Ajker Patrika

বারি-৪ আমে বাজিমাত

গোলাম কবির বিলু, পীরগঞ্জ
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৫: ৪১
Thumbnail image

রংপুর অঞ্চলে আমের মৌসুম আছে শেষপর্যায়ে। এখন সময় চলছে বারি-৪ জাতের। আর এই আম চাষ করে বাজিমাত করেছেন পীরগঞ্জের ফলচাষি জব্বার আলী। উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের পাটগ্রামে তাঁর বাড়ি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জব্বারের বাগানে হাজার হাজার আম ঝুলছে। দেখলে চোখ আর মন জুড়িয়ে যায়। মৌসুমের শেষ দিকে এসে সময় যত গড়াচ্ছে, বারি-৪ আমের দাম ততই বাড়ছে।

শৌখিন ফলচাষি জব্বার জানান, তিনি প্রায় ছয় বছর আগে পাঁচ বিঘা জমিতে বারি-৪ জাতের আমগাছের ২৫০টি কলম চারা রোপণ করেন। পরের বছরই বাগানের গাছগুলোতে আম ধরা শুরু করে। সেই থেকে ফলন দিন দিন বেড়ে চলেছে।

বারি-৪ জাতের আম শ্রাবণ মাসে পাকা শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে বাজারে আমের সরবরাহ কমে আসে বলে চাষিরা বেশ ভালো দাম পান।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রংপুরে এবার হাঁড়িভাঙাসহ অন্যান্য জাতের আমের ব্যাপক ফলন হলেও করোনা ও লকডাউনের কারণে চাষিরা তেমন দাম পাননি। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম এ বছর ১০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। তবে মৌসুমের শেষে এসে এই আমের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে উঠেছে। এখন চলছে বারি-৪ জাতের আমের জয়জয়কার। বাজারে এটির দামও বেশ চড়া। প্রতি কেজি আম ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জব্বার আলীর বাগানের ২৫০টি গাছে বারি-৪ আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রায় ৮ ফুট উচ্চতার প্রতিটি গাছে কমপক্ষে দুই মণ করে আম ধরেছে। তিনি প্রতি মণ আম পাইকারি ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। সে হিসাবে প্রতি কেজিতে দাম পাচ্ছেন ৫০ টাকা। স্থানীয় খুচরা বাজারে তা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জব্বার বলেন, ‘ফসল চাষাবাদে খরচ তেমন ওঠে না। তাই ফল চাষ করেছি। এটি বছরে একবার হলেও মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়া যায়। এবার প্রায় ৫০০ মণ আম ১০ লাখ থেকে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব। কারণ এখনো এই আমের মৌসুম পুরোপুরি শুরু হয়নি। স্থানীয় বাজারে চড়া মূল্য হলে আমিও পাইকারি বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতে পারব।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আমরা জব্বার আলীর বাগানের কথা শুনেছি। তিনি ফসল চাষের পরিবর্তে ফলের বাগান করছেন। এতে ভালো লাভবানও হচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত