Ajker Patrika

নিলামে উঠছে পড়ে থাকা ৪৫৬ কনটেইনার পণ্য

 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৯: ৪৬
নিলামে উঠছে পড়ে থাকা ৪৫৬ কনটেইনার পণ্য

চট্টগ্রাম বন্দরে বছরের পর বছর পড়ে থাকা হাজারো কনটেইনারের অনেকেই জন্মেছে গাছ, কিছু মরিচা পড়ে ভেঙে গেছে। এসব অচল কনটেইনার দখল করে রেখেছে মূল্যবান জায়গা, কমিয়ে দিয়েছে রাজস্ব, ক্ষতিগ্রস্ত করেছে শিপিং লাইন। সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে বন্দরের কার্যকারিতা ফেরাতে এবার ব্যবহারযোগ্য ৪৫৬ কনটেইনার পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে।

এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস দুই দফায় এসব পণ্যের ই-অকশন আয়োজন করছে। প্রথম ধাপে নিলামে উঠছে ১১৩টি কনটেইনার, আর দ্বিতীয় ধাপে ৩৪৩টি। পাশাপাশি নিলামে রাখা হচ্ছে ২৪টি কনক্রিট মিকশ্চার মেশিন গাড়িও।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম দফার ১১৩টি কনটেইনারের নিলামে অংশ নিতে হলে ১৫ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ৩০ জুলাই বেলা ২টার মধ্যে অনলাইনে দরপত্র দাখিল করতে হবে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেই খোলা হবে প্রাপ্ত দরপত্রগুলো। দ্বিতীয় ধাপে ৩৪৩টি কনটেইনারের নিলামের দরপত্র গ্রহণ ও খোলার তারিখ ৬ আগস্ট।

নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন সনদ ও হালনাগাদ আয়কর রিটার্নের সনদপত্র থাকতে হবে। অনলাইনে দরপত্র দাখিলের সময় কোটেশন মূল্যের ১০ শতাংশ জামানত হিসেবে তফসিলি ব্যাংক থেকে ‘কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম’ বরাবর ইস্যু করা পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট বা ডিডির স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। এরপর সেই কাগজের মূল কপি ও প্রয়োজনীয় দলিলাদি ৩০ জুলাই বেলা ২টার মধ্যে সিলগালা খামে কাস্টম হাউসের নির্ধারিত বাক্সে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত নিয়ম না মানলে অনলাইনে দাখিল করা দরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমের তথ্য অনুযায়ী, নিলামে ওঠা কনটেইনারগুলোতে টাইলস, কেমিক্যাল, জিপসাম বোর্ড, সিরামিক সামগ্রী, তৈরি পোশাকের আনুষঙ্গিক উপকরণ, কাপড়, ইঞ্জিন অয়েল, হাইড্রোলিক অয়েলসহ নানা ধরনের পণ্য রয়েছে। এসব পণ্যের অনেকই দীর্ঘ সময় বন্দরে পড়ে থাকায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে, তবে যেগুলো এখনো বিক্রিযোগ্য—তা যাচাই করে নিলামের আওতায় আনা হয়েছে।

সহকারী কমিশনার সাকিব হোসেন বলেন, বন্দরে পড়ে থাকা এসব পণ্য নিলামে বিক্রির মাধ্যমে একদিকে সরকারি রাজস্ব আয় হবে, অন্যদিকে বন্দরের জায়গাও খালি হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রতি মাসেই আমরা কাস্টম হাউসকে নিলামযোগ্য পণ্যের তালিকা সরবরাহ করি। দ্রুত নিলাম সম্পন্ন হলে বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা খালি হবে। এতে নতুন আমদানি পণ্যের কনটেইনার রাখার জায়গা তৈরি হবে এবং বন্দরের কার্যকারিতা বাড়বে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাচার করা ৭৮১ কোটি টাকা ফেরত দিতে চেয়েও জামিন পেলেন না নাসার চেয়ারম্যান নজরুল

জীবন বিলিয়ে দিয়ে উত্তরার মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের বাঁচালেন, কে এই মাহরীন চৌধুরী

পাইলটের শেষ বার্তা: বিমান ভাসছে না, নিচে পড়ছে

মেয়ের কফিনে বাবার চুমু

মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরাই ছিল ৩৭ বছরের মাসুকার ‘সংসার’, যুদ্ধবিমান তছনছ করে দিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত