আদালত অবমাননা মামলার রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাস পর প্রথম দণ্ডিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার তাঁর ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে আদালত অবমাননার দায়ে। পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলার অপর আসামি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা একটি মামলায় প্রসিকিউশন গত মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের আবেদন করেছে। অভিযোগ গঠন করা হলেই শুরু হবে এই মামলার বিচারকাজ। একই ট্রাইব্যুনাল গুমের অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ওই মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানা ও আদালতে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে এটি প্রথম কোনো মামলার রায়।
জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে এই প্রথম কোনো মামলার রায় ও কারাদণ্ড দেওয়া হলো। রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, বাদীসহ বিচারকাজের সঙ্গে জড়িতদের চরম পরিণতির হুমকি দেওয়া হয়েছে। এতে বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
রায়ের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আদালত সবার যুক্তি শুনে, সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী, সাক্ষী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের হত্যা করা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন। যেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী প্রেজুডিস করার অপরাধ। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দণ্ডিত করেছেন। যেদিন তাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন অথবা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করবে, সেদিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।
শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন রায়ের পর বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন রকমের কথা এসেছে। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগের সঙ্গে তিনি দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাঁর দৃষ্টিতে ন্যায়বিচার পাননি। তিনি রায় দেখে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।
শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের নেতা শাকিলের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন চিফ প্রসিকিউটর। ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল ওই দুজনের কাছে ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। তবে তাঁরা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। পরে দুই আসামিকে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। নির্দেশ অনুযায়ী দুটি সংবাদপত্রে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপরও তাঁরা হাজির হননি।
শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে ১৯ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। এ ছাড়া অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার ফাাঁসি চেয়ে আইনজীবী টিটুর পোস্টের বিষয়টি নজরে এলে তাঁর নিয়োগ বাতিল করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে ২৫ জুন শেখ হাসিনা ও শাকিলের পক্ষে নিয়োগ দেওয়া হয়।
গতকাল শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২২৭টি মামলা হয়েছে। ২২৭ জন তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাঁরা তাঁদের সাক্ষ্য নিচ্ছেন। প্রতিটি এফআইআর তাঁদের ডকুমেন্ট। যেখানেই মামলা হবে, তা চলে আসবে তাঁদের এখানে। ভবিষ্যতে যাঁরা মামলা করবেন, তাঁদেরকেও হুমকি দিয়েছেন। এতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ও শাকিলের অডিও সিআইডি ফরেনসিক করেছে। স্পেশাল টিম এটি তদন্ত করেছে। এই বক্তব্য সঠিক। কেননা, আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ সক্রিয় রয়েছে। তারা সেখানে বিষয়টি অস্বীকার করেনি। সম্প্রতি উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আওয়ামী লীগের এক নেতা হুমকি দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে তদন্ত করা প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা তদন্তের কারিগরি বিষয় তুলে ধরেন ট্রাইব্যুনালে। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ বুলবুলের কথোপকথনের অডিও বাজিয়ে শোনানো হয় ট্রাইব্যুনালে।
দুজনের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, যেসব ডকুমেন্ট এসেছে, সেসব যাঁরা পরীক্ষা করেছেন, তাঁরা এখানে আসেননি। তাঁরা যতক্ষণ না এসে বলবেন, ততক্ষণ পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
শুনানিতে এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, যে আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন অথচ আইনজীবী রাখার সামর্থ্য নেই, তাঁর জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী দেওয়া হয়। এই আসামিরা তো ট্রাইব্যুনালের সামনে আসেননি। তাহলে তাঁদের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী কেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, পলাতক থাকায় তাঁদের জন্য আইনজীবী দেওয়া হয়েছে। এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, বিচার বাধাগ্রস্ত হয়েছে কি না বা হচ্ছে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত যদি মনে করেন, বিচার কেউ বাধাগ্রস্ত করছে, সে ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
চিফ প্রসিকিউটর ৩০ এপ্রিল বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে ২২৬টি মামলা হয়েছে। তিনি গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের নেতা শাকিলের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন, ‘যারা মামলা করেছে, তাদের মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এদের বাড়িঘর ভাঙচুরের জন্য তিনি নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেন। কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে স্পষ্ট হয়েছে, এরা দুজন (শেখ হাসিনা ও শাকিল) সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাস পর প্রথম দণ্ডিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার তাঁর ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে আদালত অবমাননার দায়ে। পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলার অপর আসামি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা একটি মামলায় প্রসিকিউশন গত মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের আবেদন করেছে। অভিযোগ গঠন করা হলেই শুরু হবে এই মামলার বিচারকাজ। একই ট্রাইব্যুনাল গুমের অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ওই মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানা ও আদালতে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে এটি প্রথম কোনো মামলার রায়।
জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে এই প্রথম কোনো মামলার রায় ও কারাদণ্ড দেওয়া হলো। রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, বাদীসহ বিচারকাজের সঙ্গে জড়িতদের চরম পরিণতির হুমকি দেওয়া হয়েছে। এতে বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
রায়ের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আদালত সবার যুক্তি শুনে, সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী, সাক্ষী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের হত্যা করা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন। যেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী প্রেজুডিস করার অপরাধ। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দণ্ডিত করেছেন। যেদিন তাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন অথবা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করবে, সেদিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।
শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন রায়ের পর বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন রকমের কথা এসেছে। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগের সঙ্গে তিনি দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাঁর দৃষ্টিতে ন্যায়বিচার পাননি। তিনি রায় দেখে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।
শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের নেতা শাকিলের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন চিফ প্রসিকিউটর। ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল ওই দুজনের কাছে ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। তবে তাঁরা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। পরে দুই আসামিকে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। নির্দেশ অনুযায়ী দুটি সংবাদপত্রে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপরও তাঁরা হাজির হননি।
শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে ১৯ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। এ ছাড়া অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার ফাাঁসি চেয়ে আইনজীবী টিটুর পোস্টের বিষয়টি নজরে এলে তাঁর নিয়োগ বাতিল করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে ২৫ জুন শেখ হাসিনা ও শাকিলের পক্ষে নিয়োগ দেওয়া হয়।
গতকাল শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২২৭টি মামলা হয়েছে। ২২৭ জন তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাঁরা তাঁদের সাক্ষ্য নিচ্ছেন। প্রতিটি এফআইআর তাঁদের ডকুমেন্ট। যেখানেই মামলা হবে, তা চলে আসবে তাঁদের এখানে। ভবিষ্যতে যাঁরা মামলা করবেন, তাঁদেরকেও হুমকি দিয়েছেন। এতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ও শাকিলের অডিও সিআইডি ফরেনসিক করেছে। স্পেশাল টিম এটি তদন্ত করেছে। এই বক্তব্য সঠিক। কেননা, আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ সক্রিয় রয়েছে। তারা সেখানে বিষয়টি অস্বীকার করেনি। সম্প্রতি উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আওয়ামী লীগের এক নেতা হুমকি দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে তদন্ত করা প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা তদন্তের কারিগরি বিষয় তুলে ধরেন ট্রাইব্যুনালে। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ বুলবুলের কথোপকথনের অডিও বাজিয়ে শোনানো হয় ট্রাইব্যুনালে।
দুজনের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, যেসব ডকুমেন্ট এসেছে, সেসব যাঁরা পরীক্ষা করেছেন, তাঁরা এখানে আসেননি। তাঁরা যতক্ষণ না এসে বলবেন, ততক্ষণ পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
শুনানিতে এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, যে আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন অথচ আইনজীবী রাখার সামর্থ্য নেই, তাঁর জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী দেওয়া হয়। এই আসামিরা তো ট্রাইব্যুনালের সামনে আসেননি। তাহলে তাঁদের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী কেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, পলাতক থাকায় তাঁদের জন্য আইনজীবী দেওয়া হয়েছে। এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, বিচার বাধাগ্রস্ত হয়েছে কি না বা হচ্ছে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত যদি মনে করেন, বিচার কেউ বাধাগ্রস্ত করছে, সে ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
চিফ প্রসিকিউটর ৩০ এপ্রিল বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে ২২৬টি মামলা হয়েছে। তিনি গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের নেতা শাকিলের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন, ‘যারা মামলা করেছে, তাদের মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এদের বাড়িঘর ভাঙচুরের জন্য তিনি নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেন। কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে স্পষ্ট হয়েছে, এরা দুজন (শেখ হাসিনা ও শাকিল) সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ভোটকেন্দ্র কিছুটা বাড়লেও কমেছে ভোট কক্ষের সংখ্যা।
২ ঘণ্টা আগেপূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটি ব্যাংক লকারের সন্ধান পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। আজ বুধবার সকালে লকারটি জব্দ করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেগার্মেন্টস ও নির্মাণ খাতে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভনে কিরগিজস্তানে যাওয়ার পরে সেখানে কাজ না পাওয়া ও প্রতারণার শিকার হওয়া ১৮০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিশেষ এক ফ্লাইটে দেশটির রাজধানী বিশকেক থেকে দেশে ফিরেছেন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩টায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তাঁরা ঢাকার হযরত...
৫ ঘণ্টা আগেচিকিৎসক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স আগের মতো সাধারণ প্রার্থীদের থেকে দুই বছর বেশি (৩৪ বছর) নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বিভিন্ন করপোরেশন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ গ্রেডসহ বিশেষায়িত কিছু পদে সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমাও আগের মতো...
১৫ ঘণ্টা আগে