নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগের বছরের মতোই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কোনো ধরনের নীতি সহায়তা পেল না পুঁজিবাজার। বিপরীতে মূলধনি মুনাফা বা ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই করারোপের প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী বাজেটে প্রস্তাব করেছেন, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনি মুনাফায় কোনো কর বসবে না। তবে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করলে তার ওপর কর দিতে হবে।
সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ার লেনদেন করে কোনো বিনিয়োগকারী যদি এক বছরে ৫৫ লাখ টাকা মুনাফা করেন, তাহলে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত–সুবিধার আওতায় থাকবেন। বাকি ৫ লাখ টাকা মুনাফা ওই বিনিয়োগকারীর মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। তাতে ওই বিনিয়োগকারীর নির্দিষ্ট একটি অর্থবছরে তার মোট আয়ের ওপর যে হারে কর প্রযোজ্য হবে, সেই হারে কর দিতে হবে। তবে কোনো বিনিয়োগকারী যদি কোনো শেয়ার একটানা ৫ বছর ধরে রেখে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করেন, সে ক্ষেত্রে ওই মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ হবে।
বাজেটে আরও প্রস্তাব করা হয়েছে, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীর বাইরে কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে যে কোনো মুনাফায় করারোপ হবে।
মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে বিষয়টি আলোচনায় আসে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে এই করারোপ না করার দাবি জানায়। তবে পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট সেই দাবি শেষ পর্যন্ত রাখেননি অর্থমন্ত্রী।
এ ছাড়া নতুন বাজেটে শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহারের ব্যবধান বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার কমিয়ে সাড়ে ১৭ শতাংশ করার দাবি করেছিল ডিএসই কর্তৃপক্ষ। আর অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে সাড়ে ৩৭ থেকে ৪০ শতাংশ করার দাবি করা হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী এই দাবিও আমলে নেননি।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর হারে কোনো পরিবর্তন আনেননি অর্থমন্ত্রী। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি যদি তাদের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার বাজারে ছাড়ে, তাহলে ওই কোম্পানির ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে করপোরেট কর আগের মতোই ২০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শর্ত পূরণ না করলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে এ করহার হবে সাড়ে ২২ শতাংশ।
অন্যদিকে যেসব কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের কম শেয়ার বাজারে ছাড়বে, তাদের ক্ষেত্রে শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে করপোরেট করহার হবে সাড়ে ২২ শতাংশ। এ ধরনের কোম্পানির ক্ষেত্রে যারা শর্ত পালন করবে না, তাদের ক্ষেত্রে এ করহার হবে ২৫ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কম করপোরেট করের সুবিধা পেতে কোম্পানিগুলোকে ৫ লাখ টাকার বেশি একক লেনদেন ও বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকার বেশি লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে। এ শর্ত পালন না করলে কোম্পানিগুলো কম করপোরেট করের সুবিধা পাবেন না।
এদিকে মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপের উদ্যোগের প্রভাবে বেশ কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যদিও বাজেট পেশের আগে বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচকটি এদিন প্রায় ১৩ পয়েন্ট বেড়েছে। আর লেনদেন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪৩ কোটি টাকায়।
আগের বছরের মতোই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কোনো ধরনের নীতি সহায়তা পেল না পুঁজিবাজার। বিপরীতে মূলধনি মুনাফা বা ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই করারোপের প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী বাজেটে প্রস্তাব করেছেন, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনি মুনাফায় কোনো কর বসবে না। তবে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করলে তার ওপর কর দিতে হবে।
সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ার লেনদেন করে কোনো বিনিয়োগকারী যদি এক বছরে ৫৫ লাখ টাকা মুনাফা করেন, তাহলে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত–সুবিধার আওতায় থাকবেন। বাকি ৫ লাখ টাকা মুনাফা ওই বিনিয়োগকারীর মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। তাতে ওই বিনিয়োগকারীর নির্দিষ্ট একটি অর্থবছরে তার মোট আয়ের ওপর যে হারে কর প্রযোজ্য হবে, সেই হারে কর দিতে হবে। তবে কোনো বিনিয়োগকারী যদি কোনো শেয়ার একটানা ৫ বছর ধরে রেখে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করেন, সে ক্ষেত্রে ওই মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ হবে।
বাজেটে আরও প্রস্তাব করা হয়েছে, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীর বাইরে কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে যে কোনো মুনাফায় করারোপ হবে।
মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে বিষয়টি আলোচনায় আসে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে এই করারোপ না করার দাবি জানায়। তবে পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট সেই দাবি শেষ পর্যন্ত রাখেননি অর্থমন্ত্রী।
এ ছাড়া নতুন বাজেটে শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহারের ব্যবধান বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার কমিয়ে সাড়ে ১৭ শতাংশ করার দাবি করেছিল ডিএসই কর্তৃপক্ষ। আর অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে সাড়ে ৩৭ থেকে ৪০ শতাংশ করার দাবি করা হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী এই দাবিও আমলে নেননি।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর হারে কোনো পরিবর্তন আনেননি অর্থমন্ত্রী। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি যদি তাদের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার বাজারে ছাড়ে, তাহলে ওই কোম্পানির ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে করপোরেট কর আগের মতোই ২০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শর্ত পূরণ না করলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে এ করহার হবে সাড়ে ২২ শতাংশ।
অন্যদিকে যেসব কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের কম শেয়ার বাজারে ছাড়বে, তাদের ক্ষেত্রে শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে করপোরেট করহার হবে সাড়ে ২২ শতাংশ। এ ধরনের কোম্পানির ক্ষেত্রে যারা শর্ত পালন করবে না, তাদের ক্ষেত্রে এ করহার হবে ২৫ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কম করপোরেট করের সুবিধা পেতে কোম্পানিগুলোকে ৫ লাখ টাকার বেশি একক লেনদেন ও বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকার বেশি লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে। এ শর্ত পালন না করলে কোম্পানিগুলো কম করপোরেট করের সুবিধা পাবেন না।
এদিকে মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপের উদ্যোগের প্রভাবে বেশ কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যদিও বাজেট পেশের আগে বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচকটি এদিন প্রায় ১৩ পয়েন্ট বেড়েছে। আর লেনদেন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪৩ কোটি টাকায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেশ কয়েকটি পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে, যা বাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে দেশে উৎপাদিত বিস্কুট, লবণ, সরিষার তেল, আটা, ময়দা, এলপি গ্যাসসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। কিছু পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে ও কিছুতে...
৫ ঘণ্টা আগেদেশের তৈরি পোশাকশিল্প হঠাৎ করেই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি। বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার চাপ, ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ব্যয় এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আরও দুঃসংবাদ হলো, চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে পোশাক রপ্তানির ক্রয় আদেশ (ইউডি) ৪২ শতাংশ কমে গেছে, যা গত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন।
৫ ঘণ্টা আগেঈদ আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় উৎসব। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, আর এই ঈদের খুশিকে সর্বজনীন করতে যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলসের পণ্যে শুরু হচ্ছে ‘ডাবল খুশি অফার’ সিজন-৩।
৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ‘যাকাত ও ক্যাশ ওয়াক্ফ ক্যাম্পেইন-২০২৫’ শীর্ষক মাসব্যাপী একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের পবিত্র
৬ ঘণ্টা আগে