মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
রপ্তানি গতি পেয়েছিল, কিন্তু বছর শেষে আচমকা একটা ‘ব্রেক’ পড়ে গেল। জুন মাসে হোঁচট খেল রপ্তানি আয়। ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কমপ্লিট শাটডাউনে মাসের শুরু আর শেষের কয়েক দিন রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যার জেরে রপ্তানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বছরের অন্য ১১ মাসে আয় ছিল আশাব্যঞ্জক। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৪৯৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। জুনের শেষে, অর্থাৎ পুরো অর্থবছর শেষে গিয়ে তা দাঁড়াল ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ইরান-ইসরায়েল, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধসহ দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা চাপ ও অস্থিরতার মধ্যে বিদায়ী বছরের এই প্রবৃদ্ধি মন্দ নয়। তবে এক মাসে আয় কমেছে ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। তার মানে মে মাসে রপ্তানি যেখানে ছিল ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার, জুনে তা নেমে এসেছে ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়নে।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে কারখানা বন্ধ ছিল। আর মাসের শেষে এনবিআরের কর্মবিরতির কারণে বন্দরের গেট ছিল বন্ধ। তাঁরা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এই সময় বন্দরে অপেক্ষমাণ কার্গোতে রপ্তানি পণ্য লোড হবে কীভাবে এবং রপ্তানি গন্তব্যে যাবে কীভাবে?’
ঈদের ছুটি, এনবিআর বন্ধ—বন্দরে তালা
গত ২৬ ও ২৭ জুন এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউনে আমদানি-রপ্তানি কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে বন্দরে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনারের স্তূপ জমে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগে এমন ছুটি ও শাটডাউনের যুগলবন্দী খুব একটা দেখা যায় না। পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কারখানায় জুনে রপ্তানি কমেছে। ছুটি না থাকলে এই মাসে (জুন) রপ্তানি আয় মে মাসকে ছাড়িয়ে যেত।’
মোহাম্মদ হাতেম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আরও কয়েক মাস হয়তো চলবে। কিন্তু এরপর ধাক্কা লাগবে। কারণ, অর্ডার নিতে হচ্ছে লোকসানে। কারখানা চালু রাখতে বাধ্য হচ্ছি কমদামে কাজ নিতে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে। আরও হবে।’
কে কোথায় দাঁড়াল, খাতওয়ারি হিসাব
রপ্তানিতে সবচেয়ে বড় খাত পোশাকশিল্প। সেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। কৃষিপণ্যও মন্দ নয়—২ দশমিক ৫২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য ছুটছে—প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ। তবে কাচজাত পণ্য রপ্তানিতে ভরাডুবি হয়েছে। এ খাতে ৩৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। অন্যদিকে পাটজাত পণ্যে রপ্তানি আয় কমেছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। তবে এত হুলুস্থুলের মধ্যেও সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো, সারা বছরের মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে। গত বছরের ৪ হাজার ৪৪৬ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের চেয়ে এবার বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।
কেউ হতাশ, কেউ আশাবাদী
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশ ও বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলে রপ্তানির ধারা ভালো থাকবে। তবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ, ট্রাম্পের শুল্কনীতি—সবই প্রভাব ফেলতে পারে।’
বাংলাদেশ অ্যাপারেলস এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল অবশ্য আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘ইউরোপে খুব একটা পরিবর্তন হবে না। ভালো অর্ডার আসছে। আশা করছি, ইতিবাচক ধারা থাকবে।’
আরও খবর পড়ুন:
রপ্তানি গতি পেয়েছিল, কিন্তু বছর শেষে আচমকা একটা ‘ব্রেক’ পড়ে গেল। জুন মাসে হোঁচট খেল রপ্তানি আয়। ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কমপ্লিট শাটডাউনে মাসের শুরু আর শেষের কয়েক দিন রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যার জেরে রপ্তানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বছরের অন্য ১১ মাসে আয় ছিল আশাব্যঞ্জক। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৪৯৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। জুনের শেষে, অর্থাৎ পুরো অর্থবছর শেষে গিয়ে তা দাঁড়াল ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ইরান-ইসরায়েল, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধসহ দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা চাপ ও অস্থিরতার মধ্যে বিদায়ী বছরের এই প্রবৃদ্ধি মন্দ নয়। তবে এক মাসে আয় কমেছে ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। তার মানে মে মাসে রপ্তানি যেখানে ছিল ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার, জুনে তা নেমে এসেছে ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়নে।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে কারখানা বন্ধ ছিল। আর মাসের শেষে এনবিআরের কর্মবিরতির কারণে বন্দরের গেট ছিল বন্ধ। তাঁরা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এই সময় বন্দরে অপেক্ষমাণ কার্গোতে রপ্তানি পণ্য লোড হবে কীভাবে এবং রপ্তানি গন্তব্যে যাবে কীভাবে?’
ঈদের ছুটি, এনবিআর বন্ধ—বন্দরে তালা
গত ২৬ ও ২৭ জুন এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউনে আমদানি-রপ্তানি কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে বন্দরে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনারের স্তূপ জমে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগে এমন ছুটি ও শাটডাউনের যুগলবন্দী খুব একটা দেখা যায় না। পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কারখানায় জুনে রপ্তানি কমেছে। ছুটি না থাকলে এই মাসে (জুন) রপ্তানি আয় মে মাসকে ছাড়িয়ে যেত।’
মোহাম্মদ হাতেম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আরও কয়েক মাস হয়তো চলবে। কিন্তু এরপর ধাক্কা লাগবে। কারণ, অর্ডার নিতে হচ্ছে লোকসানে। কারখানা চালু রাখতে বাধ্য হচ্ছি কমদামে কাজ নিতে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে। আরও হবে।’
কে কোথায় দাঁড়াল, খাতওয়ারি হিসাব
রপ্তানিতে সবচেয়ে বড় খাত পোশাকশিল্প। সেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। কৃষিপণ্যও মন্দ নয়—২ দশমিক ৫২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য ছুটছে—প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ। তবে কাচজাত পণ্য রপ্তানিতে ভরাডুবি হয়েছে। এ খাতে ৩৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। অন্যদিকে পাটজাত পণ্যে রপ্তানি আয় কমেছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। তবে এত হুলুস্থুলের মধ্যেও সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো, সারা বছরের মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে। গত বছরের ৪ হাজার ৪৪৬ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের চেয়ে এবার বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।
কেউ হতাশ, কেউ আশাবাদী
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশ ও বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলে রপ্তানির ধারা ভালো থাকবে। তবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ, ট্রাম্পের শুল্কনীতি—সবই প্রভাব ফেলতে পারে।’
বাংলাদেশ অ্যাপারেলস এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল অবশ্য আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘ইউরোপে খুব একটা পরিবর্তন হবে না। ভালো অর্ডার আসছে। আশা করছি, ইতিবাচক ধারা থাকবে।’
আরও খবর পড়ুন:
ভিয়েতনামের সঙ্গে নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পর দেশটির সঙ্গে ‘পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি’ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই আলোচনায় গতি থাকলেও সমঝোতার পথ সুগম হয়নি এখনো। কারণ, চুক্তি নিয়ে দুই দেশের অবস্থানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।
৯ ঘণ্টা আগেএশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) সদস্যদেশগুলোর মে ও জুনের আমদানির বিল পরিশোধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৮ জুলাই এই বিল পরিশোধ করা হবে, যার পরিমাণ ২ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই অর্থ পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ নেমে যাবে ২৯ বিলিয়নের ঘরে, যা বর্তমানে ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারে রয়েছ
১১ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল মেলেনি রাজধানীর ফিলিং স্টেশনগুলোতে। ফলে দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনের মালিকেরা। সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, আমদানি করা জ্বালানিবাহী জাহাজ নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানো, কিছু ব্যবসায়ীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি—এসবের প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের সরবরাহে।
১১ ঘণ্টা আগে