কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে প্লাবিত এলাকার পরিসর বাড়ছে। দুধকুমার নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নদ-নদী অববাহিকার ১১ গ্রামের প্রায় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার অববাহিকার অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যার প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমা স্পর্শ করেছে। এই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৩ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে চরাঞ্চলসহ নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকা সাময়িক প্লাবিত হতে পারে।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ও পাঁচগাছী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীরঝাড় এবং নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে এসব এলাকার আট শতাধিক পরিবার পানিবন্দী জীবন যাপন করছে। কিছু পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পোড়ারচর, গোয়াইলপুরির চর, চিড়া খাওয়া, দক্ষিণ গোয়াইলপুরি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় প্রায় দেড় শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের বেশ কিছু বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর ভগবতীপুর, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিবের পাছি ও খাসের চরেও পানি ঢুকেছে। এখানকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পানি বাড়ছে। তবে এখনো তেমন খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নাই। চরগুলো নিচু হওয়ায় অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। কিছু বাড়িঘরে পানি ঢুকলেও বেশির ভাগ বাড়িঘর এখনো নিরাপদ। তবে পানি বাড়তে থাকলে দুই-এক দিনের মধ্যে মানুষের বাড়িঘরে পানি ঢুকবে।’
নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নে দুধকুমার নদের পানি বেড়ে চারটি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফান্দেরচর, চর দামাল গ্রাম, মাঝের চর ও আদর্শ বাজার গ্রামে পানি ঢোকায় মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘নিচু এলাকার কিছু বাড়িঘরে পানি ঢুকছে। তবে তিন-চার শ পরিবার পানিবন্দী। মানুষ নৌকা আর কলার ভেলায় করে প্রয়োজনীয় কাজ সারছে।’
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, সার্বিক অবস্থার ওপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলো থেকে এখনো পানিবন্দী পরিবার ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আরও দুই-তিন দিন পানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময় নদ-নদীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বড় বন্যার পূর্বাভাস নেই।’
কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে প্লাবিত এলাকার পরিসর বাড়ছে। দুধকুমার নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নদ-নদী অববাহিকার ১১ গ্রামের প্রায় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার অববাহিকার অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যার প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমা স্পর্শ করেছে। এই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৩ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে চরাঞ্চলসহ নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকা সাময়িক প্লাবিত হতে পারে।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ও পাঁচগাছী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীরঝাড় এবং নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে এসব এলাকার আট শতাধিক পরিবার পানিবন্দী জীবন যাপন করছে। কিছু পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পোড়ারচর, গোয়াইলপুরির চর, চিড়া খাওয়া, দক্ষিণ গোয়াইলপুরি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় প্রায় দেড় শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের বেশ কিছু বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর ভগবতীপুর, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিবের পাছি ও খাসের চরেও পানি ঢুকেছে। এখানকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পানি বাড়ছে। তবে এখনো তেমন খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নাই। চরগুলো নিচু হওয়ায় অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। কিছু বাড়িঘরে পানি ঢুকলেও বেশির ভাগ বাড়িঘর এখনো নিরাপদ। তবে পানি বাড়তে থাকলে দুই-এক দিনের মধ্যে মানুষের বাড়িঘরে পানি ঢুকবে।’
নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নে দুধকুমার নদের পানি বেড়ে চারটি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফান্দেরচর, চর দামাল গ্রাম, মাঝের চর ও আদর্শ বাজার গ্রামে পানি ঢোকায় মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘নিচু এলাকার কিছু বাড়িঘরে পানি ঢুকছে। তবে তিন-চার শ পরিবার পানিবন্দী। মানুষ নৌকা আর কলার ভেলায় করে প্রয়োজনীয় কাজ সারছে।’
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, সার্বিক অবস্থার ওপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলো থেকে এখনো পানিবন্দী পরিবার ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আরও দুই-তিন দিন পানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময় নদ-নদীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বড় বন্যার পূর্বাভাস নেই।’
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। গত আট মাসে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার এসব ঘটনায় পর্যালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব হত্যাকাণ্ডে একই গ্যাং জড়িত।
২ ঘণ্টা আগেমেয়াদ শেষের প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুরে দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দুধকুমারের তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ম্যানেজারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের টাকা নিয়ে...
২ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে বসানো হয়েছে হাট-বাজার। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশ। খেলাধুলার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটিতে যাওয়া-আসা করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
২ ঘণ্টা আগেবালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে