আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশের কোথাও চালের সংকট নেই। কিন্তু বাজারে মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ বিভিন্ন ধরনের চালের দাম বাড়ছেই। তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম জাতভেদে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর ধান উৎপাদন হয় এমন চারটি জেলায় অতিবৃষ্টিতে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ কারণে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের উৎপাদন কম হয়। এই অজুহাতে অনেকে বাড়তি দামে চাল বিক্রি করছেন। তবে বাজারে চালের সংকট নেই। কারণ খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩১ টন। আর বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৭ টন চাল। এ ছাড়া সরকারের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ প্রায় ৫ লাখ টন। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি।
রাজধানীর বনশ্রী বি-ব্লকের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন গতকাল শনিবার ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চাল কেনেন ৪ হাজার ৫০০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ে ৯০ টাকা। তিন মাস আগে তিনি এই চাল কিনেছিলেন ৩ হাজার ৭০০ টাকা বা ৭৪ টাকা কেজিতে। তিনি বলেন, তিন মাসে বস্তাপ্রতি ৮০০ টাকা দাম বেড়েছে।
বনশ্রী বি-ব্লকের আল্লার দান স্টোরের দোকানি নাসির উদ্দিন জানান, তিন মাস আগে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) নাজিরশাইল চাল বিক্রি করেছিলেন ৩ হাজার ২০০ টাকা বা প্রতি কেজি ৬৪ টাকা। গতকাল তা ৩ হাজার ৭৮০ টাকা বা প্রতি কেজি ৭৫ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি করেন। তবে মেসার্স সূচনা জেনারেল স্টোরে প্রতি কেজি মিনিকেট মানভেদে ৮০-৯০ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গতকাল বনশ্রী সি-ব্লকের মেসার্স মোহাম্মদীয়া জেনারেল স্টোরে প্রতি কেজি ভালো মানের নাজিরশাইল ৯৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। দোকানি ইকবাল হোসেন জানান, মিনিকেট চাল আগে কেনা থাকায় তিনি ৮০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে পাইকারিতে দাম বেড়েছে। নতুন চাল আনলে বাড়িয়ে বিক্রি করতে হবে।
পুরান ঢাকার বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন জানান, দেশের মোকাম, আড়ত, পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ে কোথাও চালের সংকট নেই। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এ ছাড়া বাংলামতি ৬০ টাকার চাল এখন ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে; যা ৩ মাস আগে ছিল ৬৫-৭৫ টাকা। ৭৫-৭৬ টাকার মিনিকেট এখন ৮২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫৬-৫৭ টাকার বিআর-২৮ চাল এখন ৫৮-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা জানান, ৩ মাস আগে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। বর্তমানে তা ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর মিনিকেট চালের দাম ছিল ৬৩-৬৬ টাকা; যা বর্তমানে ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত বছর চাল আমদানি না হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়তে পারে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। গত বছর আমদানি না হলেও চলতি বছর স্থানীয়ভাবে ক্রয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এখনো মজুত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
দেশের কোথাও চালের সংকট নেই। কিন্তু বাজারে মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ বিভিন্ন ধরনের চালের দাম বাড়ছেই। তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম জাতভেদে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর ধান উৎপাদন হয় এমন চারটি জেলায় অতিবৃষ্টিতে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ কারণে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের উৎপাদন কম হয়। এই অজুহাতে অনেকে বাড়তি দামে চাল বিক্রি করছেন। তবে বাজারে চালের সংকট নেই। কারণ খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩১ টন। আর বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৭ টন চাল। এ ছাড়া সরকারের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ প্রায় ৫ লাখ টন। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি।
রাজধানীর বনশ্রী বি-ব্লকের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন গতকাল শনিবার ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চাল কেনেন ৪ হাজার ৫০০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ে ৯০ টাকা। তিন মাস আগে তিনি এই চাল কিনেছিলেন ৩ হাজার ৭০০ টাকা বা ৭৪ টাকা কেজিতে। তিনি বলেন, তিন মাসে বস্তাপ্রতি ৮০০ টাকা দাম বেড়েছে।
বনশ্রী বি-ব্লকের আল্লার দান স্টোরের দোকানি নাসির উদ্দিন জানান, তিন মাস আগে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) নাজিরশাইল চাল বিক্রি করেছিলেন ৩ হাজার ২০০ টাকা বা প্রতি কেজি ৬৪ টাকা। গতকাল তা ৩ হাজার ৭৮০ টাকা বা প্রতি কেজি ৭৫ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি করেন। তবে মেসার্স সূচনা জেনারেল স্টোরে প্রতি কেজি মিনিকেট মানভেদে ৮০-৯০ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গতকাল বনশ্রী সি-ব্লকের মেসার্স মোহাম্মদীয়া জেনারেল স্টোরে প্রতি কেজি ভালো মানের নাজিরশাইল ৯৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। দোকানি ইকবাল হোসেন জানান, মিনিকেট চাল আগে কেনা থাকায় তিনি ৮০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে পাইকারিতে দাম বেড়েছে। নতুন চাল আনলে বাড়িয়ে বিক্রি করতে হবে।
পুরান ঢাকার বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন জানান, দেশের মোকাম, আড়ত, পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ে কোথাও চালের সংকট নেই। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এ ছাড়া বাংলামতি ৬০ টাকার চাল এখন ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে; যা ৩ মাস আগে ছিল ৬৫-৭৫ টাকা। ৭৫-৭৬ টাকার মিনিকেট এখন ৮২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫৬-৫৭ টাকার বিআর-২৮ চাল এখন ৫৮-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা জানান, ৩ মাস আগে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। বর্তমানে তা ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর মিনিকেট চালের দাম ছিল ৬৩-৬৬ টাকা; যা বর্তমানে ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত বছর চাল আমদানি না হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়তে পারে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। গত বছর আমদানি না হলেও চলতি বছর স্থানীয়ভাবে ক্রয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এখনো মজুত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
ঈদুল আজহার আগমুহূর্তে তিন মাসের বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস না পেয়ে রাজধানীর উত্তরায় গার্মেন্টস পরিচালকের বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছেন গাজীপুরের ‘টি অ্যান্ড জেড গ্রুপ’-এর পোশাক কারখানা ‘অ্যাপারেলস প্লাস ইকো’র কয়েক শ শ্রমিক।
৩ ঘণ্টা আগেনিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন থেকে ডেটা চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড জিতেছে নিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন এর কাছ থেকে সম্মাননা পেল ব্র্যাক ব্যাংক।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য টেকসই ক্ষতিপূরণ স্কিম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান কে-কোমওয়েলের মধ্যে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জিআইজেডের
৫ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরে নেপালে ৪৭৫ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শুধু কাঁচা পাটই রপ্তানি করা হয়েছে ১৫৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার। আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে নেপালি সংবাদমাধ্যম মেরিটাইম গেটওয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে