সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬টি থানার মধ্যে বন্দর এলাকায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি। গত বছর থানা এলাকাটিতে বসবাসকারী ৪৮ জন নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
একই শহরে বসবাসকারীদের এলাকাভেদে আত্মহত্যার হারে কেন এমন পার্থক্য? জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দর থানা এলাকাটিতে বিষণ্নতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বেশি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সমাজবিজ্ঞানী ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যে সমাজে নৈরাজ্য বেশি—আমি যা প্রত্যাশা করছি, তার প্রাপ্তি যোগ হচ্ছে না, স্বপ্ন যা দেখছি তা পূরণ হয় না, কলহ রয়েছে, দারিদ্র্য ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের সমাজে বসবাসকারীদের মাঝে সব সময় হতাশা কাজ করে। সঠিক গাইডলাইন না থাকায় একটি পর্যায়ে তাঁরা আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হন।’
বন্দর এলাকায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি থাকার কারণ সম্পর্কে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দর ও ইপিজেড থানা এলাকায় বসবাসকারীদের বেশির ভাগই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা। তাঁদের বেশির ভাগই পোশাকশ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। পারিবারিক ও আর্থসামাজিক অবস্থান বিবেচনায় তাঁরা মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। এতে তাঁদের মধ্যে সব সময় বিষণ্নতা কাজ করছে। আমি নিজে আত্মহত্যা করা কয়েকজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি। যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা দীর্ঘদিন বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। কাজের নিশ্চয়তা না থাকা, আর্থিক অসচ্ছলতাসহ নানা কারণে বিষণ্নতা থেকে তাঁরা আত্মহত্যা করেন।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বাৎসরিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের (২০২২) জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫৯ জন নারী ও পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ১৪২ জন ও নারী ১১৭ জন। সে হিসাবে ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ নারী আত্মহত্যা করেছেন। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বন্দর থানা এলাকার পরে নগরীতে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চারটি থানা এলাকায়। গত বছর ইপিজেডে ২৯ জন, বায়েজিদে ২৩ জন, বাকলিয়ায় ২২ জন, চান্দগাঁও থানা এলাকায় ২১ জন নারী ও পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। একই প্রতিবেদনে গত বছর ২২ শিশু-কিশোর আত্মহত্যার তথ্যও রয়েছে। এদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।
ইপিজেড, বায়েজিদ, চান্দগাঁও ও বাকলিয়ায়ও পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব ঘিরে সেখানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের বসবাস, যাঁদের বেশির ভাগই পোশাক কারখানাসহ নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশায় জড়িত। এর মধ্যে প্রচুরসংখ্যক মানুষের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬টি থানার মধ্যে বন্দর এলাকায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি। গত বছর থানা এলাকাটিতে বসবাসকারী ৪৮ জন নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
একই শহরে বসবাসকারীদের এলাকাভেদে আত্মহত্যার হারে কেন এমন পার্থক্য? জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দর থানা এলাকাটিতে বিষণ্নতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বেশি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সমাজবিজ্ঞানী ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যে সমাজে নৈরাজ্য বেশি—আমি যা প্রত্যাশা করছি, তার প্রাপ্তি যোগ হচ্ছে না, স্বপ্ন যা দেখছি তা পূরণ হয় না, কলহ রয়েছে, দারিদ্র্য ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের সমাজে বসবাসকারীদের মাঝে সব সময় হতাশা কাজ করে। সঠিক গাইডলাইন না থাকায় একটি পর্যায়ে তাঁরা আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হন।’
বন্দর এলাকায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি থাকার কারণ সম্পর্কে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দর ও ইপিজেড থানা এলাকায় বসবাসকারীদের বেশির ভাগই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা। তাঁদের বেশির ভাগই পোশাকশ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। পারিবারিক ও আর্থসামাজিক অবস্থান বিবেচনায় তাঁরা মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। এতে তাঁদের মধ্যে সব সময় বিষণ্নতা কাজ করছে। আমি নিজে আত্মহত্যা করা কয়েকজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি। যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা দীর্ঘদিন বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। কাজের নিশ্চয়তা না থাকা, আর্থিক অসচ্ছলতাসহ নানা কারণে বিষণ্নতা থেকে তাঁরা আত্মহত্যা করেন।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বাৎসরিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের (২০২২) জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫৯ জন নারী ও পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ১৪২ জন ও নারী ১১৭ জন। সে হিসাবে ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ নারী আত্মহত্যা করেছেন। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বন্দর থানা এলাকার পরে নগরীতে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চারটি থানা এলাকায়। গত বছর ইপিজেডে ২৯ জন, বায়েজিদে ২৩ জন, বাকলিয়ায় ২২ জন, চান্দগাঁও থানা এলাকায় ২১ জন নারী ও পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। একই প্রতিবেদনে গত বছর ২২ শিশু-কিশোর আত্মহত্যার তথ্যও রয়েছে। এদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।
ইপিজেড, বায়েজিদ, চান্দগাঁও ও বাকলিয়ায়ও পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব ঘিরে সেখানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের বসবাস, যাঁদের বেশির ভাগই পোশাক কারখানাসহ নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশায় জড়িত। এর মধ্যে প্রচুরসংখ্যক মানুষের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে