রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী শহরের প্রায় ৫০০ কিশোরকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। শহরে কিশোর অপরাধ কমাতে পুলিশ একটি ডেটাবেইস তৈরি করে তাদের নজরদারিতে রেখেছে। এরা ছোটখাটো কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়লে ধরে থানায় আনা হচ্ছে। তারপর মুচলেকা দিয়ে হস্তান্তর করা হচ্ছে অভিভাবকদের কাছে। মাদকসংশ্লিষ্ট কিংবা অন্য বড় অপরাধ করলে নেওয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য কমাতে গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) ১২ থানায় শুরু হয় ধরপাকড়। সে সময় মুচলেকা নিয়ে এসব কিশোরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু তাদের নাম রাখা হয় ডেটাবেইসে। এখন পুলিশ নিয়মিত তাদের গতিবিধি নজরদারি করছে। এরা কী করছে, কার সঙ্গে ঘুরছে, কোথায় কতটা সময় ব্যয় করছে—সব তথ্যই মাঝে মাঝে নিচ্ছে পুলিশ। সচেতন অনেক অভিভাবক তথ্য দিয়ে এ বিষয়ে পুলিশকে সহায়তা করছেন।
এই ৫০০ কিশোরের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীকালে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারের শিশু ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। আবার ছোট অপরাধের জন্য কাউকে কাউকে দ্বিতীয় দফায়ও থানায় এনে অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মুচলেকা নিয়ে। যারা কারাগারে গেছে তারা চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য মারামারিতে জড়িয়ে পড়া কিশোরদের আবার অভিভাবকের কাছে পাঠানো হয় সংশোধনের জন্য। এ ছাড়া বিকট শব্দে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেও কিশোরদের ধরে থানায় আনা হয়। এদের হাতে মোটরসাইকেলের চাবি না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়।
নগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নজরদারিতে থাকা ৫০০ কিশোরের মধ্যে ৫০ শতাংশই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অন্য ৪০ শতাংশ নিম্নবিত্ত এবং ১০ শতাংশ উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। এদের বয়স ১৪ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তালিকার ৩৫ শতাংশ কিশোর আগে পড়াশোনা করলেও পরে বাদ দিয়েছে। ৩৫ ভাগ শিশু-কিশোর মাদকাসক্ত। অন্য ১০ ভাগ মাঝে মাঝে মাদক সেবন করে থাকে। এসব শিশু-কিশোর চুরি, ছিনতাই, মারামারি এবং ইভ টিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা একেকটি গ্রুপের সদস্য হিসেবে থাকে। এক গ্রুপের কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কিংবা মারধরের ঘটনা ঘটলে গ্রুপের সবাই অন্য গ্রুপের সদস্যদের আক্রমণ করে। এসব কার্যক্রম থেকে কিশোরদের দূরে সরিয়ে আনতেই তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
এই তালিকা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। শহরে নতুন নতুন কিশোর অপরাধী শনাক্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সম্প্রতি নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় তিন মাদকসেবী কিশোর ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এক বিচারকের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যায়। বিচারক তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরান হোসেন বলেন, ওই তিন কিশোরের সম্পর্কে আগে তথ্য পাওয়া যায়নি। বিচারকের গাড়ির সামনে দাঁড়ানোর পর তারা নতুন করে পুলিশের সামনে এসেছে। ওরা এতটাই নেশাগ্রস্ত যে নেশার যন্ত্রণা দূর করতে নিজেরাই নিজেদের হাত কেটে ক্ষতবিক্ষত করে রেখেছিল। এই তিন কিশোরের নাম কিশোর অপরাধীদের ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই ডাটাবেইসটা কেন্দ্রীয়ভাবে হালনাগাদ করা হয়। সেখানে তথ্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি থানাতেই তালিকা আছে।
রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, ‘রাজশাহীতে এসেই জানতে পারি, এ শহরে কিশোর অপরাধী একটু বেশি। তাই দ্রুতই সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন করি। কিশোর অপরাধীদের একটা ডেটাবেইসও করি। এ বিষয়ে তাদের অভিভাবককে জানানো হয়েছে। অভিভাবকেরা তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। পুলিশও তাদের গতিবিধি নজরদারি করছে। ফলে অনেকেই ভালো হয়েছে। এরপরও কেউ কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
রাজশাহী শহরের প্রায় ৫০০ কিশোরকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। শহরে কিশোর অপরাধ কমাতে পুলিশ একটি ডেটাবেইস তৈরি করে তাদের নজরদারিতে রেখেছে। এরা ছোটখাটো কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়লে ধরে থানায় আনা হচ্ছে। তারপর মুচলেকা দিয়ে হস্তান্তর করা হচ্ছে অভিভাবকদের কাছে। মাদকসংশ্লিষ্ট কিংবা অন্য বড় অপরাধ করলে নেওয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য কমাতে গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) ১২ থানায় শুরু হয় ধরপাকড়। সে সময় মুচলেকা নিয়ে এসব কিশোরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু তাদের নাম রাখা হয় ডেটাবেইসে। এখন পুলিশ নিয়মিত তাদের গতিবিধি নজরদারি করছে। এরা কী করছে, কার সঙ্গে ঘুরছে, কোথায় কতটা সময় ব্যয় করছে—সব তথ্যই মাঝে মাঝে নিচ্ছে পুলিশ। সচেতন অনেক অভিভাবক তথ্য দিয়ে এ বিষয়ে পুলিশকে সহায়তা করছেন।
এই ৫০০ কিশোরের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীকালে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারের শিশু ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। আবার ছোট অপরাধের জন্য কাউকে কাউকে দ্বিতীয় দফায়ও থানায় এনে অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মুচলেকা নিয়ে। যারা কারাগারে গেছে তারা চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য মারামারিতে জড়িয়ে পড়া কিশোরদের আবার অভিভাবকের কাছে পাঠানো হয় সংশোধনের জন্য। এ ছাড়া বিকট শব্দে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেও কিশোরদের ধরে থানায় আনা হয়। এদের হাতে মোটরসাইকেলের চাবি না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়।
নগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নজরদারিতে থাকা ৫০০ কিশোরের মধ্যে ৫০ শতাংশই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অন্য ৪০ শতাংশ নিম্নবিত্ত এবং ১০ শতাংশ উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। এদের বয়স ১৪ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তালিকার ৩৫ শতাংশ কিশোর আগে পড়াশোনা করলেও পরে বাদ দিয়েছে। ৩৫ ভাগ শিশু-কিশোর মাদকাসক্ত। অন্য ১০ ভাগ মাঝে মাঝে মাদক সেবন করে থাকে। এসব শিশু-কিশোর চুরি, ছিনতাই, মারামারি এবং ইভ টিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা একেকটি গ্রুপের সদস্য হিসেবে থাকে। এক গ্রুপের কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কিংবা মারধরের ঘটনা ঘটলে গ্রুপের সবাই অন্য গ্রুপের সদস্যদের আক্রমণ করে। এসব কার্যক্রম থেকে কিশোরদের দূরে সরিয়ে আনতেই তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
এই তালিকা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। শহরে নতুন নতুন কিশোর অপরাধী শনাক্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সম্প্রতি নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় তিন মাদকসেবী কিশোর ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এক বিচারকের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যায়। বিচারক তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরান হোসেন বলেন, ওই তিন কিশোরের সম্পর্কে আগে তথ্য পাওয়া যায়নি। বিচারকের গাড়ির সামনে দাঁড়ানোর পর তারা নতুন করে পুলিশের সামনে এসেছে। ওরা এতটাই নেশাগ্রস্ত যে নেশার যন্ত্রণা দূর করতে নিজেরাই নিজেদের হাত কেটে ক্ষতবিক্ষত করে রেখেছিল। এই তিন কিশোরের নাম কিশোর অপরাধীদের ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই ডাটাবেইসটা কেন্দ্রীয়ভাবে হালনাগাদ করা হয়। সেখানে তথ্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি থানাতেই তালিকা আছে।
রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, ‘রাজশাহীতে এসেই জানতে পারি, এ শহরে কিশোর অপরাধী একটু বেশি। তাই দ্রুতই সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন করি। কিশোর অপরাধীদের একটা ডেটাবেইসও করি। এ বিষয়ে তাদের অভিভাবককে জানানো হয়েছে। অভিভাবকেরা তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। পুলিশও তাদের গতিবিধি নজরদারি করছে। ফলে অনেকেই ভালো হয়েছে। এরপরও কেউ কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
৪ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
৫ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫