সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
হেমন্তের ভোরে মৃদু কুয়াশা ভেদ করে পাকা ধানের মাঠে ছুটে যান ধান কৃষি শ্রমিকেরা। কাস্তে হাতে নিয়ে মুষ্টি করে কাটেন পাকা ধান। মাথায় বয়ে নিয়ে তা তুলে দিচ্ছেন কৃষকের ঘরে ঘরে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের এমন কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ধান কৃষি শ্রমিকেরা।
আজ শুক্রবার সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবে ধান কাটা, মাড়াইয়ের কাজটি সংসার সামলে করে যাচ্ছেন পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারীরাও।
হাড়ভাঙা পরিশ্রম আর দুপুরের প্রখর রোদে শরীর যখন ক্লান্ত তখনই পেয়ে বসে ক্ষুধা। কিছু সময় বিরতি রাখে এ কর্মযজ্ঞ। এরপর সঙ্গে নিয়ে আসা দুপুরের খাবারের পোঁটলা খুলে বসে পড়ে মাঠের এক কোণে গাছের ছায়ায়। এরপর যে যার মতো তরকারি, ডাল ও বিভিন্ন রকমে সবজি একে অন্যের পাতে তুলে দিয়ে খেতে বসেন। খেতে খেতে চলে গল্প ও খুনসুটি।
খাবারের এক ফাঁকে কথা হয় কৃষি শ্রমিকদের সঙ্গে। শেফালি রাণী ও বিজলী রাণী নামে দুই শ্রমিক বলেন, একসঙ্গে খাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। পিকনিকের আমেজ পাওয়া যায়। অনেক খাবার ভাগাভাগি হয়। আবার কারও বেশি খাওয়া নিয়ে রসিকতাও হয়। এর মধ্যে কখন যে খাওয়া হয়ে যায় টেরই পাওয়া যায় না।
পাশে থাকা ফুল বাবুর পাতে কালাইর ডাল, লাউয়ের ঘন্টু তুলে দিচ্ছেন বিউটি দাস। এ সময় ফুলবাবুর বাটিতে থাকা রুই মাছের ভাজা এক টুকরো বিউটিকে তুলে দেন।
বিউটি দাস বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার নিয়ে আসি। এরপর নিজেদের মধ্যে খাবার ভাগাভাগি করে খাই। এতে অন্য রকম মজা আছে।’
খানিক দূরে বসা সুজন চন্দ্র রায়, কল্পনা রাণী ও গেদেন বর্মন বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেক। অল্প করে ছালন (তরকারি) আনলেও খেতে গেলে ৭ থেকে ৮ প্রকারের ছালন হয়ে যায়।
শর্মিলা বালা, আকলিমা রাণীসহ আরও কয়েকজন বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা কাজ করে শরীর বেশ ঘাম ঝরে, খাটুনিও অনেক। কখন বিরতি হবে সেদিকে তাকিয়ে থাকি। এরপর কাজের বিরতির সময়টুকু সবচেয়ে আনন্দের সময় মনে হয়। খাবার দেওয়া বিনময় করে সবাই মিলে খাই। এটা বেশ ভালো লাগে।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য আর সৌন্দর্য একটি বড় অংশ মাঠে-ঘাটে কৃষক ও শ্রমিকের খাবার-দাবার দৃশ্য। এভাবে এক সঙ্গে একে অপরের সঙ্গে বসে খাবার বিনিময় একটি সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি হয়। এ অস্থির সময়ে এমন বিশুদ্ধ মেল বন্ধ এখনো চালু থাকায় মন ভরে ওঠে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সংস্কৃতি ব্যক্তি ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে বলেন।
হেমন্তের ভোরে মৃদু কুয়াশা ভেদ করে পাকা ধানের মাঠে ছুটে যান ধান কৃষি শ্রমিকেরা। কাস্তে হাতে নিয়ে মুষ্টি করে কাটেন পাকা ধান। মাথায় বয়ে নিয়ে তা তুলে দিচ্ছেন কৃষকের ঘরে ঘরে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের এমন কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ধান কৃষি শ্রমিকেরা।
আজ শুক্রবার সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবে ধান কাটা, মাড়াইয়ের কাজটি সংসার সামলে করে যাচ্ছেন পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারীরাও।
হাড়ভাঙা পরিশ্রম আর দুপুরের প্রখর রোদে শরীর যখন ক্লান্ত তখনই পেয়ে বসে ক্ষুধা। কিছু সময় বিরতি রাখে এ কর্মযজ্ঞ। এরপর সঙ্গে নিয়ে আসা দুপুরের খাবারের পোঁটলা খুলে বসে পড়ে মাঠের এক কোণে গাছের ছায়ায়। এরপর যে যার মতো তরকারি, ডাল ও বিভিন্ন রকমে সবজি একে অন্যের পাতে তুলে দিয়ে খেতে বসেন। খেতে খেতে চলে গল্প ও খুনসুটি।
খাবারের এক ফাঁকে কথা হয় কৃষি শ্রমিকদের সঙ্গে। শেফালি রাণী ও বিজলী রাণী নামে দুই শ্রমিক বলেন, একসঙ্গে খাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। পিকনিকের আমেজ পাওয়া যায়। অনেক খাবার ভাগাভাগি হয়। আবার কারও বেশি খাওয়া নিয়ে রসিকতাও হয়। এর মধ্যে কখন যে খাওয়া হয়ে যায় টেরই পাওয়া যায় না।
পাশে থাকা ফুল বাবুর পাতে কালাইর ডাল, লাউয়ের ঘন্টু তুলে দিচ্ছেন বিউটি দাস। এ সময় ফুলবাবুর বাটিতে থাকা রুই মাছের ভাজা এক টুকরো বিউটিকে তুলে দেন।
বিউটি দাস বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার নিয়ে আসি। এরপর নিজেদের মধ্যে খাবার ভাগাভাগি করে খাই। এতে অন্য রকম মজা আছে।’
খানিক দূরে বসা সুজন চন্দ্র রায়, কল্পনা রাণী ও গেদেন বর্মন বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেক। অল্প করে ছালন (তরকারি) আনলেও খেতে গেলে ৭ থেকে ৮ প্রকারের ছালন হয়ে যায়।
শর্মিলা বালা, আকলিমা রাণীসহ আরও কয়েকজন বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা কাজ করে শরীর বেশ ঘাম ঝরে, খাটুনিও অনেক। কখন বিরতি হবে সেদিকে তাকিয়ে থাকি। এরপর কাজের বিরতির সময়টুকু সবচেয়ে আনন্দের সময় মনে হয়। খাবার দেওয়া বিনময় করে সবাই মিলে খাই। এটা বেশ ভালো লাগে।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য আর সৌন্দর্য একটি বড় অংশ মাঠে-ঘাটে কৃষক ও শ্রমিকের খাবার-দাবার দৃশ্য। এভাবে এক সঙ্গে একে অপরের সঙ্গে বসে খাবার বিনিময় একটি সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি হয়। এ অস্থির সময়ে এমন বিশুদ্ধ মেল বন্ধ এখনো চালু থাকায় মন ভরে ওঠে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সংস্কৃতি ব্যক্তি ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে বলেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
৩ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
৩ ঘণ্টা আগে