Ajker Patrika

কর্মকর্তার নেতৃত্বে ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ০৮
Thumbnail image

বহিরাগতদের হামলায় আহত হয়েছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার রাতে ত্রিবেনী এলাকার রবিউল ইসলাম মেসে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ হামলার নেপথ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম। একটি সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর নেতৃত্বে অন্তত ৪০ জন তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের হাতে ছিল লাঠি, বাঁশ, কাঠ, রড লাইট।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত সোমবার রাতে এক বড় ভাইয়ের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে একটু শব্দ হয়। মেসের পাশেই জাহিদুল ইসলামের বাসা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মেসের ছাত্রদের এলাকাছাড়া করার হুমকি দেন। ছাত্ররা এর প্রতিবাদ করেন। তখন জাহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে হামলা চালান।

মেসে শিক্ষার্থীর ওপর হামলার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। হামলার প্রতিবাদে রাত ১২টা ২০ মিনিটে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং তাঁকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানান। একপর্যায়ে সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন ও সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি দল। এ সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন যে জাহিদুলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

তবে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। বিনা কারণে অভিযুক্ত করে আমার বাড়ির গেটে ইট-পাটকেল মেরেছে। আমি বিষয়টি প্রক্টরকে জানিয়েছি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, যেটা করলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হবে, সেটাই করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত