নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্য- তেলের (সয়াবিন ও পাম তেল) ভ্যাট, চিনি, চাল ও খেজুর আমদানির শুল্ক কমালেও দাম কমেনি। উল্টো পাইকারি বাজারেই দাম বেড়েছে তেল ও চিনির। ফলে ক্রেতার স্বার্থের জন্য শুল্কছাড়ের সুবিধাও ঢুকছে ব্যবসায়ীদের পকেটে।
অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে পরিমাণ শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে, তাতে দাম কমবে না। নতুন দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, শুল্ক কমানোর পর একটি যৌক্তিক দাম ঠিক করা উচিত। শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তা না পেলে সরকারের রাজস্ব কমিয়ে কী লাভ হলো। এটি নিয়ে কাজ চলছে। স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে করণীয় ঠিক করা হবে।
দাম কমানোর লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৮ ফেব্রুয়ারি চিনি, চাল ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমায়। সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন, ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়।
অপরিশোধিত প্রতি টন চিনির আমদানি শুল্ক ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়। খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।
শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তা না পেলে সরকারের রাজস্ব কমিয়ে কী লাভ হলো। আবুল কালাম আল আজাদ, যুগ্ম সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
এনবিআরের এই ঘোষণার পাঁচ দিন পরও পাইকারি ও খুচরায় তেল-চিনির দাম কমেনি। বরং ওই ঘোষণার পর থেকে ঢাকার পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে প্রায় আড়াই টাকা এবং চিনি কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে। মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী আনোয়ার হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার শুল্ক কমালেও বাজারে দাম বাড়া শুরু হয়েছে। দ্রুত দাম নির্ধারণ করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
পাইকারি তেল-চিনি ব্যবসায়ীরা বলেন, এনবিআরের প্রজ্ঞাপনের আগে পাইকারিতে প্রতি লিটার সয়াবিন ১৪৩.২৯ টাকায় ও পাম তেল ১১৬.১১ টাকায় বিক্রি হয়। গত সোমবার বিক্রি হয় যথাক্রমে ১৪৫.৭৮ টাকা ও ১১৮.৫৯ টাকায়। প্রজ্ঞাপনের আগে প্রতি কেজি চিনি ১২৯ টাকায় বিক্রি হলেও সোমবার হয়েছে ১৩২ টাকায়।
সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরায় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হয় ১৫৮-১৬৫ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৭০-১৭৩ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ১৩৫-১৪০ টাকা।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি গোলাম মাওলা বলেন, সরকার প্রতি কেজি চিনিতে ট্যাক্স নিচ্ছে ৪২ টাকার বেশি। কিন্তু আমদানি শুল্ক কমিয়েছে মাত্র ৫০ পয়সা। তেলের ভ্যাট কমালেও ডলারের বাড়তি দামের কারণে দাম তেমন কমবে না।
সূত্র বলছে, ভ্যাট ছাড় দেওয়ায় প্রতি লিটার সয়াবিন ও পাম তেলে ব্যবসায়ীরা ৭-৮ টাকা ছাড় পাচ্ছেন। প্রতি কেজি চালে এর পরিমাণ ২৩ টাকার বেশি। অথচ ব্যবসায়ীরা শুধু চিনির শুল্কছাড়ের উদাহরণ টানছেন।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম বলেন, মিলগেট, পাইকারি ও খুচরায় দাম নির্ধারণ না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেকের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে।
সরকার দীর্ঘদিন ধরে তেল-চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা অনেক সময়ই মানা হচ্ছে না। ফলে ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিয়ে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করার ফল অনেক সময়ই কার্যকর হয় না। সরবরাহব্যবস্থা বাড়ানো এবং বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারলেই কেবল দাম কমবে।
পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্য- তেলের (সয়াবিন ও পাম তেল) ভ্যাট, চিনি, চাল ও খেজুর আমদানির শুল্ক কমালেও দাম কমেনি। উল্টো পাইকারি বাজারেই দাম বেড়েছে তেল ও চিনির। ফলে ক্রেতার স্বার্থের জন্য শুল্কছাড়ের সুবিধাও ঢুকছে ব্যবসায়ীদের পকেটে।
অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে পরিমাণ শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে, তাতে দাম কমবে না। নতুন দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, শুল্ক কমানোর পর একটি যৌক্তিক দাম ঠিক করা উচিত। শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তা না পেলে সরকারের রাজস্ব কমিয়ে কী লাভ হলো। এটি নিয়ে কাজ চলছে। স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে করণীয় ঠিক করা হবে।
দাম কমানোর লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৮ ফেব্রুয়ারি চিনি, চাল ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমায়। সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন, ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়।
অপরিশোধিত প্রতি টন চিনির আমদানি শুল্ক ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়। খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।
শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তা না পেলে সরকারের রাজস্ব কমিয়ে কী লাভ হলো। আবুল কালাম আল আজাদ, যুগ্ম সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
এনবিআরের এই ঘোষণার পাঁচ দিন পরও পাইকারি ও খুচরায় তেল-চিনির দাম কমেনি। বরং ওই ঘোষণার পর থেকে ঢাকার পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে প্রায় আড়াই টাকা এবং চিনি কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে। মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী আনোয়ার হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার শুল্ক কমালেও বাজারে দাম বাড়া শুরু হয়েছে। দ্রুত দাম নির্ধারণ করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
পাইকারি তেল-চিনি ব্যবসায়ীরা বলেন, এনবিআরের প্রজ্ঞাপনের আগে পাইকারিতে প্রতি লিটার সয়াবিন ১৪৩.২৯ টাকায় ও পাম তেল ১১৬.১১ টাকায় বিক্রি হয়। গত সোমবার বিক্রি হয় যথাক্রমে ১৪৫.৭৮ টাকা ও ১১৮.৫৯ টাকায়। প্রজ্ঞাপনের আগে প্রতি কেজি চিনি ১২৯ টাকায় বিক্রি হলেও সোমবার হয়েছে ১৩২ টাকায়।
সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরায় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হয় ১৫৮-১৬৫ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৭০-১৭৩ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ১৩৫-১৪০ টাকা।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি গোলাম মাওলা বলেন, সরকার প্রতি কেজি চিনিতে ট্যাক্স নিচ্ছে ৪২ টাকার বেশি। কিন্তু আমদানি শুল্ক কমিয়েছে মাত্র ৫০ পয়সা। তেলের ভ্যাট কমালেও ডলারের বাড়তি দামের কারণে দাম তেমন কমবে না।
সূত্র বলছে, ভ্যাট ছাড় দেওয়ায় প্রতি লিটার সয়াবিন ও পাম তেলে ব্যবসায়ীরা ৭-৮ টাকা ছাড় পাচ্ছেন। প্রতি কেজি চালে এর পরিমাণ ২৩ টাকার বেশি। অথচ ব্যবসায়ীরা শুধু চিনির শুল্কছাড়ের উদাহরণ টানছেন।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম বলেন, মিলগেট, পাইকারি ও খুচরায় দাম নির্ধারণ না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেকের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে।
সরকার দীর্ঘদিন ধরে তেল-চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা অনেক সময়ই মানা হচ্ছে না। ফলে ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিয়ে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করার ফল অনেক সময়ই কার্যকর হয় না। সরবরাহব্যবস্থা বাড়ানো এবং বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারলেই কেবল দাম কমবে।
দেশের ব্যাংক খাতে এখন নগদ টাকার ঘাটতি নেই, ঘাটতি শুধু আস্থার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ২০২৫ সালের জুন শেষে নিট উদ্বৃত্ত তারল্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ। অথচ এই বিপুল অর্থ বাজারে প্রবাহিত হচ্ছে না।
৯ ঘণ্টা আগেবিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লাভজনক সরকারি কোম্পানিগুলোকে সরাসরি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত সোমবার রেলভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত করণীয় নির্ধারণে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি...
৯ ঘণ্টা আগেদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের প্রায় ৭৫ শতাংশই বাণিজ্যের আড়ালে পাচার হচ্ছে, যেখানে আমদানি-রপ্তানির সময় মিথ্যা ঘোষণার আশ্রয়ে বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থাপিত গবেষণাপত্রে এই উদ্বেগজনক তথ্য তুলে ধরা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরে বছরের পর বছর পড়ে থাকা হাজারো কনটেইনারের অনেকেই জন্মেছে গাছ, কিছু মরিচা পড়ে ভেঙে গেছে। এসব অচল কনটেইনার দখল করে রেখেছে মূল্যবান জায়গা, কমিয়ে দিয়েছে রাজস্ব, ক্ষতিগ্রস্ত করেছে শিপিং লাইন। সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে বন্দরের কার্যকারিতা ফেরাতে এবার ব্যবহারযোগ্য ৪৫৬ কনটেইনার পণ্য নিলামে...
৯ ঘণ্টা আগে