নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় থাকা দেশের মতো নয় বলে মন্তব্য করেছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশ নিয়ে কাজ করি। আমি বলতে চাই, এটা (বাংলাদেশ) এলডিসি গ্রুপে থাকার মতো দেশ না। আমাদের সক্ষমতা, যোগ্যতা, স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা—এসব দিয়ে এলডিসি গ্রুপে থাকার মতো কারণ নেই।’
সিপিডির বিশেষ ফেলো বলেন, ‘যদি কোনো কারণে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ হতে না পারি, তাহলে তিনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বলবেন, সোনার সংসার রেখে গিয়েছিলাম, এটা নষ্ট করেছে দুই বছরে। যাঁরা (বাজারসুবিধাপ্রাপ্ত রপ্তানিকারক) এলডিসি উত্তরণ পিছিয়ে দিতে তদবির করেন, তাঁদের গোড়া কোথায়, তা দেখেন। তাঁরা সংসদে প্রভাবশালী ছিলেন, রাজনীতিতে প্রভাবশালী ছিলেন। আমরা দেখেছি, একটি রপ্তানি খাতকে কীভাবে একচেটিয়া সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মলনে বলা হয়, ‘জাতিসংঘের ২০২৪ সালের ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা—এই তিন সূচকেই বাংলাদেশ উত্তীর্ণ হয়েছে। অথচ আমাদের পাশের দেশ নেপালের দুটি সূচক নেতিবাচক। তারপরও দেশটি মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় যাচ্ছে। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব।’
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ হওয়ার সময় ঠিক করা হয়েছে। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এ দেশে জিডিপি যেভাবে হিসাব করা হয়, তাতে অতিরিক্ত দেখা যায়। কোনো খাতে মূল্য সংযোজন বাড়লে ধরা পড়ে, কিন্তু কমলে ধরা পড়ে না। তথ্য-উপাত্ত বলছে, মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়িনি, কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এত দিন ভেবেছিলাম, আমাদের মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ার শঙ্কা আছে, ঝুঁকি আছে। এখন আমরা বলছি, আমরা সেই ফাঁদে পড়ে গেছি। পরিসংখ্যান দিয়ে এত দিন উন্নয়ন দেখানো হয়েছে। বাস্তবে তা হয়নি। হিসাব গরমিলের কারণে মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ে গেছি।’
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় থাকা দেশের মতো নয় বলে মন্তব্য করেছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশ নিয়ে কাজ করি। আমি বলতে চাই, এটা (বাংলাদেশ) এলডিসি গ্রুপে থাকার মতো দেশ না। আমাদের সক্ষমতা, যোগ্যতা, স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা—এসব দিয়ে এলডিসি গ্রুপে থাকার মতো কারণ নেই।’
সিপিডির বিশেষ ফেলো বলেন, ‘যদি কোনো কারণে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ হতে না পারি, তাহলে তিনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বলবেন, সোনার সংসার রেখে গিয়েছিলাম, এটা নষ্ট করেছে দুই বছরে। যাঁরা (বাজারসুবিধাপ্রাপ্ত রপ্তানিকারক) এলডিসি উত্তরণ পিছিয়ে দিতে তদবির করেন, তাঁদের গোড়া কোথায়, তা দেখেন। তাঁরা সংসদে প্রভাবশালী ছিলেন, রাজনীতিতে প্রভাবশালী ছিলেন। আমরা দেখেছি, একটি রপ্তানি খাতকে কীভাবে একচেটিয়া সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মলনে বলা হয়, ‘জাতিসংঘের ২০২৪ সালের ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা—এই তিন সূচকেই বাংলাদেশ উত্তীর্ণ হয়েছে। অথচ আমাদের পাশের দেশ নেপালের দুটি সূচক নেতিবাচক। তারপরও দেশটি মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় যাচ্ছে। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব।’
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ হওয়ার সময় ঠিক করা হয়েছে। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এ দেশে জিডিপি যেভাবে হিসাব করা হয়, তাতে অতিরিক্ত দেখা যায়। কোনো খাতে মূল্য সংযোজন বাড়লে ধরা পড়ে, কিন্তু কমলে ধরা পড়ে না। তথ্য-উপাত্ত বলছে, মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়িনি, কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এত দিন ভেবেছিলাম, আমাদের মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ার শঙ্কা আছে, ঝুঁকি আছে। এখন আমরা বলছি, আমরা সেই ফাঁদে পড়ে গেছি। পরিসংখ্যান দিয়ে এত দিন উন্নয়ন দেখানো হয়েছে। বাস্তবে তা হয়নি। হিসাব গরমিলের কারণে মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ে গেছি।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ২১৯ কোটি (২.১৯ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬,৭১৮ কোটি টাকা। এটি আগের মাসের (ডিসেম্বর) রেকর্ড ২৬৩.৯০ কোটি ডলারের তুলনায় কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২১৯ ক
২৪ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আনার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিদেশি চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবার বিপরীতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারিভাবে আমন্ত্রিত চিকিৎসকদের ফি, আপ্যায়ন ব্
১ ঘণ্টা আগেপ্রাইজবন্ডের ১১৮তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০০ টাকা মূল্যমানের বন্ডের ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের নম্বর হলো ০৬০৩৯০৮ এবং তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা বিজয়ী দ্বিতীয় হয়েছে ০৮২৯৩২০ নম্বর। ড্রয়ে তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী এক লাখ টাকা করে দুটি নম্বর যথাক্রমে ০১৬৭৭১৯ ও ০৩৩৪৬৭০। চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার ট
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আয়োজিত ‘রেমিট্যান্স উৎসব-২০২৪’-এর পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়ফুল্লাকান্দি বাজার শাখায় আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে