ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
চারদিকে হাজারো মানুষের ভিড়। সবার দৃষ্টি ৩০ ফুট উচ্চতার একটি কাঠের দণ্ডের দিকে। সেখানে আড়াআড়ি করে বাঁশ বেঁধে তাতে ঝোলানো লোহার বড় দুটি বড়শি। সেই বড়শি পিঠের চামড়ায় গেঁথে শূন্যে ঘুরছিলেন অরবিন্দ চন্দ্র রায় (৪২)। পাশাপাশি তিনি ফুল-জল, আবির, কলা, বাতাসা, নকুলদানা ইত্যাদি ছিটিয়ে দিচ্ছেন ভক্ত-দর্শকের দিকে। এ সময় চলছিল উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি। বাজছিল ঢাকঢোল।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চাঁদপাড়া শ্মশান কালীমন্দির প্রাঙ্গণে গতকাল শনিবার শেষ বিকেলে গিয়ে দেখা গেল এই দৃশ্য। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব চড়কপূজা উপলক্ষে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শেষ দিকে পিঠে বড়শি গেঁথে চড়কে ঘোরার উৎসব হয়, যা দেখতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ সমবেত হয়।
চড়কে ঘুরতে থাকা অরবিন্দ ফুলবাড়ী পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণপুরের মতিলালের ছেলে। তিনি জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ কাজ করছেন তিনি। তাঁর পিঠে অগণিত ছিদ্র রয়েছে। প্রতিবার পিঠের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ছিদ্র করে লাগানো হয়। এটি করতে বেশ সাধনার প্রয়োজন।
আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, বড়শিতে বিদ্ধ মানুষকে ঘোরানোর আগে সারা দিন ধরে নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। মানুষ ঘোরানোর জন্য মাঠের মাঝখানে বসানো হয় একটি কাঠের দণ্ড। তার ওপর আড়াআড়িভাবে বাঁশ বেঁধে একপাশে ঝোলানো হয় দড়ি। অন্য পাশে বড়শিতে গেঁথে একজনকে ঝোলানো হয়। পরে একদল মানুষ দড়ি টেনে বাঁশটি নাড়িয়ে বড়শিতে গাঁথা লোকটিকে ঘোরাতে থাকেন। এটাই চড়কপূজার মূল আকর্ষণ।
শনিবারের উৎসব ঘিরে দুপুর থেকে মেলা বসেছিল। মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে সমবেত হয়ে স্থানীয় সংস্কৃতির স্বাদ নেয়।
স্থানীয় দর্শক চন্দ্রনাথ বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও চড়ক মেলা দেখতে এসেছি। আমাদের সনাতন ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ।’
উৎসবে আসা দীপালি ও শেফালি রানি জানান, এই চড়ক মেলা উপলক্ষে পুরো গ্রাম উৎসবে মেতে ওঠে। সবাই মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ জানান। তাঁরাও মেলায় আসেন।
গাইবান্ধা থেকে আসা মাহাবুব নামের একজন বলেন, ‘এখানে আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলাম। শুনলাম পিঠ ফোঁড়া চড়ক মেলা হবে। আমাদের ওই দিকে এসব হয় না। তাই থেকে গেলাম মেলা দেখার জন্য। সত্যি এ এক অবাক করা ব্যাপার। কীভাবে একজন মানুষের পিঠে বড় বড় বড়শি বিঁধে ৩০-৩৫ ফুট উচ্চতায় ঝুলিয়ে ঘোরানো হচ্ছে!’
উৎসবের আয়োজন করা চাঁদপাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি সুরজিত চন্দ্র রায় বলেন, চৈত্র মাসের শেষে চড়ক কালীপূজা বা নীল পূজার আয়োজন করা হয়। শত বছরের পুরোনো এই পূজা পূর্বপুরুষদের আমল থেকে হয়ে আসছে। পূজা ও চড়ক উৎসবকে কেন্দ্র করে দিনব্যাপী মেলা বসেছে। এতে কয়েকে হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
চারদিকে হাজারো মানুষের ভিড়। সবার দৃষ্টি ৩০ ফুট উচ্চতার একটি কাঠের দণ্ডের দিকে। সেখানে আড়াআড়ি করে বাঁশ বেঁধে তাতে ঝোলানো লোহার বড় দুটি বড়শি। সেই বড়শি পিঠের চামড়ায় গেঁথে শূন্যে ঘুরছিলেন অরবিন্দ চন্দ্র রায় (৪২)। পাশাপাশি তিনি ফুল-জল, আবির, কলা, বাতাসা, নকুলদানা ইত্যাদি ছিটিয়ে দিচ্ছেন ভক্ত-দর্শকের দিকে। এ সময় চলছিল উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি। বাজছিল ঢাকঢোল।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চাঁদপাড়া শ্মশান কালীমন্দির প্রাঙ্গণে গতকাল শনিবার শেষ বিকেলে গিয়ে দেখা গেল এই দৃশ্য। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব চড়কপূজা উপলক্ষে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শেষ দিকে পিঠে বড়শি গেঁথে চড়কে ঘোরার উৎসব হয়, যা দেখতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ সমবেত হয়।
চড়কে ঘুরতে থাকা অরবিন্দ ফুলবাড়ী পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণপুরের মতিলালের ছেলে। তিনি জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ কাজ করছেন তিনি। তাঁর পিঠে অগণিত ছিদ্র রয়েছে। প্রতিবার পিঠের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ছিদ্র করে লাগানো হয়। এটি করতে বেশ সাধনার প্রয়োজন।
আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, বড়শিতে বিদ্ধ মানুষকে ঘোরানোর আগে সারা দিন ধরে নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। মানুষ ঘোরানোর জন্য মাঠের মাঝখানে বসানো হয় একটি কাঠের দণ্ড। তার ওপর আড়াআড়িভাবে বাঁশ বেঁধে একপাশে ঝোলানো হয় দড়ি। অন্য পাশে বড়শিতে গেঁথে একজনকে ঝোলানো হয়। পরে একদল মানুষ দড়ি টেনে বাঁশটি নাড়িয়ে বড়শিতে গাঁথা লোকটিকে ঘোরাতে থাকেন। এটাই চড়কপূজার মূল আকর্ষণ।
শনিবারের উৎসব ঘিরে দুপুর থেকে মেলা বসেছিল। মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে সমবেত হয়ে স্থানীয় সংস্কৃতির স্বাদ নেয়।
স্থানীয় দর্শক চন্দ্রনাথ বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও চড়ক মেলা দেখতে এসেছি। আমাদের সনাতন ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ।’
উৎসবে আসা দীপালি ও শেফালি রানি জানান, এই চড়ক মেলা উপলক্ষে পুরো গ্রাম উৎসবে মেতে ওঠে। সবাই মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ জানান। তাঁরাও মেলায় আসেন।
গাইবান্ধা থেকে আসা মাহাবুব নামের একজন বলেন, ‘এখানে আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলাম। শুনলাম পিঠ ফোঁড়া চড়ক মেলা হবে। আমাদের ওই দিকে এসব হয় না। তাই থেকে গেলাম মেলা দেখার জন্য। সত্যি এ এক অবাক করা ব্যাপার। কীভাবে একজন মানুষের পিঠে বড় বড় বড়শি বিঁধে ৩০-৩৫ ফুট উচ্চতায় ঝুলিয়ে ঘোরানো হচ্ছে!’
উৎসবের আয়োজন করা চাঁদপাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি সুরজিত চন্দ্র রায় বলেন, চৈত্র মাসের শেষে চড়ক কালীপূজা বা নীল পূজার আয়োজন করা হয়। শত বছরের পুরোনো এই পূজা পূর্বপুরুষদের আমল থেকে হয়ে আসছে। পূজা ও চড়ক উৎসবকে কেন্দ্র করে দিনব্যাপী মেলা বসেছে। এতে কয়েকে হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেউত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার কোরবানির অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা। গরু-ছাগলে হাটগুলো ভরে উঠলেও ক্রেতা কম। তাঁদের মধ্যেও বেশির ভাগ আসছেন দাম যাচাই করতে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বুধবার অফিস শেষে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলে হাটে অনেক ক্রেতা আসবেন, মূল বেচাকেনা শুরু হবে।
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই তিন বছরে ডিপো এলাকায় আগের চিত্র ফিরলেও এখন পর্যন্ত থামেনি স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে যেনতেন বিচারে যেমন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের মনে স্বস্তি ফেরেনি, তেমনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার...
৪ ঘণ্টা আগে