নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ওয়ার্ড ইনচার্জের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন চার নার্সিং কর্মকর্তা। তাঁদের এই অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি; উল্টো অভিযোগ করার পর এই চার নার্সিং কর্মকর্তাকেই ওই ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নার্সিং কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এই চার সিনিয়র স্টাফ নার্স হলেন জাকিয়া সুলতানা, মো. ইব্রাহিম, মোসা. হাসনা হেনা ও রুপালী খাতুন। তাঁরা হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে ছিলেন। জাকিয়া, রুপালী ও হাসনা হেনা ১৫ বছর এবং ইব্রাহিম ১০ বছর এই ওয়ার্ডে ছিলেন। তাঁরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকেও কার্ডিওলজির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। রুপালী খাতুন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যাথ ল্যাবে ছিলেন। ক্যাথ ল্যাবের ওপর তিনি সরকারি খরচে জাপান থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কঠোর নির্দেশনা আছে, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডেই ডিউটি দিতে হবে। অন্য কোনো ওয়ার্ডে সাময়িকভাবেও তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। অথচ জাকিয়াকে শিশু বিভাগের ২৭ নম্বরে, রুপালিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে, হাসনা হেনাকে নাক, কান ও গলা বিভাগের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ইব্রাহিমকে জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসাই হয় না। রোগী এলেই পাঠানো হয় ওয়ার্ডে। এই নার্সরা যে বিষয়ে দক্ষ, সে ওয়ার্ড থেকে সরানো হয়েছে শুধু ওয়ার্ডের ইনচার্জ চায়না পারভীনকে রাখার জন্য। এই চায়নার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন চার নার্সিং কর্মকর্তা। গত ২ অক্টোবর হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন তাঁরা।
অভিযোগে তাঁরা বলেন, কারণে-অকারণে ওয়ার্ড ইনচার্জ তাঁদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ ব্যাপারে সেবা তত্ত্বাবধায়কের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও তাঁরা কোনো প্রতিকার পাননি। অভিযোগে তাঁরা বলেন, ওয়ার্ডে রোগীপ্রতি ইসিজি ফি ৮০ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ আট টাকা। মোট ৮৮ টাকা আদায়ের বিধান থাকলেও ইনচার্জ ৯০ টাকা আদায়ে নার্সদের বাধ্য করেন। অতিরিক্ত দুই টাকা ইনচার্জ চায়না পারভীন রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে সব সময় নিজের কাছে রেখে দেন। কোনো নার্সিং কর্মকর্তা যদি অতিরিক্ত দুই টাকা রোগীকে ফেরত দিতে চান তবে সেই নার্সিং কর্মকর্তাকে ইনচার্জ চায়না পারভীন বাজে ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি বলেন, এই দুই টাকা যারা রোগীর স্বজনকে ফেরত দেবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
এই নার্সরা আরও অভিযোগ করেন, ওয়ার্ডের রোগীদের পেসমেকার বসানো হলে কোম্পানির প্রতিনিধি রোগীপ্রতি ৫০০ টাকা করে ডিউটিরত নার্সিং কর্মকর্তাদের নাশতা বাবদ দিয়ে থাকেন। এই টাকা নেন ওয়ার্ড ইনচার্জ। গত দুই বছরে এক দিনও ইনচার্জ নার্সদের নাশতা করাননি। দুই বছরে প্রায় ১৬৮টি পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছে। সেই হিসাবে চায়না পারভীন ৮৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসব অভিযোগের কোনো তদন্ত করা হয়নি।
ভুক্তভোগী নার্সিং কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ করার পর হাসপাতালের পরিচালক দুই পক্ষকেই তাঁর কার্যালয়ে ডাকেন। কিন্তু তাঁদের কোনো কথা শোনেননি। শুধু ওয়ার্ড ইনচার্জ চায়না পারভীনের কথা শোনেন। পরিচালক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে সবাইকে যেতে বলেন। হঠাৎ ৭ অক্টোবর থেকে তাঁদের অন্য ওয়ার্ডে দায়িত্ব দেন নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট।
হাসপাতালের নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহাদাতুন নূর লাকি বলেন, বিষয়টা তদন্ত করা উচিত ছিল। তারপরই একটা ব্যবস্থা হতে পারত। তা না করে অভিযোগকারীদেরই সরিয়ে দেওয়া দুঃখজনক।’
চার নার্সের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে অভিযুক্ত ওয়ার্ড ইনচার্জ চায়না পারভীন বলেন, ‘বিষয়টা পরিচালক স্যার সমাধান করে দিয়েছেন। আমি কোনো কথা বলব না।’
হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘পরিচালকের নির্দেশনায় ওই চার নার্সকে মৌখিকভাবে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কদিন পর ঠিক হয়ে যাবে।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী স্বীকার করেন, নার্সদের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হয়নি। অভিযোগকারীদেরই সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ইনচার্জ থাকলে অভিযোগকারী নার্সরা থাকতে চান না, আবার অভিযোগকারীরা থাকলে ইনচার্জ থাকতে চান না। আমাকে তো ওয়ার্ড চালাতে হবে। তাই এ সিদ্ধান্ত।’
ওয়ার্ড ইনচার্জের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন চার নার্সিং কর্মকর্তা। তাঁদের এই অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি; উল্টো অভিযোগ করার পর এই চার নার্সিং কর্মকর্তাকেই ওই ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নার্সিং কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এই চার সিনিয়র স্টাফ নার্স হলেন জাকিয়া সুলতানা, মো. ইব্রাহিম, মোসা. হাসনা হেনা ও রুপালী খাতুন। তাঁরা হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে ছিলেন। জাকিয়া, রুপালী ও হাসনা হেনা ১৫ বছর এবং ইব্রাহিম ১০ বছর এই ওয়ার্ডে ছিলেন। তাঁরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকেও কার্ডিওলজির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। রুপালী খাতুন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যাথ ল্যাবে ছিলেন। ক্যাথ ল্যাবের ওপর তিনি সরকারি খরচে জাপান থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কঠোর নির্দেশনা আছে, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডেই ডিউটি দিতে হবে। অন্য কোনো ওয়ার্ডে সাময়িকভাবেও তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। অথচ জাকিয়াকে শিশু বিভাগের ২৭ নম্বরে, রুপালিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে, হাসনা হেনাকে নাক, কান ও গলা বিভাগের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ইব্রাহিমকে জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসাই হয় না। রোগী এলেই পাঠানো হয় ওয়ার্ডে। এই নার্সরা যে বিষয়ে দক্ষ, সে ওয়ার্ড থেকে সরানো হয়েছে শুধু ওয়ার্ডের ইনচার্জ চায়না পারভীনকে রাখার জন্য। এই চায়নার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন চার নার্সিং কর্মকর্তা। গত ২ অক্টোবর হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন তাঁরা।
অভিযোগে তাঁরা বলেন, কারণে-অকারণে ওয়ার্ড ইনচার্জ তাঁদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ ব্যাপারে সেবা তত্ত্বাবধায়কের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও তাঁরা কোনো প্রতিকার পাননি। অভিযোগে তাঁরা বলেন, ওয়ার্ডে রোগীপ্রতি ইসিজি ফি ৮০ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ আট টাকা। মোট ৮৮ টাকা আদায়ের বিধান থাকলেও ইনচার্জ ৯০ টাকা আদায়ে নার্সদের বাধ্য করেন। অতিরিক্ত দুই টাকা ইনচার্জ চায়না পারভীন রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে সব সময় নিজের কাছে রেখে দেন। কোনো নার্সিং কর্মকর্তা যদি অতিরিক্ত দুই টাকা রোগীকে ফেরত দিতে চান তবে সেই নার্সিং কর্মকর্তাকে ইনচার্জ চায়না পারভীন বাজে ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি বলেন, এই দুই টাকা যারা রোগীর স্বজনকে ফেরত দেবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
এই নার্সরা আরও অভিযোগ করেন, ওয়ার্ডের রোগীদের পেসমেকার বসানো হলে কোম্পানির প্রতিনিধি রোগীপ্রতি ৫০০ টাকা করে ডিউটিরত নার্সিং কর্মকর্তাদের নাশতা বাবদ দিয়ে থাকেন। এই টাকা নেন ওয়ার্ড ইনচার্জ। গত দুই বছরে এক দিনও ইনচার্জ নার্সদের নাশতা করাননি। দুই বছরে প্রায় ১৬৮টি পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছে। সেই হিসাবে চায়না পারভীন ৮৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসব অভিযোগের কোনো তদন্ত করা হয়নি।
ভুক্তভোগী নার্সিং কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ করার পর হাসপাতালের পরিচালক দুই পক্ষকেই তাঁর কার্যালয়ে ডাকেন। কিন্তু তাঁদের কোনো কথা শোনেননি। শুধু ওয়ার্ড ইনচার্জ চায়না পারভীনের কথা শোনেন। পরিচালক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে সবাইকে যেতে বলেন। হঠাৎ ৭ অক্টোবর থেকে তাঁদের অন্য ওয়ার্ডে দায়িত্ব দেন নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট।
হাসপাতালের নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহাদাতুন নূর লাকি বলেন, বিষয়টা তদন্ত করা উচিত ছিল। তারপরই একটা ব্যবস্থা হতে পারত। তা না করে অভিযোগকারীদেরই সরিয়ে দেওয়া দুঃখজনক।’
চার নার্সের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে অভিযুক্ত ওয়ার্ড ইনচার্জ চায়না পারভীন বলেন, ‘বিষয়টা পরিচালক স্যার সমাধান করে দিয়েছেন। আমি কোনো কথা বলব না।’
হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘পরিচালকের নির্দেশনায় ওই চার নার্সকে মৌখিকভাবে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কদিন পর ঠিক হয়ে যাবে।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী স্বীকার করেন, নার্সদের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হয়নি। অভিযোগকারীদেরই সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ইনচার্জ থাকলে অভিযোগকারী নার্সরা থাকতে চান না, আবার অভিযোগকারীরা থাকলে ইনচার্জ থাকতে চান না। আমাকে তো ওয়ার্ড চালাতে হবে। তাই এ সিদ্ধান্ত।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৬ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৭ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৮ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫