আদালত অবমাননা মামলার রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাস পর প্রথম দণ্ডিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার তাঁর ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে আদালত অবমাননার দায়ে। পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলার অপর আসামি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা একটি মামলায় প্রসিকিউশন গত মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের আবেদন করেছে। অভিযোগ গঠন করা হলেই শুরু হবে এই মামলার বিচারকাজ। একই ট্রাইব্যুনাল গুমের অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ওই মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানা ও আদালতে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে এটি প্রথম কোনো মামলার রায়।
জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে এই প্রথম কোনো মামলার রায় ও কারাদণ্ড দেওয়া হলো। রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, বাদীসহ বিচারকাজের সঙ্গে জড়িতদের চরম পরিণতির হুমকি দেওয়া হয়েছে। এতে বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
রায়ের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আদালত সবার যুক্তি শুনে, সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী, সাক্ষী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের হত্যা করা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন। যেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী প্রেজুডিস করার অপরাধ। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দণ্ডিত করেছেন। যেদিন তাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন অথবা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করবে, সেদিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।
শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন রায়ের পর বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন রকমের কথা এসেছে। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগের সঙ্গে তিনি দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাঁর দৃষ্টিতে ন্যায়বিচার পাননি। তিনি রায় দেখে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।
শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের নেতা শাকিলের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন চিফ প্রসিকিউটর। ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল ওই দুজনের কাছে ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। তবে তাঁরা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। পরে দুই আসামিকে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। নির্দেশ অনুযায়ী দুটি সংবাদপত্রে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপরও তাঁরা হাজির হননি।
শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে ১৯ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। এ ছাড়া অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার ফাাঁসি চেয়ে আইনজীবী টিটুর পোস্টের বিষয়টি নজরে এলে তাঁর নিয়োগ বাতিল করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে ২৫ জুন শেখ হাসিনা ও শাকিলের পক্ষে নিয়োগ দেওয়া হয়।
গতকাল শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২২৭টি মামলা হয়েছে। ২২৭ জন তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাঁরা তাঁদের সাক্ষ্য নিচ্ছেন। প্রতিটি এফআইআর তাঁদের ডকুমেন্ট। যেখানেই মামলা হবে, তা চলে আসবে তাঁদের এখানে। ভবিষ্যতে যাঁরা মামলা করবেন, তাঁদেরকেও হুমকি দিয়েছেন। এতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ও শাকিলের অডিও সিআইডি ফরেনসিক করেছে। স্পেশাল টিম এটি তদন্ত করেছে। এই বক্তব্য সঠিক। কেননা, আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ সক্রিয় রয়েছে। তারা সেখানে বিষয়টি অস্বীকার করেনি। সম্প্রতি উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আওয়ামী লীগের এক নেতা হুমকি দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে তদন্ত করা প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা তদন্তের কারিগরি বিষয় তুলে ধরেন ট্রাইব্যুনালে। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ বুলবুলের কথোপকথনের অডিও বাজিয়ে শোনানো হয় ট্রাইব্যুনালে।
দুজনের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, যেসব ডকুমেন্ট এসেছে, সেসব যাঁরা পরীক্ষা করেছেন, তাঁরা এখানে আসেননি। তাঁরা যতক্ষণ না এসে বলবেন, ততক্ষণ পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
শুনানিতে এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, যে আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন অথচ আইনজীবী রাখার সামর্থ্য নেই, তাঁর জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী দেওয়া হয়। এই আসামিরা তো ট্রাইব্যুনালের সামনে আসেননি। তাহলে তাঁদের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী কেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, পলাতক থাকায় তাঁদের জন্য আইনজীবী দেওয়া হয়েছে। এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, বিচার বাধাগ্রস্ত হয়েছে কি না বা হচ্ছে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত যদি মনে করেন, বিচার কেউ বাধাগ্রস্ত করছে, সে ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
চিফ প্রসিকিউটর ৩০ এপ্রিল বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে ২২৬টি মামলা হয়েছে। তিনি গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের নেতা শাকিলের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন, ‘যারা মামলা করেছে, তাদের মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এদের বাড়িঘর ভাঙচুরের জন্য তিনি নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেন। কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে স্পষ্ট হয়েছে, এরা দুজন (শেখ হাসিনা ও শাকিল) সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাস পর প্রথম দণ্ডিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার তাঁর ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে আদালত অবমাননার দায়ে। পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলার অপর আসামি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা একটি মামলায় প্রসিকিউশন গত মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের আবেদন করেছে। অভিযোগ গঠন করা হলেই শুরু হবে এই মামলার বিচারকাজ। একই ট্রাইব্যুনাল গুমের অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ওই মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানা ও আদালতে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে এটি প্রথম কোনো মামলার রায়।
জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে এই প্রথম কোনো মামলার রায় ও কারাদণ্ড দেওয়া হলো। রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, বাদীসহ বিচারকাজের সঙ্গে জড়িতদের চরম পরিণতির হুমকি দেওয়া হয়েছে। এতে বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
রায়ের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আদালত সবার যুক্তি শুনে, সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী, সাক্ষী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের হত্যা করা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন। যেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী প্রেজুডিস করার অপরাধ। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দণ্ডিত করেছেন। যেদিন তাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন অথবা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করবে, সেদিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।
শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন রায়ের পর বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন রকমের কথা এসেছে। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগের সঙ্গে তিনি দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাঁর দৃষ্টিতে ন্যায়বিচার পাননি। তিনি রায় দেখে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।
শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের নেতা শাকিলের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন চিফ প্রসিকিউটর। ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল ওই দুজনের কাছে ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। তবে তাঁরা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। পরে দুই আসামিকে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। নির্দেশ অনুযায়ী দুটি সংবাদপত্রে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপরও তাঁরা হাজির হননি।
শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে ১৯ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। এ ছাড়া অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার ফাাঁসি চেয়ে আইনজীবী টিটুর পোস্টের বিষয়টি নজরে এলে তাঁর নিয়োগ বাতিল করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে ২৫ জুন শেখ হাসিনা ও শাকিলের পক্ষে নিয়োগ দেওয়া হয়।
গতকাল শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২২৭টি মামলা হয়েছে। ২২৭ জন তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাঁরা তাঁদের সাক্ষ্য নিচ্ছেন। প্রতিটি এফআইআর তাঁদের ডকুমেন্ট। যেখানেই মামলা হবে, তা চলে আসবে তাঁদের এখানে। ভবিষ্যতে যাঁরা মামলা করবেন, তাঁদেরকেও হুমকি দিয়েছেন। এতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ও শাকিলের অডিও সিআইডি ফরেনসিক করেছে। স্পেশাল টিম এটি তদন্ত করেছে। এই বক্তব্য সঠিক। কেননা, আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ সক্রিয় রয়েছে। তারা সেখানে বিষয়টি অস্বীকার করেনি। সম্প্রতি উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আওয়ামী লীগের এক নেতা হুমকি দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে তদন্ত করা প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা তদন্তের কারিগরি বিষয় তুলে ধরেন ট্রাইব্যুনালে। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ বুলবুলের কথোপকথনের অডিও বাজিয়ে শোনানো হয় ট্রাইব্যুনালে।
দুজনের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, যেসব ডকুমেন্ট এসেছে, সেসব যাঁরা পরীক্ষা করেছেন, তাঁরা এখানে আসেননি। তাঁরা যতক্ষণ না এসে বলবেন, ততক্ষণ পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
শুনানিতে এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, যে আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন অথচ আইনজীবী রাখার সামর্থ্য নেই, তাঁর জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী দেওয়া হয়। এই আসামিরা তো ট্রাইব্যুনালের সামনে আসেননি। তাহলে তাঁদের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী কেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, পলাতক থাকায় তাঁদের জন্য আইনজীবী দেওয়া হয়েছে। এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, বিচার বাধাগ্রস্ত হয়েছে কি না বা হচ্ছে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত যদি মনে করেন, বিচার কেউ বাধাগ্রস্ত করছে, সে ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
চিফ প্রসিকিউটর ৩০ এপ্রিল বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে ২২৬টি মামলা হয়েছে। তিনি গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের নেতা শাকিলের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন, ‘যারা মামলা করেছে, তাদের মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এদের বাড়িঘর ভাঙচুরের জন্য তিনি নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেন। কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে স্পষ্ট হয়েছে, এরা দুজন (শেখ হাসিনা ও শাকিল) সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন।

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকার এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। অবিলম্বে সরকার এই আদেশ গ্যাজেট আকারে জারি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
গণভোটের বিষয়ে আদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।’
গণভোটের ব্যালটের প্রশ্ন হবে— ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’
ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকার এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। অবিলম্বে সরকার এই আদেশ গ্যাজেট আকারে জারি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
গণভোটের বিষয়ে আদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।’
গণভোটের ব্যালটের প্রশ্ন হবে— ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’
ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাস পর প্রথম দণ্ডিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার তাঁর ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে আদালত অবমাননার দায়ে। পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনা
০৩ জুলাই ২০২৫
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
আজ মঙ্গলবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
আজ মঙ্গলবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাস পর প্রথম দণ্ডিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার তাঁর ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে আদালত অবমাননার দায়ে। পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনা
০৩ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বিসিএসে রিপিট ক্যাডারে নিয়োগের পথ বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
এ ছাড়া আগের কোনো বিসিএসে কোনো ক্যাডারে যোগদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে অন্য বিসিএসেও সেই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না। পিএসসি চাইলে এমন প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল থেকেও বাদ দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালার ১৭ বিধিতে বলা ছিল—কৃতকার্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে কমিশন উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নাম সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো বিসিএসে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করার আগে বা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল তৈরির সময় পিএসসি তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর দেওয়া লিখিত তথ্য, কমিশনের নিজস্ব তথ্য ও প্রার্থীর আগের বিসিএস পরীক্ষার তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়, কোনো প্রার্থী যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে কর্মরত রয়েছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য; আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষায় যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু যোগদান করেননি, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য এবং আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষার মতো একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে বা ওই প্রার্থীর আগ্রহ নেই—এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হওয়ার কারণে মনোনীত সার্ভিস বা ক্যাডার পদে যোগদান করতে অনিচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য।
তবে কমিশন এ ধরনের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে পারবে বা ক্ষেত্রমতে চূড়ান্ত ফলাফলে উক্ত প্রার্থীকে বাদ দিতে পারবে।
তিন কারণে কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ না করলে সেসব শূন্য পদে ওই বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন করে কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ করে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করতে পারবে।
সম্পূরক ফলাফলের কারণে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে নতুন বিধিতে জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

বিসিএসে রিপিট ক্যাডারে নিয়োগের পথ বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
এ ছাড়া আগের কোনো বিসিএসে কোনো ক্যাডারে যোগদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে অন্য বিসিএসেও সেই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না। পিএসসি চাইলে এমন প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল থেকেও বাদ দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালার ১৭ বিধিতে বলা ছিল—কৃতকার্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে কমিশন উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নাম সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো বিসিএসে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করার আগে বা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল তৈরির সময় পিএসসি তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর দেওয়া লিখিত তথ্য, কমিশনের নিজস্ব তথ্য ও প্রার্থীর আগের বিসিএস পরীক্ষার তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়, কোনো প্রার্থী যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে কর্মরত রয়েছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য; আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষায় যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু যোগদান করেননি, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য এবং আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষার মতো একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে বা ওই প্রার্থীর আগ্রহ নেই—এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হওয়ার কারণে মনোনীত সার্ভিস বা ক্যাডার পদে যোগদান করতে অনিচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য।
তবে কমিশন এ ধরনের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে পারবে বা ক্ষেত্রমতে চূড়ান্ত ফলাফলে উক্ত প্রার্থীকে বাদ দিতে পারবে।
তিন কারণে কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ না করলে সেসব শূন্য পদে ওই বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন করে কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ করে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করতে পারবে।
সম্পূরক ফলাফলের কারণে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে নতুন বিধিতে জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাস পর প্রথম দণ্ডিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার তাঁর ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে আদালত অবমাননার দায়ে। পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনা
০৩ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় এমন সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো খসড়া বিল (সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া) আকারে তৈরি করবে সরকার। বিলটি গণভোটে পাস হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ মূল ভাব ঠিক রেখে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করবে। কিন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মেয়াদের মধ্যে তা অনুমোদন না করলেও প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
তবে গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারকে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি ঐকমত্য কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।’
গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্যাকেজ আকারে একটি প্রশ্নে গণভোট হবে। সেখানে সনদ ও খসড়া বিল সমর্থন করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে—এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন, এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় এমন সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো খসড়া বিল (সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া) আকারে তৈরি করবে সরকার। বিলটি গণভোটে পাস হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ মূল ভাব ঠিক রেখে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করবে। কিন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মেয়াদের মধ্যে তা অনুমোদন না করলেও প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
তবে গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারকে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি ঐকমত্য কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।’
গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্যাকেজ আকারে একটি প্রশ্নে গণভোট হবে। সেখানে সনদ ও খসড়া বিল সমর্থন করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে—এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন, এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাস পর প্রথম দণ্ডিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার তাঁর ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে আদালত অবমাননার দায়ে। পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনা
০৩ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে