কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ও পাহাড়ি ঢলে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ধলাই ও মনু নদের ১৪ প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। বেশ কয়েকটি সড়কে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলার নদ–নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মনু নদের রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মনু নদের চাঁদনীঘাটে বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পানি। ধলাই নদের রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ও জুড়ী নদীর ভবানীপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গতকাল রাতের তুলনায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত কমে যাবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু নদের অন্তত ১০ স্থানে ও ধলাই নদের ৪ স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল রাতে কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলায় নতুন করে মনু নদের বাঁধ ভাঙন দেখা দেওয়ায় প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম এবং ধলাই নদের বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
জেলার কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলায় বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। ত্রাণ কার্যক্রম চালু হলেও বেশির ভাগ এলাকায় পানিবন্দী মানুষ কোনো ত্রাণ বা শুকনো খাবার পায়নি। অনেকে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে আউশ ও আমন ফসলের মাঠ। বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মানুষ।
কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা সাজিদ মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাতে মনু নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় আমার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। জানি না এখন কোথায় যাব।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাদু মিয়া জানান, বন্যার্তদের সহায়তায় ১ হাজার ৫০ টন চাল ও নগদ ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার মানুষ উঠেছে। আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী আছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সব কটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ সকাল থেকে নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এখনো সব কটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে।’
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। এলাকাবাসী বাঁধ সংস্কারের কাজ করছেন। নগদ অর্থ ও ত্রাণ কার্যক্রম চালু আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যারা উঠেছে তাদের সবকিছু দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজারে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ও পাহাড়ি ঢলে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ধলাই ও মনু নদের ১৪ প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। বেশ কয়েকটি সড়কে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলার নদ–নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মনু নদের রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মনু নদের চাঁদনীঘাটে বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পানি। ধলাই নদের রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ও জুড়ী নদীর ভবানীপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গতকাল রাতের তুলনায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত কমে যাবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু নদের অন্তত ১০ স্থানে ও ধলাই নদের ৪ স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল রাতে কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলায় নতুন করে মনু নদের বাঁধ ভাঙন দেখা দেওয়ায় প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম এবং ধলাই নদের বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
জেলার কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলায় বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। ত্রাণ কার্যক্রম চালু হলেও বেশির ভাগ এলাকায় পানিবন্দী মানুষ কোনো ত্রাণ বা শুকনো খাবার পায়নি। অনেকে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে আউশ ও আমন ফসলের মাঠ। বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মানুষ।
কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা সাজিদ মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাতে মনু নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় আমার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। জানি না এখন কোথায় যাব।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাদু মিয়া জানান, বন্যার্তদের সহায়তায় ১ হাজার ৫০ টন চাল ও নগদ ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার মানুষ উঠেছে। আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী আছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সব কটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ সকাল থেকে নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এখনো সব কটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে।’
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। এলাকাবাসী বাঁধ সংস্কারের কাজ করছেন। নগদ অর্থ ও ত্রাণ কার্যক্রম চালু আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যারা উঠেছে তাদের সবকিছু দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে