Ajker Patrika

ল্যাব টেস্টে ৯ ট্রাক সরকারি সারে মিলল ভেজাল

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
ল্যাব টেস্টে ৯ ট্রাক সরকারি সারে মিলল ভেজাল

চট্টগ্রাম থেকে পরিবহন করে বগুড়ার বাফার গুদামে খালাস কালে ভেজাল সন্দেহে জব্দ করা হয়েছিল টিএসপি সার। পরে ল্যাবরেটরি টেস্টে ভেজাল মেশানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। বগুড়া বাফার গুদামের ইনচার্জ মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গুদামের ইনচার্জ বলেছেন, ‘বগুড়া বাফার গুদামে খালাস কালে জব্দ নয় ট্রাক সার দুটি ল্যাব টেস্টে পরীক্ষা করে তাতে ভেজাল পাওয়া গেছে। সারগুলোর নমুনা নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষার পাশাপাশি বগুড়ার মৃত্তিকা গবেষণাগারে টেস্ট করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায়ই ভেজাল মেশানোর আলামত পাওয়া গেছে।’ 

এ ঘটনায় বগুড়া কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। 

এর আগে গত ২৯ আগস্ট টিএসপি সার পরিবহন করে পরিবহন ঠিকাদার চট্টগ্রামের দেওয়ান হাটের মেসার্স এমএইচআর করপোরেশন। ১৮টি ট্রাকে প্রায় ১৮০ টন সার নেওয়া হয় বগুড়ার বাফার গুদামে। তবে সন্দেহ হলে চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান বগুড়া বাফার গুদাম ইনচার্জ। 

চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর তিন ব্যবস্থাপকের সমন্বয়ে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা হলেন—কারখানার (প্রশাসন) ম্যানেজার মাজহারুল ইসলাম, উৎপাদন বিভাগের ম্যানেজার রেজাউল করিম ও মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজার আব্দুল আউয়াল। কমিটি ৩৬টি নমুনা সংগ্রহ করে কারখানার ল্যাবে পরীক্ষা করে। এতে ভেজাল পাওয়া যায়। 

চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বগুড়া বাফার গুদামের মোট ১৮ ট্রাক সারের মধ্যে নয় ট্রাক সারে প্রাথমিকভাবে ভেজাল পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। ট্রাকের চালক ও হেলপারসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে।’ 

সার পরিবহন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মেসার্স এমএইচআর করপোরেশনের মালিক মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবহনকালে ভেজাল মেশানো সম্পর্কে আমার জানা নাই। দীর্ঘ ২০ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সার পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমার সঙ্গে ২০ হাজার টন সার পরিবহনের চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৯৪৪ টন পৌঁছানো হয়েছে।’ 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে একই সার কারখানা থেকে পাঁচটি ট্রাকে ৭০ টন সরকারি সার পাঠানো হয় যশোর বাফার গুদামে। পথেই সেই সার পরিবর্তন করে নকল সার যশোর বাফার গুদামে খালাস করা হচ্ছিল। এ সময় ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়। যশোর বাফার সার গুদামের ইনচার্জ মো. আখতার হোসেন তাৎক্ষণিক বিষয়টি টিএসপি কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতনকে লিখিতভাবে জানান। 

পরে ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স সৈয়দ এমকে এন্টারপ্রাইজকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু কয়েক মাস না যেতেই আবারও পরিবহনের সময় সারে ভেজাল মেশানোর ঘটনা ঘটল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত