Ajker Patrika

চলাচলের রাস্তায় বেড়া অবরুদ্ধ ১৬ পরিবার

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৩৪
Thumbnail image

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বসতবাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় বেড়া দেওয়ায় ১৬টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক হোসেনের বিরুদ্ধে রাস্তায় বেড়া দেওয়ার এ অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল সোমবার অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারের পক্ষে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বেড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে টিন ও বাঁশ। এতে ওই ১৬টি পরিবারের সদস্যরা প্রায় ১৫ দিন ঘরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের নিউ সারিয়াকান্দি গ্রামে। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক হোসেন একই গ্রামের বাসিন্দা।

অবরুদ্ধ পরিবারের মাঝে রয়েছেন লাল মিয়া, হাফিজুর রহমান, আবুল কাসেম, নিজাম উদ্দিন, খোকন মিয়া, জয়নাল আবেদীন, আব্দুল মোমিন, রঞ্জু মিয়া, কোরবান আলী, রতন মিয়া, লুৎফর রহমান, সুমন হোসেন, দোলাল, স্বপন ও রাসেলের পরিবার।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত জনপদের কমপক্ষে ৩০টি বাস্তুহারা পরিবার প্রায় ১৫ বছর আগে নিউ সারিয়াকান্দি গ্রামে জায়গা কিনে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছেন। এসব পরিবারের লোকজন নিজেদের চলাচলের জন্য গ্রামের মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছেন। তখন থেকেই ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামের লোকজন চলাচল করেন।

ওই গ্রামের মাতব্বর নুরুল ইসলাম ও সিদ্দিক হোসেনের মধ্যে আগে থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। একপর্যায়ে নুরুল ইসলামের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে সিদ্দিক হোসেন বাড়ির নলকূপের পানি নিষ্কাশনের অজুহাত দেখিয়ে রাস্তায় গর্ত করেন এবং আড়াআড়ি ভাবে বাঁশ ও টিন দিয়ে বেড়া দিয়েছেন। এতে করে গ্রামের লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটেও যাতায়াত করতে পারছেন না। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা বৈঠক করে কোনো সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক হোসেন বলেন, ‘আগে আমার ও নুরুল ইসলামের যৌথ মালিকানাধীন পুকুরে নলকূপের পানি নিষ্কাশন করেছি। কিন্তু নুরুল ইসলাম সেই পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে আমি বাড়ির সামনে রাস্তায় গর্ত করে নলকূপের পানি নিষ্কাশন করছি।’

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘রাস্তায় বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত