অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত পালটা আমদানি শুল্ক এবং অন্যান্য পালটা ব্যবস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে ‘মারাত্মক’ প্রভাব ফেলতে পারে। জাতিসংঘের বাণিজ্য সংস্থার পরিচালক গতকাল শুক্রবার এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপগুলো বৈদেশিক সহায়তা কমানোর চেয়েও বড় আঘাত হানতে পারে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র (আইটিসি) জানিয়েছে, বিশ্ব বাণিজ্য ৩-৭ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। আর এতে উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্বে একক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক বাংলাদেশকে ইউরোপের বাজারে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের বাণিজ্য সংস্থা।
আইটিসির নির্বাহী পরিচালক পামেলা কোক-হ্যামিল্টন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটা অনেক বড় ব্যাপার। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই উত্তেজনা অব্যাহত থাকলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ৮০ শতাংশ কমবে এবং এর ঢেউ বিশ্বজুড়ে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।’
গতকাল শুক্রবারও বিশ্ববাজার অস্থির ছিল। ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে চীন বাদে বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত করেছে। স্পষ্টত এটি এখন দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা করেছে এবং সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে বিপর্যস্ত করার ঝুঁকিতে ফেলেছে।
কোক-হ্যামিল্টন বলেন, ‘শুল্ক আরোপ বৈদেশিক সাহায্য বন্ধের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্জিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেকে পিছিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আইটিসি জানিয়েছে, লেসোথো, কম্বোডিয়া, লাওস, মাদাগাস্কার এবং মিয়ানমারের মতো বিশ্বের কয়েকটি স্বল্পোন্নত দেশ রপ্তানির জন্য মার্কিন বাজারের কিছু অংশ হারানোর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করতে পারে।
ট্রাম্পের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষে যদি আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকে, তাহলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশ ২০২৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হারাতে পারে। আইটিসির তথ্যে এমন ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে। কোক-হ্যামিল্টন পরামর্শ দিয়েছেন, বাংলাদেশ ইউরোপীয় বাজারকে বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। তাঁর মতে, সেখানে এখনো প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এবং জাতিসংঘের যৌথ সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র, যা রপ্তানির মাধ্যমে দেশগুলোকে উন্নয়নে সহায়তা করে, তাদের এই পূর্বাভাস ট্রাম্পের ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ এবং পরবর্তীতে চীনা আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির আগের সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই বাণিজ্য যুদ্ধ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি এবং গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত পালটা আমদানি শুল্ক এবং অন্যান্য পালটা ব্যবস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে ‘মারাত্মক’ প্রভাব ফেলতে পারে। জাতিসংঘের বাণিজ্য সংস্থার পরিচালক গতকাল শুক্রবার এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপগুলো বৈদেশিক সহায়তা কমানোর চেয়েও বড় আঘাত হানতে পারে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র (আইটিসি) জানিয়েছে, বিশ্ব বাণিজ্য ৩-৭ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। আর এতে উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্বে একক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক বাংলাদেশকে ইউরোপের বাজারে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের বাণিজ্য সংস্থা।
আইটিসির নির্বাহী পরিচালক পামেলা কোক-হ্যামিল্টন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটা অনেক বড় ব্যাপার। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই উত্তেজনা অব্যাহত থাকলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ৮০ শতাংশ কমবে এবং এর ঢেউ বিশ্বজুড়ে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।’
গতকাল শুক্রবারও বিশ্ববাজার অস্থির ছিল। ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে চীন বাদে বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত করেছে। স্পষ্টত এটি এখন দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা করেছে এবং সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে বিপর্যস্ত করার ঝুঁকিতে ফেলেছে।
কোক-হ্যামিল্টন বলেন, ‘শুল্ক আরোপ বৈদেশিক সাহায্য বন্ধের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্জিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেকে পিছিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আইটিসি জানিয়েছে, লেসোথো, কম্বোডিয়া, লাওস, মাদাগাস্কার এবং মিয়ানমারের মতো বিশ্বের কয়েকটি স্বল্পোন্নত দেশ রপ্তানির জন্য মার্কিন বাজারের কিছু অংশ হারানোর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করতে পারে।
ট্রাম্পের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষে যদি আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকে, তাহলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশ ২০২৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হারাতে পারে। আইটিসির তথ্যে এমন ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে। কোক-হ্যামিল্টন পরামর্শ দিয়েছেন, বাংলাদেশ ইউরোপীয় বাজারকে বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। তাঁর মতে, সেখানে এখনো প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এবং জাতিসংঘের যৌথ সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র, যা রপ্তানির মাধ্যমে দেশগুলোকে উন্নয়নে সহায়তা করে, তাদের এই পূর্বাভাস ট্রাম্পের ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ এবং পরবর্তীতে চীনা আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির আগের সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই বাণিজ্য যুদ্ধ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি এবং গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সব ধরনের শিল্প ও কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম গড়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ধুঁকতে থাকা পুরোনো শিল্পকারখানা যেমন চাপে পড়বে, তেমনি পিছু হঠতে পারে নতুন বিনিয়োগকারীও। কারণ কমিশন মনে করে, যাদের এই দামে গ্যাস কিনে শিল্প করা পোষাবে, তারা বিনিয়োগ করবে।
১ ঘণ্টা আগেবার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগে লভ্যাংশের টাকা তিন মাস অলস পড়ে থাকায় কোম্পানির চলতি মূলধন সংকুচিত হয়—এ সমস্যা দূর করতে নতুন নিয়ম আনছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এখন থেকে কোম্পানিগুলো ঘোষণার পরপরই লভ্যাংশের টাকা ব্যবহার করতে পারবে। তবে এজিএমের ঠিক এক দিন আগে তা আলাদা ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেজাপানে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠেছে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর। গতকাল রোববার ওসাকায় শুরু হওয়া এক্সপোতে ১৬০টি দেশ ও অঞ্চল অংশ নিচ্ছে, প্রদর্শন করছে তাদের প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও খাদ্যবৈচিত্র্য। অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে এ মেলা। আয়োজক জাপানের আশা, এই মেলা বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার কর
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট জটিলতা দূর করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা আসন্ন বাজেট যেন ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব হয়, সেই প্রত্যাশাও জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে