নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ভারত থেকে দেশে সবচেয়ে বেশি হেরোইন ঢোকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে। এসব সীমান্তে সক্রিয় বড় বড় মাদক মাফিয়া। গোদাগাড়ীতে এবার এমন একটি হেরোইন সিন্ডিকেটের খোঁজ মিলল, যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত একজন পুলিশ সদস্য। সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে তিনি জড়িত ছিলেন হেরোইন পাচারে।
এ পুলিশ সদস্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন। রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল গত শনিবার রাতে গোদাগাড়ীতে এ অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করে। পুলিশের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবলের নাম মো. নূর নবী (২৮)। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সারেংপুর পুলিশপাড়া মহল্লায়। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন গোদাগাড়ীর জোতগোসাইদাস মহল্লার মিঠুন আলী (২৬) ও সারেংপুর পুলিশপাড়ার রবিউল ইসলাম (৩০)। এরা দুজন শীর্ষ মাদক কারবারি।
এ তিনজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গতকাল সকালে জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইনামুল ইসলাম গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, হেরোইন কেনা-বেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রেলগেট বাজারে অভিযান চালায়। সেখানে হাতে থাকা একটি ব্যাগে ৫০০ গ্রাম হেরোইন নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন নূর নবী। এ সময় তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে নূর নবী পুলিশকে বলেন, মাদক চোরাকারবারি মিঠুন আলীর কাছ থেকে তিনি এ হেরোইন সংগ্রহ করেছেন। এগুলো তিনি বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মিঠুনের কাছে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন আছে। তাঁর দেওয়া এ তথ্যের ভিত্তিতে জোতগোসাইদাস এলাকায় মিঠুনের বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় সেখানে আরেক শীর্ষ মাদক কারবারি রবিউলকেও পাওয়া যায়। পুলিশ দেখেই তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেন। তবে ডিবি পুলিশ তাঁদের ধরে ফেলে। এ সময় তল্লাশি করা হলে মিঠুনের কোমরে গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে নূর নবী পুলিশ সদস্য। তিনি আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত আছেন। গত ২৮ অক্টোবর থেকে তিনি এক সপ্তাহের ছুটিতে আছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন মাদক চক্রের সদস্য হিসেবে কাজ করেন পুলিশ সদস্য নূর নবী। এলাকার হেরোইন কারবারিদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ থাকার কারণে চোরাচালান সম্পর্কে সঠিক তথ্যই পেতেন পুলিশ সদস্য নূর নবী। তারপর তিনি এলাকায় গিয়ে একা একাই ‘মাদকবিরোধী’ অভিযান চালাতেন। উদ্ধার করা হেরোইন তিনি অন্য মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করতেন। আবার মাদক কারবারিদের হেরোইন পাচারের কাজও করতেন তিনি।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কথা বলতে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিবি পুলিশ মামলা করলেও আসামি দেয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি পুলিশই তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাবে। ওসি স্বীকার করেন, তিনজনের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য।
বিষয়টি নিয়ে আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কথা বলতে চাননি। তবে আরএমপির একটি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা জানাজানির পর পুলিশ সদস্য নূর নবীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান আলী জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে পুলিশ সদস্য নূর নবী বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হওয়ার কথা শুনেছেন। তবে নূর নবী মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছেন এ রকম তথ্য আগে পাননি।
ভারত থেকে দেশে সবচেয়ে বেশি হেরোইন ঢোকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে। এসব সীমান্তে সক্রিয় বড় বড় মাদক মাফিয়া। গোদাগাড়ীতে এবার এমন একটি হেরোইন সিন্ডিকেটের খোঁজ মিলল, যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত একজন পুলিশ সদস্য। সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে তিনি জড়িত ছিলেন হেরোইন পাচারে।
এ পুলিশ সদস্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন। রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল গত শনিবার রাতে গোদাগাড়ীতে এ অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করে। পুলিশের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবলের নাম মো. নূর নবী (২৮)। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সারেংপুর পুলিশপাড়া মহল্লায়। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন গোদাগাড়ীর জোতগোসাইদাস মহল্লার মিঠুন আলী (২৬) ও সারেংপুর পুলিশপাড়ার রবিউল ইসলাম (৩০)। এরা দুজন শীর্ষ মাদক কারবারি।
এ তিনজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গতকাল সকালে জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইনামুল ইসলাম গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, হেরোইন কেনা-বেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রেলগেট বাজারে অভিযান চালায়। সেখানে হাতে থাকা একটি ব্যাগে ৫০০ গ্রাম হেরোইন নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন নূর নবী। এ সময় তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে নূর নবী পুলিশকে বলেন, মাদক চোরাকারবারি মিঠুন আলীর কাছ থেকে তিনি এ হেরোইন সংগ্রহ করেছেন। এগুলো তিনি বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মিঠুনের কাছে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন আছে। তাঁর দেওয়া এ তথ্যের ভিত্তিতে জোতগোসাইদাস এলাকায় মিঠুনের বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় সেখানে আরেক শীর্ষ মাদক কারবারি রবিউলকেও পাওয়া যায়। পুলিশ দেখেই তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেন। তবে ডিবি পুলিশ তাঁদের ধরে ফেলে। এ সময় তল্লাশি করা হলে মিঠুনের কোমরে গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে নূর নবী পুলিশ সদস্য। তিনি আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত আছেন। গত ২৮ অক্টোবর থেকে তিনি এক সপ্তাহের ছুটিতে আছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন মাদক চক্রের সদস্য হিসেবে কাজ করেন পুলিশ সদস্য নূর নবী। এলাকার হেরোইন কারবারিদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ থাকার কারণে চোরাচালান সম্পর্কে সঠিক তথ্যই পেতেন পুলিশ সদস্য নূর নবী। তারপর তিনি এলাকায় গিয়ে একা একাই ‘মাদকবিরোধী’ অভিযান চালাতেন। উদ্ধার করা হেরোইন তিনি অন্য মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করতেন। আবার মাদক কারবারিদের হেরোইন পাচারের কাজও করতেন তিনি।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কথা বলতে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিবি পুলিশ মামলা করলেও আসামি দেয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি পুলিশই তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাবে। ওসি স্বীকার করেন, তিনজনের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য।
বিষয়টি নিয়ে আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কথা বলতে চাননি। তবে আরএমপির একটি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা জানাজানির পর পুলিশ সদস্য নূর নবীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান আলী জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে পুলিশ সদস্য নূর নবী বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হওয়ার কথা শুনেছেন। তবে নূর নবী মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছেন এ রকম তথ্য আগে পাননি।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪