Ajker Patrika

দেশে আপাতত জ্বালানি তেলের সংকট নেই

  • চালকদের অভিযোগ, ঢাকায় তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন ফিলিং স্টেশনের মালিকেরা।
  • ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজাররা বলছেন, ধারণক্ষমতা অনুযায়ী তেল সংগ্রহ করে গ্রাহকদের দিচ্ছেন।
জয়নাল আবেদীন, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৩৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কয়েক দিন চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল মেলেনি রাজধানীর ফিলিং স্টেশনগুলোতে। ফলে দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনের মালিকেরা।

সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, আমদানি করা জ্বালানিবাহী জাহাজ নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানো, কিছু ব্যবসায়ীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি—এসবের প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের সরবরাহে। তবে দেশে আপাতত জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সীমিত পরিমাণে তেল রয়েছে—এমন নোটিশ ঝুলানো হয়েছে কিছু পাম্পে। চালকদের অভিযোগ, ঢাকায় তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন ফিলিং স্টেশনের মালিকেরা। মূল্যবৃদ্ধির আশায় পেট্রল ও অকটেন গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। এই অভিযোগ অস্বীকার করে ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজাররা বলেন, ধারণক্ষমতা অনুযায়ী তেল সংগ্রহ করে গ্রাহকদের দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি সরবরাহের ঝুঁকি ও মূল্যবৃদ্ধির আশায় পাম্পের মালিকদের তেল মজুত করার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। গত এপ্রিলে অকটেনের দাম ১২৬ টাকা, মে মাসে ছিল ১২৫ টাকা। গত মাসে লিটারপ্রতি ৪ টাকা কমিয়ে অকটেনের দাম করা হয় ১২২ টাকা এবং ডিজেল ৪ টাকা কমে হয়েছে ১০২ টাকা। গত মে মাসে পেট্রল ৩ টাকা কমে ১১৮ টাকা হয়েছে।

রনি আহমেদ নামের এক গ্রাহকের সঙ্গে কথা হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস-সংলগ্ন একটি পাম্পে। তিনি বলেন, ‘রামপুরা এলাকায় একটি স্টেশন থেকে তেল পেয়েছি। তবে তেলের সংকট তৈরি হওয়ায় তারা চাহিদা অনুযায়ী দেয়নি। পরে আমি এখান থেকে (রাজারবাগ) চাহিদামতো নিয়েছি।’

তেলের সংকটে রাজধানীর রাইড শেয়ারিং মোটরবাইকের চালকেরাও পড়েছেন বিপাকে। কয়েকজন রাইড শেয়ার চালকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, ‘গত দুই দিনে তেল নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছি। এক স্টেশনে না পেয়ে অন্য স্টেশন থেকে ২ লিটার তেল নিতে পেরেছি। এখনো বেশি তেল দিতে চায় না তারা। এমন সংকট তৈরি হলে আমাদের বসে থাকা লাগবে।’

রামপুরার হাজীপাড়া ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তেল ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার লিটার। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী দৈনিক ১০ হাজার লিটার বিক্রি করা হয়। কয়েক দিন আগপর্যাপ্ত তেল না পাওয়ায় গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারিনি। গত ২৬ জুন একবার সাড়ে ৪ হাজার লিটার তেল দিয়েছে। তবে অকটেন ছাড়া অন্য তেলের কোনো সমস্যা নেই। এখন তেলের সংকট কিছুটা কমেছে।’

বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির আহ্বায়ক মো. নাজমুল হক বলেন, ‘এখন তেলের সংকট তো দেখছি না। গত দুই দিন সময়মতো তেল আসেনি। এ জন্য তেল সরবরাহ সাময়িক বিঘ্নিত হয়েছে।’

বিপিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশে আপাতত কোনো ধরনের জ্বালানি তেলের সংকট নেই। গত দু-তিন দিন জাহাজ আসতে দেরি করেছে। এ জন্য সাময়িক সমস্যা হতে পারে। কৃত্রিমভাবে কেউ যাতে জ্বালানি তেলের সংকট তৈরি করতে না পারে, সে জন্য মূল্য অপরিবর্তিত রেখে গত ২৯ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত