হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জে আউশ ধানের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু ধান নয়, মৌসুমি শাকসবজি ও মাছের খামারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকেরা। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
জানা গেছে, হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, আজমিরীগঞ্জ, মাধবপুর, নবীগঞ্জে ও বানিয়াচং উপজেলাতে টানা বৃষ্টির কারণে আউশ ধানের জমিতে পানি উঠেছে। পাশাপাশি মৌসুমি শাক-সবজি ও মাছের খামার পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, এবার জেলায় ৪৮ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে ৬৬৩ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও জেলার ৭ হাজার ৪২৩ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়। ইতিমধ্যে ৮৬ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়েছে।
লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে লাখাইয়ে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে ২৫ হেক্টর আউশ ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু জমি আংশিকভাবে তলিয়ে গেছে। ৪০ হেক্টর মৌসুমি শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
মাধবপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর, কৃষি জমি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হরিশ্যামা গ্রামের মরারচর এলাকায় সোনাই নদীর বাঁধ ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়রা ছড়ার বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে বাড়িঘর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
উপজেলার আন্দিউড়া, শাহজাহানপুর, নোয়াপাড়া, আদাঐর ও ছাতিয়াইন ইউনিয়নের কৃষি জমির ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছ।
আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান জানান, প্রায় ১০০ একর সবজির খেত পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রায় সবগুলো পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে।
শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেন চৌধুরী বলেন, ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় আড়াই শ একর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে।
নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল বলেন, পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বালু এসে প্রায় ১৫ একর কৃষি জমির বালু ভরাট হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, খোয়াই নদীর দুটি বাঁধ ভেঙে তার ইউনিয়ন ও পাশের লোকড়া ইউনিয়নের সব কটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে গ্রামগুলোর আউশ ধান, শাক-সবজি ও মৎস্য খামারের ক্ষতি হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নূরে আলম সিদ্দীকি বলেন, টানা বৃষ্টির কারণ জেলায় আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শাক-সবজি চাষেও ক্ষতি হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যেতে পারে। এতে ক্ষতির পরিমাণ কমবে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অবশ্যই ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জে আউশ ধানের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু ধান নয়, মৌসুমি শাকসবজি ও মাছের খামারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকেরা। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
জানা গেছে, হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, আজমিরীগঞ্জ, মাধবপুর, নবীগঞ্জে ও বানিয়াচং উপজেলাতে টানা বৃষ্টির কারণে আউশ ধানের জমিতে পানি উঠেছে। পাশাপাশি মৌসুমি শাক-সবজি ও মাছের খামার পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, এবার জেলায় ৪৮ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে ৬৬৩ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও জেলার ৭ হাজার ৪২৩ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়। ইতিমধ্যে ৮৬ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়েছে।
লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে লাখাইয়ে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে ২৫ হেক্টর আউশ ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু জমি আংশিকভাবে তলিয়ে গেছে। ৪০ হেক্টর মৌসুমি শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
মাধবপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর, কৃষি জমি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হরিশ্যামা গ্রামের মরারচর এলাকায় সোনাই নদীর বাঁধ ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়রা ছড়ার বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে বাড়িঘর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
উপজেলার আন্দিউড়া, শাহজাহানপুর, নোয়াপাড়া, আদাঐর ও ছাতিয়াইন ইউনিয়নের কৃষি জমির ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছ।
আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান জানান, প্রায় ১০০ একর সবজির খেত পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রায় সবগুলো পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে।
শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেন চৌধুরী বলেন, ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় আড়াই শ একর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে।
নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল বলেন, পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বালু এসে প্রায় ১৫ একর কৃষি জমির বালু ভরাট হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, খোয়াই নদীর দুটি বাঁধ ভেঙে তার ইউনিয়ন ও পাশের লোকড়া ইউনিয়নের সব কটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে গ্রামগুলোর আউশ ধান, শাক-সবজি ও মৎস্য খামারের ক্ষতি হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নূরে আলম সিদ্দীকি বলেন, টানা বৃষ্টির কারণ জেলায় আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শাক-সবজি চাষেও ক্ষতি হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যেতে পারে। এতে ক্ষতির পরিমাণ কমবে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অবশ্যই ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
চট্টগ্রাম নগরীতে চলন্ত অটোরিকশায় পেট্রল বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে দুই নারী যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো চামড়ার গুদামসংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ যাত্রীরা হলেন লায়লা বেগম (৫০) ও তাঁর পুত্রবধূ ঝরনা বেগম (৩০)। তাঁরা রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের
২ মিনিট আগেরাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের শৌচাগারে এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। মাসুদ রানা (৩৪) নামের ওই কনস্টেবল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে। আজ রোববার সকালে ব্যারাকের শৌচাগারে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মাসুদ রানা রাজশাহীর বাগমারা থানার যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে মোহাম্মদ মুঈদ (৩২) ও স্ত্রী আইরিন আক্তার রত্না (৩৫) নামে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ওয়ারী থানার ওয়ার স্ট্রিটের জমজম টাওয়ারের পাঁচতলার একটি বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
৩৩ মিনিট আগেগত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আহত করা, ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও প্রতিটি বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে শিক্ষকেরা পাঠদানে ফিরবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে