অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। দাম আরও বাড়বে—এমন আশঙ্কার কথা বলছেন বিক্রেতারা। অথচ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে সেই পেঁয়াজই পচে যাচ্ছে। ৫০ কেজি পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব এবং পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকার কারণে বাজারে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। বাজারভেদে পণ্যের দামে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা দরে। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা দরে।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে নিউজে দেখলাম হিলিতে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ কেজির বস্তা। তাহলে হিলি থেকে ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে কত খরচ হয়, যে কেজি ১৩০-এ চলে যাচ্ছে?’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ গরমের কারণে পচে যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকেরা। আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। বন্দরে ভালো মানের পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খারাপ মানেরগুলো ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর যেগুলোতে সামান্য পচন ধরেছে, সেগুলোর বস্তা ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, ‘নতুন পেঁয়াজ ওঠার আগ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকবে। এইখানে আমাদের কোনো হাত নাই।’
বাজারে পেঁয়াজের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি আলু ৬৫-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের মতো আলুর বিষয়ে ব্যবসায়ীরা একই ধরনের কথা বলছেন। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সানাউল্লাহ বলেন, নতুন আলু পুরোদমে বাজারে এলে দাম কমবে। এর আগে পর্যন্ত দাম বাড়তে থাকবে।
সবজির দাম কমলেও মুরগি চড়া
বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে অনেকটাই কমেছে সবজির দাম। তবে বাজারভেদে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে যেই বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, রামপুরায় সেই বেগুনের দাম ১৬০ টাকা।
রামপুরা, বনশ্রী এলাকায় প্রতি কেজি মুলা ১০০ টাকা, শিম ১৬০, ঝিঙে ১০০, পটোল ৮০, করলা ১০০ ও মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁকরোল ১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০, চিচিঙ্গা ১০০ ও পেঁপে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাঁচকলার হালি ৬০ টাকা। কারওয়ান বাজারে এই প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কম দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দামের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে বনশ্রী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজার অথবা যাত্রাবাড়ী থেকে মাল আনি। পরিবহন খরচ ছাড়াও আরও অনেক খরচ যোগ করতে হয়। তাই দামটা বেশি পড়ে।’
বাজারভেদে দামের বড় পার্থক্য সম্পর্কে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মারাত্মক খামতি রয়েছে। পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকার কারণে বাজারে যে যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে দাম রাখে। কঠোর মনিটরিং এবং শাস্তির ব্যবস্থা ছাড়া এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’
বাজারে আগের মতোই চড়া দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা গেছে। আজ শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা দরে। আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। দাম আরও বাড়বে—এমন আশঙ্কার কথা বলছেন বিক্রেতারা। অথচ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে সেই পেঁয়াজই পচে যাচ্ছে। ৫০ কেজি পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব এবং পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকার কারণে বাজারে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। বাজারভেদে পণ্যের দামে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা দরে। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা দরে।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে নিউজে দেখলাম হিলিতে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ কেজির বস্তা। তাহলে হিলি থেকে ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে কত খরচ হয়, যে কেজি ১৩০-এ চলে যাচ্ছে?’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ গরমের কারণে পচে যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকেরা। আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। বন্দরে ভালো মানের পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খারাপ মানেরগুলো ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর যেগুলোতে সামান্য পচন ধরেছে, সেগুলোর বস্তা ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, ‘নতুন পেঁয়াজ ওঠার আগ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকবে। এইখানে আমাদের কোনো হাত নাই।’
বাজারে পেঁয়াজের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি আলু ৬৫-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের মতো আলুর বিষয়ে ব্যবসায়ীরা একই ধরনের কথা বলছেন। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সানাউল্লাহ বলেন, নতুন আলু পুরোদমে বাজারে এলে দাম কমবে। এর আগে পর্যন্ত দাম বাড়তে থাকবে।
সবজির দাম কমলেও মুরগি চড়া
বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে অনেকটাই কমেছে সবজির দাম। তবে বাজারভেদে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে যেই বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, রামপুরায় সেই বেগুনের দাম ১৬০ টাকা।
রামপুরা, বনশ্রী এলাকায় প্রতি কেজি মুলা ১০০ টাকা, শিম ১৬০, ঝিঙে ১০০, পটোল ৮০, করলা ১০০ ও মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁকরোল ১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০, চিচিঙ্গা ১০০ ও পেঁপে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাঁচকলার হালি ৬০ টাকা। কারওয়ান বাজারে এই প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কম দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দামের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে বনশ্রী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজার অথবা যাত্রাবাড়ী থেকে মাল আনি। পরিবহন খরচ ছাড়াও আরও অনেক খরচ যোগ করতে হয়। তাই দামটা বেশি পড়ে।’
বাজারভেদে দামের বড় পার্থক্য সম্পর্কে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মারাত্মক খামতি রয়েছে। পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকার কারণে বাজারে যে যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে দাম রাখে। কঠোর মনিটরিং এবং শাস্তির ব্যবস্থা ছাড়া এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’
বাজারে আগের মতোই চড়া দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা গেছে। আজ শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা দরে। আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ভাউলার হাট উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শুকনা মরিচের হাট, যেখানে সূর্য ওঠার আগেই জমে ওঠে কোটি টাকার বেচাকেনা। কোথাও চলছে মরিচ বস্তাবন্দী, কোথাও পাইকারদের হাঁকডাক আর দরদাম।
১২ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দার মধ্যেই নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলতে যাচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে দেশে প্রথমবারের মতো এই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
১২ ঘণ্টা আগেজীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
১৮ ঘণ্টা আগেকৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ওএমএসের মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
১ দিন আগে