রোকন উদ্দীন, ঢাকা
সরকার কাগজে-কলমে পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনের কারণে এই সিদ্ধান্ত। ঘোষণার দিন থেকেই নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। বরং কোথাও কোথাও লিটারপ্রতি ২-৩ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
বাজারচিত্র: ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই
গত ১৩ এপ্রিল সরকার খোলা পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল। ১২ আগস্ট নতুন ঘোষণায় সেটি নামিয়ে আনা হয় ১৫০ টাকায়। কিন্তু সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজারে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো এখনো কিনছে লিটারপ্রতি ১৭০ টাকায়। খুচরা ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকা। মানিকনগরে খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬২-১৬৪ টাকায়। দরদাম করলে এক-দুই টাকা কমানো সম্ভব হলেও ঘোষিত দামের সঙ্গে বাস্তবের ব্যবধান রয়ে গেছে ১০-১৫ টাকা।
ব্যবসায়ীদের অজুহাত
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা পাইকারিতে কম দামে কিনতে পারেননি। মানিকনগরের হাজি স্টোরের মো. রাব্বি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে কিনেছি ১৫৭ টাকায়, এখন পাইকারিতে ১৬০ টাকা দিতে হচ্ছে। কম দামে বিক্রি করব কীভাবে?’ সেগুনবাগিচার মহিন স্টোরের মামুন হোসাইনের বক্তব্যও একই, ‘সরকার তো তেল বিক্রি করে না, পাইকারি বাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করে, তারাই দাম কমায়নি।’
পাইকারদের অবস্থান
দেশের অন্যতম পাইকারি কেন্দ্র মৌলভীবাজারেও একই অবস্থা। ডিলাররা লিটারপ্রতি ১৪৪ টাকার নিচে নামেননি। সমিতির সভাপতি হাজি গোলাম মাওলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দাম কমানোর কোনো সার্কুলার পাইনি। কম দামে কিনতে না পারলে কম দামে বিক্রি করব কীভাবে? তবে সরবরাহে সংকট নেই।’
সরকারের অজানা অজুহাত
তবে বাজারে ঘোষণার প্রভাব পড়েনি, এ কথা জানে না সরকারও। জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেই দাম কমানো হয়েছে। মানার কথা। না মানার তো কোনো কারণ নেই। সচিব জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন খুচরায় পাম তেলের দাম ১৮ শতাংশ বেশি। গত বছর এ সময়ে লিটারপ্রতি দাম ছিল ১২৫-১৪০ টাকা, এখন তা ১৬২ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ ঘোষণার পর কাগজে দাম কমলেও বাস্তবে ভোক্তার খরচই বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের উল্টো চিত্র
সরকার বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতন হয়েছে। কিন্তু ট্রেড ইকোনমির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতি টন পাম তেলের দাম ছিল ৩৭১১ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, যা এ বছরের আগস্টে দাঁড়িয়েছে ৪৫১৭ রিঙ্গিতে। অর্থাৎ দাম কমেনি, বরং বেড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সরকার বাজারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সময়ে দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে আসলেই দাম কমেছিল, তখন দেশীয় বাজারে কমানো হয়নি। আর যখন উল্টো দাম বাড়ছে, তখন কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা মানছেন না, এতে ভোক্তার বোঝা আরও বেড়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণহীনতা নাকি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী
অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের ঘোষণাগুলো বাস্তবায়নের মতো নজরদারি কাঠামো নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা সমন্বিতভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করেন। সরকারের ঘোষণাগুলো থেকে যায় কাগজে, ভোক্তার কাছে পৌঁছায় না। ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলোর প্রশ্ন, যদি সরকার নিজের ঘোষণাই বাস্তবায়ন করতে না পারে, তবে এমন ঘোষণার উদ্দেশ্য কী? কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘোষণার পরও বাজারে পাম তেলের দাম কমেনি। তাঁর অভিযোগ, দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলেই হুট করে বেড়ে যায়, কিন্তু কমানোর ঘোষণা কার্যকর হয় না, এটা নিছক আইওয়াশ।
ভোক্তার অসহায়ত্ব
এখন খোলাবাজারে ভোক্তাদের লিটারপ্রতি ১৫-২০ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে। হোটেল-রেস্তোরাঁর কেনা তেলের দামও বেড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে খাবারের দামে। ফলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন, সরকারের ঘোষণা নিছক কাগুজে প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
সরকার কাগজে-কলমে পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনের কারণে এই সিদ্ধান্ত। ঘোষণার দিন থেকেই নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। বরং কোথাও কোথাও লিটারপ্রতি ২-৩ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
বাজারচিত্র: ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই
গত ১৩ এপ্রিল সরকার খোলা পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল। ১২ আগস্ট নতুন ঘোষণায় সেটি নামিয়ে আনা হয় ১৫০ টাকায়। কিন্তু সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজারে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো এখনো কিনছে লিটারপ্রতি ১৭০ টাকায়। খুচরা ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকা। মানিকনগরে খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬২-১৬৪ টাকায়। দরদাম করলে এক-দুই টাকা কমানো সম্ভব হলেও ঘোষিত দামের সঙ্গে বাস্তবের ব্যবধান রয়ে গেছে ১০-১৫ টাকা।
ব্যবসায়ীদের অজুহাত
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা পাইকারিতে কম দামে কিনতে পারেননি। মানিকনগরের হাজি স্টোরের মো. রাব্বি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে কিনেছি ১৫৭ টাকায়, এখন পাইকারিতে ১৬০ টাকা দিতে হচ্ছে। কম দামে বিক্রি করব কীভাবে?’ সেগুনবাগিচার মহিন স্টোরের মামুন হোসাইনের বক্তব্যও একই, ‘সরকার তো তেল বিক্রি করে না, পাইকারি বাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করে, তারাই দাম কমায়নি।’
পাইকারদের অবস্থান
দেশের অন্যতম পাইকারি কেন্দ্র মৌলভীবাজারেও একই অবস্থা। ডিলাররা লিটারপ্রতি ১৪৪ টাকার নিচে নামেননি। সমিতির সভাপতি হাজি গোলাম মাওলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দাম কমানোর কোনো সার্কুলার পাইনি। কম দামে কিনতে না পারলে কম দামে বিক্রি করব কীভাবে? তবে সরবরাহে সংকট নেই।’
সরকারের অজানা অজুহাত
তবে বাজারে ঘোষণার প্রভাব পড়েনি, এ কথা জানে না সরকারও। জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেই দাম কমানো হয়েছে। মানার কথা। না মানার তো কোনো কারণ নেই। সচিব জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন খুচরায় পাম তেলের দাম ১৮ শতাংশ বেশি। গত বছর এ সময়ে লিটারপ্রতি দাম ছিল ১২৫-১৪০ টাকা, এখন তা ১৬২ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ ঘোষণার পর কাগজে দাম কমলেও বাস্তবে ভোক্তার খরচই বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের উল্টো চিত্র
সরকার বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতন হয়েছে। কিন্তু ট্রেড ইকোনমির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতি টন পাম তেলের দাম ছিল ৩৭১১ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, যা এ বছরের আগস্টে দাঁড়িয়েছে ৪৫১৭ রিঙ্গিতে। অর্থাৎ দাম কমেনি, বরং বেড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সরকার বাজারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সময়ে দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে আসলেই দাম কমেছিল, তখন দেশীয় বাজারে কমানো হয়নি। আর যখন উল্টো দাম বাড়ছে, তখন কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা মানছেন না, এতে ভোক্তার বোঝা আরও বেড়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণহীনতা নাকি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী
অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের ঘোষণাগুলো বাস্তবায়নের মতো নজরদারি কাঠামো নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা সমন্বিতভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করেন। সরকারের ঘোষণাগুলো থেকে যায় কাগজে, ভোক্তার কাছে পৌঁছায় না। ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলোর প্রশ্ন, যদি সরকার নিজের ঘোষণাই বাস্তবায়ন করতে না পারে, তবে এমন ঘোষণার উদ্দেশ্য কী? কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘোষণার পরও বাজারে পাম তেলের দাম কমেনি। তাঁর অভিযোগ, দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলেই হুট করে বেড়ে যায়, কিন্তু কমানোর ঘোষণা কার্যকর হয় না, এটা নিছক আইওয়াশ।
ভোক্তার অসহায়ত্ব
এখন খোলাবাজারে ভোক্তাদের লিটারপ্রতি ১৫-২০ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে। হোটেল-রেস্তোরাঁর কেনা তেলের দামও বেড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে খাবারের দামে। ফলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন, সরকারের ঘোষণা নিছক কাগুজে প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
ঋণ পুনঃ তফসিলের জন্য সরকারি ব্যাংকের দেওয়া বিশেষ সুযোগ নিতে ১ হাজার ২৫৩টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ আবেদন প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। এই আবেদনগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতি আগস্ট মাসে ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো হবে।
২ ঘণ্টা আগেদেশের শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সিগঞ্জে কৃষকেরা এবার চরম লোকসানে পড়েছেন। বেশি ফলন ও হিমাগার-সংকটে বিপাকে পড়া এ জেলার কৃষকদের উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠছে না। প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৪-১৬ টাকা। বর্তমানে পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২ ও খুচরা বাজারে ১৮-২০ টাকায়।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ৩৬১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৬ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে সরকার। বৈদেশিক ঋণের অর্থায়ন হবে ২ হাজার ৪২৮ কোটি ৪ লাখ টাকা
৬ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতীয় মুদ্রা রুপির ব্যবহার বাড়াতে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন থেকে বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য ‘স্পেশাল রুপি ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট’ (এসআরভিএ) খোলার আগে আরবিআইয়ের অনুমতির আর প্রয়োজন হবে না। এ সিদ্ধান্তের ফলে রুপিভিত্তিক বাণিজ্য লেনদেন
৭ ঘণ্টা আগে