Ajker Patrika

জাল ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়ার ফাঁদ, চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ৫৮
জাল ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়ার ফাঁদ, চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী (৩৫)। টার্গেট করে মধ্যবিত্ত পরিবারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। এরপর কম খরচে পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখান। ভুয়া ভিসা ও জাল কাগজপত্র তৈরি করেন। তারপর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। অস্ট্রেলিয়ায় বসে বাংলাদেশে প্রতারক চক্র গড়ে তুলেছেন রোজী। সেই চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাইমুন ইসলাম (২৬) ও আশফাকুজ্জামান খন্দকার (২৬)। তাদের কাছ থেকে জাল ভিসা তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, অস্ট্রেলিয়ার জাল ভিসা গ্রান্ট নোটিশ সাতটি, ফ্রি চিকিৎসার হেলথ মেডিকেয়ার কার্ড ৫টি ও অস্ট্রেলিয়া বিমানের টিকিট ৬টি জব্দ করা হয়।

রোববার দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।

অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজীইমাম হোসেন আরও বলেন, রোজী মাঝেমধ্যে দেশে এসে প্রতারণার ফাঁদ পাততেন। অনলাইনেও টার্গেট করে বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তাঁদের আত্মীয়ের ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাবেন বলে প্রলোভন দেখান। সপরিবারে গেলে (স্বামী-স্ত্রী) ২৩ লাখ আর একা গেলে ১৮ লাখ। তিনি অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন কনস্যুলার জেনারেল হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দেন। এছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের কাছ থেকে পুরস্কৃত হন এবং পুরস্কারের ভুয়া ছবি ভুক্তভোগীদের দেখান। এতে করে ভুক্তভোগীরা বিশ্বাস করতে থাকেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী অ্যালেক্স হাউকির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান। পরে ধাপে ধাপে কাগজপত্র ও ভিসার কথা বলে টাকা নিতে থাকেন। এমন প্রলোভনে পড়ে একাধিক বাংলাদেশি প্রতারিত হয়েছেন।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এমন ফাঁদে পড়ে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের আট সদস্যসহ অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম। এরপর দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা রোজীর অ্যাকাউন্টে দেন। এরপর কাগজপত্র ও ভিসা হাতে পেয়ে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখতে পান সবগুলোই ভুয়া এবং জাল। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রোজীর সহযোগী চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোজীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, `আমরা আশা করছি তাঁকে দ্রুতই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত