Ajker Patrika

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে পোস্ট দেওয়া সেই ঊর্মি চাকরিচ্যুত

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮: ১৬
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। ফাইল ছবি
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে চাকরিচ্যুত করেছে সরকার।

ঊর্মিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ঊর্মি তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটন পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটন ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে আপনার, মহাশয়! তবে একটা বিষয়ে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। তুমি কে আমি কে? রাজাকার–রাজাকার। আপনাদের এ স্লোগানটা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্য ছিল এটা এত অল্প সময়ে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার করে দিয়েছেন, এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদকে নিয়েও স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি।

এ ঘটনায় গত ৬ অক্টোবর ঊর্মিকে ওএসডি করা হয়। পরদিন তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে সরকার। আদালতেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৬ অক্টোবর ঊর্মি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দিয়ে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি নিরাপত্তার কারণে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ না নিয়ে লিখিত জবাব দেন। তাঁর জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঊর্মিকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা যথোপযুক্ত গুরুদণ্ড দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন, দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব, পারিপার্শ্বিকতা ও বিভাগীয় মামলার নথি পর্যালোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্তের গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন একমত পোষণ করে এবং রাষ্ট্রপতি তাঁকে চাকরিচ্যুতির গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করায় তাঁকে ওই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত