মাদ্রাসায় মোবাইল চুরি করে ধরা পড়লে চাকরি চলে যায়। এরপর ঢাকায় মোবাইল চুরির চক্র গড়ে তোলেন। অবশেষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ারের ফোন চুরি করে পুলিশের জালে আটকে গেলেন আজিজ।

গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগের বিশেষ অভিযানে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়। এ সময় আজিজ ও মোবাইল চোর চক্রের আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন—রনি হাওলাদার (৪০) ও মো. জাকির হোসেন (২৫)। 

গত ২৩ মার্চ সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজারের মোবাইল ফোন চুরি করেন আজিজ মোহাম্মদ।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঢাকা মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে মোবাইল চোর চক্রের সক্রিয় তিন সদস্যকে ১৭টি চোরাই মোবাইলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যমতে কমলাপুর রেল স্টেশন, গুলিস্তান গোলাপ শাহের মাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৭টি উন্নতমানের চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

ডিবি গুলশান বিভাগের ডিসি বলেন, ‘গত ২৩ মার্চ সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ারের অফিস কক্ষে ঈদুল ফিতরের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনের সময় দুটি মোবাইল ফোন, একটি ওয়ালেট এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকা চুরি যায়। গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ ঘটনাটির ছায়া তদন্ত করতে থাকে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল বুধবার চোরাই মোবাইলসহ আজিজ মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজিজ মোহাম্মদ জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করেছেন।’ 

আজিজ মোহাম্মদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তিন বছর ধরে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টিএসসি চত্বর, নগর ভবন, গুলিস্তান, ধানমন্ডি লেক, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ফোন চুরি করতেন। চোরাই মোবাইলগুলো বিক্রি করতেন রনি হাওলাদার ও জাকির হোসেন। এ বিষয়ে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন থানায় একটি মামলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত