Ajker Patrika

বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের নির্দেশনা স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের নির্দেশনা স্থগিত

কয়েক ধাপে তুলে নেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অবশিষ্ট ৬ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) প্রত্যাহার করে নেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে আজ রোববার তা কার্যকর হওয়ার আগেই স্থগিত করেছে বিএসইসি। 

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার জন্য বিএসইসির সার্ভেল্যান্স বিভাগ থেকে মৌখিকভাবে স্টক এক্সচেঞ্জকে জানানো হয়েছে। লিখিতভাবে চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। 

কেন সেই আদেশ স্থগিত করা হচ্ছে জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, ‘বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়া হলে নিশ্চয়ই জানা যাবে।’

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার না করার জন্য আমাদেরকে ফোনে জানানো হয়েছে। আমাদের চিফ রেগুলেটরি অফিসার সেই নির্দেশনা পেয়েছেন।’

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এমন নির্দেশনা এসেছে।’ 

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিএসইসির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের নির্দেশনা পরিপালনে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। তবে বিএসইসি থেকেই ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর না করার জন্য মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তারা এ নিয়ে লিখিতও দেবে। তাই ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের নির্দেশনাটি কার্যকর হচ্ছে না।’

শিবলী রুবাইয়াত–উল–ইসলাম গত ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ পান। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেননি।

শনিবার মধ্যরাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খানের কাছে শিবলী রুবাইয়াত পদত্যাগপত্র পাঠান। তবে এর আগে গত ৮ আগস্ট এক অফিস আদেশে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেন। তবে সেই আদেশ নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। তিনি কোথায় থেকে সেই আদেশে সই করেছেন তা কেউ জানেন না। আর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের বিষয়ে কমিশন সভা না করেই তিনি একাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফ্লোর প্রাইস আরোপের ক্ষেত্রেও তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএসইসির কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া শেষ সময়েও তিনি সালমান এফ রহমানকে সুবিধা দিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ, ৮ আগস্টের অফিস আদেশ অনুযায়ী আজ রবিবার থেকে বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হতো। আর আগামী ১৪ আগস্ট থেকে বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হতো। 

বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ—সালমান এফ রহমানকে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার সুবিধা করে দিতেই কার্যালয়ে না এসেও বাসায় বসে তিনি এ আদেশ জারি করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত