জবি প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাসে উপস্থিত থাকতে গত ৩ মার্চ নীলফামারীর এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাউন্টিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রওশনুল ফেরদৌস রিফাত।
এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রদের জন্য কোনো আবাসিক হল না থাকায় এই শিক্ষার্থী ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মেসে। তবে ২০ দিন অতিবাহিত না হতেই ঘটল বিপত্তি। গত ২৪ মার্চ ভোরে ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও সরকারবিরোধী স্লোগান’ দেওয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানা পুলিশ মেসটিতে অভিযান চালিয়ে শিবির সন্দেহে তাঁকেসহ ১২ শিক্ষার্থীকে আটক করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে পুলিশের অভিযোগ আমলে নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে ১১ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এসে অন্য তথ্য জানান শিক্ষার্থীর বাবা। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি। শিক্ষার্থীর বাবা মোরশেদুল করিম কল্লোল দাবি করেন, তাঁর ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগ থেকেই ছেলে ছাত্রলীগ করেন। কখনোই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
এদিকে ১ নং পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ওয়াহেদুন্নবী ও সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত ওই শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আলাদা বিবৃতিতে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক
আবু সায়েম সরকারও একই দাবি জানান।
শুধু রিফাতের পরিবার নয়, একই দাবি জানিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান অলির পরিবার। অলির বাবা মো. জাহাঙ্গীর ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই শিক্ষার্থীর বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি, আমার ভাই এবং আমার পিতাসহ আমাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের হয়ে যুদ্ধ করেছেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অথচ আমার ভাইকে এ রকম সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের পুরো পরিবার এ নিয়ে চিন্তায় আছে। আমি আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা সরকারবিরোধী। এমন অপতৎপরতায় যদি তাঁরা যুক্ত থাকেন, তবে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তাই তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আদালতের জামিন দেওয়া সাপেক্ষে এই শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্রত্ব ফিরে পাবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে এই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়। যদি আদালত তাঁদের জামিন দেয়, বা তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাসে উপস্থিত থাকতে গত ৩ মার্চ নীলফামারীর এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাউন্টিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রওশনুল ফেরদৌস রিফাত।
এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রদের জন্য কোনো আবাসিক হল না থাকায় এই শিক্ষার্থী ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মেসে। তবে ২০ দিন অতিবাহিত না হতেই ঘটল বিপত্তি। গত ২৪ মার্চ ভোরে ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও সরকারবিরোধী স্লোগান’ দেওয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানা পুলিশ মেসটিতে অভিযান চালিয়ে শিবির সন্দেহে তাঁকেসহ ১২ শিক্ষার্থীকে আটক করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে পুলিশের অভিযোগ আমলে নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে ১১ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এসে অন্য তথ্য জানান শিক্ষার্থীর বাবা। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি। শিক্ষার্থীর বাবা মোরশেদুল করিম কল্লোল দাবি করেন, তাঁর ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগ থেকেই ছেলে ছাত্রলীগ করেন। কখনোই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
এদিকে ১ নং পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ওয়াহেদুন্নবী ও সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত ওই শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আলাদা বিবৃতিতে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক
আবু সায়েম সরকারও একই দাবি জানান।
শুধু রিফাতের পরিবার নয়, একই দাবি জানিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান অলির পরিবার। অলির বাবা মো. জাহাঙ্গীর ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই শিক্ষার্থীর বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি, আমার ভাই এবং আমার পিতাসহ আমাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের হয়ে যুদ্ধ করেছেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অথচ আমার ভাইকে এ রকম সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের পুরো পরিবার এ নিয়ে চিন্তায় আছে। আমি আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা সরকারবিরোধী। এমন অপতৎপরতায় যদি তাঁরা যুক্ত থাকেন, তবে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তাই তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আদালতের জামিন দেওয়া সাপেক্ষে এই শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্রত্ব ফিরে পাবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে এই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়। যদি আদালত তাঁদের জামিন দেয়, বা তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
১৯ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৪ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪