Ajker Patrika

টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ প্রকৌশলী বরখাস্ত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Thumbnail image

দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগে টাঙ্গাইল পৌরসভার তিন প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই আদেশে কাজের অতিরিক্ত বিল দেওয়ার অভিযোগে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়র।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ ওরফে আজমী, সহকারী প্রকৌশলী রাজীব গুহ ও উপসহকারী প্রকৌশলী জিন্নাতুল হক। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।অভিযোগনামা পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া সেতুটি নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিকস অ্যান্ড বিল্ডিং লিমিটেড এবং দ্য নির্মিতি (জেভি) নামক প্রতিষ্ঠানকে ডিজাইন ও প্রাক্কলন যথাযথ অনুসরণ না করায় তালিকাভুক্ত করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল পৌরসভার বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৮ মিটার প্রস্থ ও ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। গত ১৬ জুন রাতে নির্মাণাধীন সেতুটি দেবে যায়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ গতকাল মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্মাণাধীন সেতুটির ঢালাই কাজের আগে সেন্টারিং ও শাটারিংয়ের সময় ঠিকাদার ড্রইং ও ডিজাইন অনুসরণ না করে বল্লি ও বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করেন। বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের চিঠির মাধ্যমে নিষেধ করা হয়। তারপরও তাঁরা ঢালাইয়ের কাজ বন্ধের কোনো ব্যবস্থা নেননি; বরং ঢালাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন। এটিকে দায়িত্বে চরম অবহেলা প্রদর্শন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

এদিকে পৌরসভার প্রকৌশলীদের সঙ্গে ঠিকাদারপক্ষের স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং সেতু নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে জেনেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া, কাজের অগ্রগতির তুলনায় অতিরিক্ত বিল প্রদান করায় মেয়র এস এম সিরাজুল হককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এ প্রসঙ্গে মেয়র এস এম সিরাজুল হক জানান, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চিঠির জবাব তিনি দেবেন বলেও জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত