রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনে টিকিট ছাড়া যাত্রীদের ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। আর এ কাজে জড়িত ট্রাভেলিং টিকিট পরীক্ষক (টিটিই), অ্যাটেন্ডেন্ট, রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) সদস্য ও ক্যাটারিংয়ে যুক্ত অসাধু কিছু লোক। ট্রেনের ওই রানিং স্টাফদের কারণে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিনা টিকিটের একজন যাত্রীর কাছে রুটভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে চক্রটি। এ স্টেশন চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে বিনা টিকিটের এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়। সেই হিসাবে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকা পকেটে ভরছেন অসাধু রানিং স্টাফরা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ভৌগোলিক কারণে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। সারা বছর ধরেই এখানে যাত্রীর চাপ থাকে। এই উপজেলা ছাড়াও পাশের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের যাত্রীরা এই রুটে যাতায়াত করে। এখান থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী রুটে পাঁচটি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে প্রায় দুই হাজার লোকজন যাতায়াত করে। ঈদে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়।
সরেজমিন সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, ১২ বগির ট্রেনে প্রতি বগিতে ৯২ জনের ধারণক্ষমতা। অথচ দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুর স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় নীলসাগর আন্তনগর এক্সপ্রেস ও চিলাহাটি আন্তনগর এক্সপ্রেস নামক দুটি ট্রেন। ট্রেন দুটিতে দেখা যায়, দায়িত্বরত অ্যাটেন্ডেন্ট সদস্যরা যাত্রীদের নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থের বিনিময়ে ট্রেনে ভ্রমণের সুযোগ করে দিচ্ছেন। অসাধু রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা টিকিটবিহীন যাত্রীদের টাকার বিনিময়ে খাবারের বগি ও দুই বগির মাঝখানে যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করেন। ক্যাটারিং সার্ভিসের সদস্যরা টাকা নিয়ে অবৈধভাবে খাবারের বগিতে যাত্রী পরিবহন করছেন। এ ছাড়া শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বগির অ্যাটেন্ডেন্ট ও এসি অপারেটররা টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে এসি বগিতে এবং দুই বগির মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় যাত্রী তুলছেন। কর্মরত টিটিইদের ট্রেনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে টিকিট চেক করছেন না। ট্রেনে দায়িত্ব পালনরত অনেকেরই নেমট্যাগ নেই।
বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠেন মিজানুর রহমান। গন্তব্য ঢাকা। তিনি বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে দেখতে ট্রেনযোগে যাত্রা। অনেক চেষ্টা করেও টিকিট না পাওয়ায় বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠেছি। ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই একজন রেলওয়ে পুলিশ সদস্য টিকিট দেখতে চান। টিকিট নেই জানালে ১০০০ টাকা দাবি করেন। প্রথমে দিতে না চাইলে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা ও জেলের ভয় দেখায়। পরে আত্মসম্মানের ভয়ে ১০০০ টাকা দিতে বাধ্য হই। যদিও ভাড়া ৬০০ টাকা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, এ স্টেশনে চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে বিনা টিকিটের এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়। সেই হিসেবে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকা পকেটে ভরেন অসাধু রানিং স্টাফরা।
চিলাহাটি আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের টিকিট দেখেন সাধারণত টিটিই। বিনা টিকিটে যদি কেউ ট্রেনে ওঠে, তবে অবশ্যই রেলওয়ের নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে টিটিই তাকে ট্রেনের ভেতরেই টিকিট করে দেবেন। কেউ যদি যাত্রীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে টাকা নিয়ে ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়, তবে সেটি অপরাধ হবে। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, ‘ট্রেনের ভেতরে কী হয় না হয়, সেটা আমার দেখার বিষয় না। কেউ যদি তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করে, তাহলে কী করার আছে বলেন?’
নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনে টিকিট ছাড়া যাত্রীদের ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। আর এ কাজে জড়িত ট্রাভেলিং টিকিট পরীক্ষক (টিটিই), অ্যাটেন্ডেন্ট, রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) সদস্য ও ক্যাটারিংয়ে যুক্ত অসাধু কিছু লোক। ট্রেনের ওই রানিং স্টাফদের কারণে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিনা টিকিটের একজন যাত্রীর কাছে রুটভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে চক্রটি। এ স্টেশন চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে বিনা টিকিটের এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়। সেই হিসাবে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকা পকেটে ভরছেন অসাধু রানিং স্টাফরা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ভৌগোলিক কারণে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। সারা বছর ধরেই এখানে যাত্রীর চাপ থাকে। এই উপজেলা ছাড়াও পাশের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের যাত্রীরা এই রুটে যাতায়াত করে। এখান থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী রুটে পাঁচটি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে প্রায় দুই হাজার লোকজন যাতায়াত করে। ঈদে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়।
সরেজমিন সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, ১২ বগির ট্রেনে প্রতি বগিতে ৯২ জনের ধারণক্ষমতা। অথচ দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুর স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় নীলসাগর আন্তনগর এক্সপ্রেস ও চিলাহাটি আন্তনগর এক্সপ্রেস নামক দুটি ট্রেন। ট্রেন দুটিতে দেখা যায়, দায়িত্বরত অ্যাটেন্ডেন্ট সদস্যরা যাত্রীদের নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থের বিনিময়ে ট্রেনে ভ্রমণের সুযোগ করে দিচ্ছেন। অসাধু রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা টিকিটবিহীন যাত্রীদের টাকার বিনিময়ে খাবারের বগি ও দুই বগির মাঝখানে যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করেন। ক্যাটারিং সার্ভিসের সদস্যরা টাকা নিয়ে অবৈধভাবে খাবারের বগিতে যাত্রী পরিবহন করছেন। এ ছাড়া শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বগির অ্যাটেন্ডেন্ট ও এসি অপারেটররা টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে এসি বগিতে এবং দুই বগির মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় যাত্রী তুলছেন। কর্মরত টিটিইদের ট্রেনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে টিকিট চেক করছেন না। ট্রেনে দায়িত্ব পালনরত অনেকেরই নেমট্যাগ নেই।
বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠেন মিজানুর রহমান। গন্তব্য ঢাকা। তিনি বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে দেখতে ট্রেনযোগে যাত্রা। অনেক চেষ্টা করেও টিকিট না পাওয়ায় বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠেছি। ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই একজন রেলওয়ে পুলিশ সদস্য টিকিট দেখতে চান। টিকিট নেই জানালে ১০০০ টাকা দাবি করেন। প্রথমে দিতে না চাইলে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা ও জেলের ভয় দেখায়। পরে আত্মসম্মানের ভয়ে ১০০০ টাকা দিতে বাধ্য হই। যদিও ভাড়া ৬০০ টাকা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, এ স্টেশনে চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে বিনা টিকিটের এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়। সেই হিসেবে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকা পকেটে ভরেন অসাধু রানিং স্টাফরা।
চিলাহাটি আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের টিকিট দেখেন সাধারণত টিটিই। বিনা টিকিটে যদি কেউ ট্রেনে ওঠে, তবে অবশ্যই রেলওয়ের নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে টিটিই তাকে ট্রেনের ভেতরেই টিকিট করে দেবেন। কেউ যদি যাত্রীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে টাকা নিয়ে ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়, তবে সেটি অপরাধ হবে। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, ‘ট্রেনের ভেতরে কী হয় না হয়, সেটা আমার দেখার বিষয় না। কেউ যদি তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করে, তাহলে কী করার আছে বলেন?’
‘আমি প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার হাঁটু কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যাই। পায়ে জুতা পরিবর্তন করি, অনেক সময় পোশাকও বদলাতে হয়। এটা খুবই লজ্জার বিষয়। এত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা—স্কুল, মাদ্রাসা, ক্লিনিক ও ভোটকেন্দ্র থাকার পরও কেন রাস্তা হচ্ছে না, বুঝে উঠতে পারছি না। ১০ বছর ধরে এমপি সাহেব বলছেন—আপনাদের রাস্তা এক নম্বরে...
২৯ মিনিট আগেঘাটের শান্তি ফিস আড়তের সত্ত্বাধিকারী সম্রাট ব্যাপারী বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অযৌক্তিক। সরবরাহ ও খরচের ওপর ভিত্তি করেই দাম নির্ধারিত হয়। দাম বেঁধে দিলে ঘাটে আর মাছ আসবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাছের সরবরাহ বাড়াতে হলে কারেন্ট জাল বন্ধ করতে হবে, অথবা এর ফাঁস চার আঙুল পরিমাণ করে নির্ধারণ করতে হবে।
৩৪ মিনিট আগেঅনুষ্ঠানে সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মনে রাখতে হবে—আপনারা একা নন। স্থানীয় জনগণ আপনাদের পাশে রয়েছে। আমরা ন্যায় ও সমতার পথে অটল। ”
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ব্যস্ততম রাইখালী বাজার। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এখানে হাট বসে। আর এই হাটে বিগত ১৫ বছর ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করে আসছেন কৃষ্ণ ঋষি। বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার তিতাস নদীর ওপার ঋষি পাড়ায় হলেও বিগত ১৫ বছর ধরে বাস করেন চন্দ্রঘোনা গ্রামে।
১ ঘণ্টা আগে